সাম্প্রতিক খবর

মে ৩১, ২০২১

খুচরো দোকান খোলা থাকবে ১২-৩টে: মুখ্যমন্ত্রী

খুচরো দোকান খোলা থাকবে ১২-৩টে: মুখ্যমন্ত্রী

আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশ:

বুকলেট অন অক্সিজেন ম্যানেজমেন্ট আমরা তৈরী করেছি, অক্সিজেনের যোগান স্বাভাবিক রাখার জন্য

যেহেতু ১৫ তারিখ পর্যন্ত বিধিনিষেধ চলবে, তাই কয়েকটি ক্ষেত্র থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। সেইমতো বইয়ের দোকান, পাড়ার মুদির দোকান-সহ খোলা রাখা হবে. শাড়ি ও গয়নার দোকানের সাথে রিটেল মার্কেট গুলো খোলা থাকবে ১২-৩ টে

১০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারবে তথ্য প্রযুক্তি

নির্মাণ কর্মী দের ক্ষেত্রে কন্ট্র্যাক্টররা যদি নিজেদের কর্মীদের নিজস্ব খরচে ভ্যাকসিন দিয়ে নেন তাহলে তারাও কাজ করতে পারবেন

একটিভ কেসে ১,৩২১৮১ থেকে কমে হয়েছে ১৯৮০৬

দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২৫০০০ থেকে কমে হয়েছে

পজিটিভিটি রেট ৩৩% থেকে কমে হয়েছে ১৮-১৯%

গড় মৃত্যুর হার ১.৬৭% থেকে কমে হয়েছে ০.৫৬%

ছাড়া পাওয়ার হার বেড়ে হয়েছে ৯১%

এখন ও ১.৪১ কোটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে ১.১ কোটি লোক কে প্রথম ডোজ ও ৪০ লক্ষ দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে

রাজ্য নিজের টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনছে, মে মাসে ১৮ লক্ষ আর জুন মাসে ২২ লক্ষ ভ্যাকসিন আমরা কিনেছি, এর জন্য ১১৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে

সবজি বিক্রেতা, হকার, মৎস্য বিক্রেতা, পরিবহন কর্মী দেরও টিকার আওতায় আনা হচ্ছে।এরকম ৯ লক্ষ লোক কে আমরা ভ্যাকসিন দিয়েছি

প্রাকৃতিক দুর্যোগকে রক্ষা করতে পারে প্রকৃতিই। সুন্দরবনে দুর্যোগ এড়াতে সুন্দরী-সহ অন্য গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে

ঘূর্ণিঝড়ে ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

১২০০ ক্যাম্পে ২ লক্ষ লোক আছেন, মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে

৩২৯ টি বাঁধ ভেঙেছে এবং সেগুলো মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে

২৮০ টি পাইপ লাইন প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৫ লক্ষ জলের পাউচ সাপ্লাই করা হয়েছে

২.২১ লক্ষ হেক্টর কৃষিজমি ও ৭১,৫৬০ হেক্টর হর্টিকালচার নষ্ট হয়েছে

বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় শুরু হচ্ছে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প, যে যে জায়গায় ক্ষতি হয়েছে শুধু সেই ব্লকগুলোয় এই ক্যাম্প হবে. আবেদনপত্র নিজে লিখে জমা দেবে

একসঙ্গে অনেক আবেদন করে যা খুশি তাই লিখে দেওয়া যাবে না। নিজে আবেদন করবেন। ড্রপ বক্সে আবেদন পত্র জমা দেবেন। শহরাঞ্চলে এসডিও অফিস এবং গ্রামাঞ্চলগুলিতে বিডিও অফিসে ত্রাণের আবেদন জমা দিতে হবে

গোসাবায় ত্রাণের সমস্যা হচ্ছে । যেভাবে হোক সেখানে ত্রাণ পাঠাতে হবে

ত্রিপল, বেবি ফুড, ওষুধপত্রের যেন অভাব না হয় দেখতে হবে, মানুষের যেন কোন অসুবিধা না হয়

দীঘার সৌন্দর্যায়নের কাজ, ব্রিজের কাজ শেষ করতে হবে, অনেক গ্রাম জলে ডুবে আছে

হকারদের দোকান ভেঙে গেছে, বিশ্ব বাংলার দোকান ও ভেঙে গেছে

দিঘায় পাথর বসানোর প্রক্রিয়ায় গলদ ছিল। ঢালাই করা জায়গার উপর পাথর বসানো হয়েছে। কিন্তু সেটা নিয়ম নয়। খুঁড়ে মাটি বের করে তার উপর পাথর বসাতে হবে

সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মৎস্যজীবীদের, তাদের বোট, ঘরবাড়িরও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে

আগামী বৃহস্পতিবার চেম্বারর্স দের সঙ্গে আমরা একটা বৈঠক করব

নীতি আয়োগের কাছে আরও ৫০০ ফ্লাড শেল্টারের তৈরি করার টাকা চাইব আমরা। যেহেতু প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। তাই এই বন্যা ত্রাণ কেন্দ্র বানাতে হবে। এছাড়া কোল্ড স্টোরেজও বানাতে হবে বেশি করে। মজুতের জন্য গুদাম বা ওয়ার হাউস বানাতে হবে।

৫ কোটি ম্যানগ্রোভ বসাতে পারায় অনেকটা কম ক্ষতি হয়েছে। সুন্দরবনে দুর্যোগ এড়াতে সুন্দরী-সহ অন্য গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে। এছড়া পূর্ব মেদিনীপুরে ঝাউবন বাড়ানোরও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে

ভেটিভার নামের এক ধরনের ঘাস গঙ্গার ভাঙন রুখতে সাহায্য করে। ভাঙন রুখতে এই ঘাস লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে

নীতি আয়োগের কাছে আরও ৫০০ ফ্লাড শেল্টারের তৈরি করার টাকা চাইব আমরা। যেহেতু প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। তাই এই বন্যা ত্রাণ কেন্দ্র বানাতে হবে। এছাড়া কোল্ড স্টোরেজও বানাতে হবে বেশি করে। মজুতের জন্য গুদাম বা ওয়ার হাউস বানাতে হবে

অনেক ইট ভাটা জলে ডুবে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি ঠিক করার কাজে এই কর্মীদের কাজে লাগানো যেতে পারে। এমনকি পরিযায়ী শ্রমিকদেরও কাজে লাগাতে পারেন

তাজ বেঙ্গল থেকে চেতলা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার গঙ্গার ড্রেজিং করতে হবে, এতে কলকাতায় জল জমার প্রবণতা অনেকটাই কমতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রেখেই এটা করতে হবে

দেউচা পাঁচমিতে আপাতত কারও জমি দখল করা হবে না। রাজ্য সরকারের যা জমি আছে তাতেই প্রথম দফায় বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ হবে। দ্বিতীয় দফায় জমি দরকার পড়তে পারে

মানুষের ঘড়-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, স্কুল, কলেজ, ক্ষতিপূরণ এমনকি চাকরির ব্যবস্থা করে তারপরই বাকি কাজ এগোবে। তবে বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে আপনাদের স্বর্ণযুগ আসবে। এটুকু নিশ্চিত করে বলতে পারি।

ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি ভাঙলে তা সামর্থ মতো সারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে সরকার। তবে আমরা গরিবের সরকার। কেন্দ্রের কাছ থেকে সেরকম টাকা পাই না। তাই ক্ষমতা অনুযায়ী সাহায্য করা হবে, আমরা আপনাদের পাহারাদার

কিছু কিছু দফতর আছে অনেক বড়। এগুলো একার পক্ষে সামলানো সম্ভব নয়। এগুলির বিকেন্দ্রীকরণ করা দরকার

আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কিছু চাইনি। শুধু ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দিয়ে বলেছি, আপনি বিবেচনা করুন যা ভাল বুঝবেন দিন