মে ৪, ২০২৩
নবজোয়ার নয়, এটা প্লাবন, এটা আগামিদিনে বিজেপিকে রোখার স্পন্দন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচির দশম দিনে একই মঞ্চে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই মঞ্চ থেকেই এই কর্মসূচিকে সমর্থন করে নতুন প্রজন্মকে বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কিছু অংশ:
এই কর্মসূচি মানুষ খুব ভালভাবে গ্রহণ করেছে। তাই আমারও সমর্থন আছে। যেখানে মানুষের সমর্থন, সেখানেই আমার সমর্থন থাকবে।
নতুন যাঁরা দলে এসেছেন, তাঁরা যেন দলের লড়াইয়ের ইতিহাসটাও জেনে নেন।
আমি বলেছিলাম, একটানা দু’মাসের কর্মসূচি না করতে। মাঝে মাঝে যাওয়া-আসা করে করতে। কিন্তু এখনকার ছেলেমেয়েরা একটু বেশি জেদি। তারা মনে করে, একটানা রাস্তায় থেকে জীবনটাকে একটু দেখে নিই। আমার নিষেধ অগ্রাহ্য করেই দুর্যোগ মাথায় নিয়ে অভিষেক বেরিয়েছে।
আমি ২৩,০০০ কিলোমিটার জনসংযোগ করেছিলাম। সম্ভবত ১৯৯৩ সালে বেলপাহাড়ি থেকে শুরু করেছিলাম।
মধ্যপ্রদেশে কী হয়েছে? ৫৪ টা লোক মারা গিয়েছে তদন্ত করতে গিয়ে। আমাদের তদন্ত তো কেউ বাধা দেয়নি’। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, ‘যখন ইচ্ছা যার বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছে, সরকারের অনুমতি ছাড়া কাগজপত্র নিয়ে আসছ। বেআইনি কাজ চিরকাল কেউ সহ্য করবে না। আমার প্রাণ থাকতে এন আর সি করতে দেবো না।
আমরা যা প্রকল্প ও সামাজিক কাজ করেছি তা বিশ্বের কোথাও হয়নি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করে মেয়েদের জন্য আমি ভবিষ্যতের জন্য় একটি সুরক্ষা দিয়ে দিয়েছি। আজ যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন যেই তাঁদের ৬০ বছর বয়স হয়ে যাবে তখন তাঁরাই পাবেন বার্ধক্য ভাতা। ছেলেমেয়েদের পড়াশোানার জন্যও সব স্কিম রয়েছে।
অনেকে নবজোয়ার আন্দোলন নিয়ে কুৎসা করেছে। কুকথা-অকথা বলেছে। কিন্তু এই যে জোয়ার এসেছে, এই জোয়ার সবকিছুকে ভাসিয়ে দেবে। নবজোয়ার নয়, এটা প্লাবন। এটা আগামিদিনে বিজেপিকে রোখার স্পন্দন।
ওরা এই জনসংযোগ শেষ করবে গঙ্গাসাগরে। সে দিন আবার ওদের সঙ্গে আমার দেখা হবে।