February 3, 2021
তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ কর্মীরাই দলের নেতা: আলিপুরদুয়ারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে এক কর্মিসভায় যোগ দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর বক্তব্যের কিছু বিষয়:
উপস্থিত সকল কে অনেক ধন্যবাদ
তৃণমূল কংগ্রেস শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। যাঁরা লোভী এবং যাঁরা ভোগী, আমরা তাড়ানোর আগেই তাঁরা চলে গিয়েছেন বিজেপিতে। চলে যান। কেউ কেউ ভয়ে পালাচ্ছে। বিজেপিতে গিয়েছ তো? যখন লেজে আগুন দিয়ে দেবে, তখন লোকে বলবে লেজপোড়া বিজেপি।
তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট বিক্রি হয় না, এখানের এমপি এমএলএ টাকা দিয়ে বিক্রি হয় না
তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ কর্মীরাই দলের নেতা, নেতাদের ছাতা দলের কর্মীরা
তৃণমূলে ভোটের টিকিট পেতে লবি করতে হয় না
জন্ম থেকে মৃত্যু সব পরিষেবা মুলক প্রকল্প তৃণমূল করেছে
স্বাস্থ্য সাথি কার্ডে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা করাতে পারবেন
৭-৮ দিনের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে, তাই আমরা স্বাস্থ্য সাথীর একটি বিকল্প কার্ড দেওয়া হবে তাই দিয়ে চিকিতসা করতে পারবেন
বিনা পয়সায়, খাদ্য চিকিৎসা চাইলে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবেন
দাঙ্গা করতে করতে বিজেপির গোটা শরীরই পচে গিয়েছে
আগের বার নির্বাচনের সময় বলেছিল চা বাগান খুলে দেব, একটাও খুলেছে?
১৫ লক্ষ টাকা করে ব্যাঙ্কে দেবে বলেছিল, দিয়েছে? কোল, রেল, এয়ার ইন্ডিয়া বেসরকারিকরণ করছে, লাইফ ইন্সিউরেন্স এর ৭৪% বিক্রি করে দিচ্ছে
পেট্রোল ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে, কৃষক, শ্রমিক মারা যাচ্ছে আর ওদের কাছে এসব দেখার সময় নেই
ওরা শুধু ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দেয়, আর ভোট হলেই পালিয়ে যায়। সাধারণ মানুষের জন্য কিছুই করে না।
পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একটা ট্রেনের ব্যবস্থা করতে পারলেন না, আর দুর্নীতিবাজদের চাটার্ড ফ্লাইটে করে নিয়ে যাচ্ছেন। ১০০ জনের বেশী শ্রমিক মারা গেছে হেঁটে বাড়ি ফিরতে গিয়ে
বিজেপি হল ওয়াশিং মেশিন। দুর্নীতিবাজ, চোর, দুষ্কৃতী সব বিজেপিতে যাচ্ছে আর সাফ হয়ে চলে আসছে।
আমরা বাংলায় ৮৫০০০ হাজার কিমি রাস্তা করে দিয়েছে , আর উনি নাকি বাংলায় ৬৫০ কিমি রাস্তা বানাবেন বলছেন
নেপাল, ভুটান বাংলাদেশের সাথে সংযোগ স্থাপন কর হয়েছে, বিমানবন্দর হচ্ছে
পঞ্চানন বর্মা, রঘুনাথ মুর্মু, বিরসা মুন্ডা, হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা করেছি
করম পুজায় ছুটি দেওয়া হয়
এরা দেশ, জনজাতি, ধর্ম সব বিক্রি করে দেবে, বিভেদ করবে, এদের বিদায় দিন
আদিবাসীদের জমি যাতে কেউ কেড়ে নিতে না পারে, সেজন্য আম্র আআইন করেছি
বাংলার মানুষ কত ভালো আছেন। আর আসাম, ত্রিপুরায় কেউ কথা বলতে পারে না, অত্যাচার চলছে মানুষের ওপর
এন আর সি র নামে সবাইকে তাড়িয়ে দিচ্ছে, আমরা বাংলায় করতে দেব না
এখানে কোন ভেদাভেদ নেই, আমরা সব রাজ্যের সব মানুষকে নিয়ে একসাথে থাকি, তাই বলে গুজরাত বাংলাকে শাসন করবে তা হবে না
সবাইকে নিয়ে আমরা একসাথে থাকব
বিনা পয়সায় রেশন শিক্ষা মিলবে তৃণমূল থাকলে, মাইনে বাড়বে, পেনশন পাবেন
আর বিজেপি এসে শুধু মিথ্যে বলে, লোকসভা নির্বাচনে জিতে পালিয়ে গেছে আর দেখা যায়নি তারপর থেকে
এখানে ২৮২ চা বাগান, ৩ লক্ষ চা শ্রমিক আছে, এদের জন্য চা সুন্দরি প্রকল্পে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, এদের জন্য আমরা বাড়ি বানিয়ে দেব
গতকাল ও আমি প্রায় ৪৫০০ শ্রমিক কে পাট্টা দিয়েছি
চা বাগান বন্ধ হয়ে গেলে আমরা তাদের ১৫০০ টাকা করে দিই
আমরা দেব বলে মিথ্যে কথা বলে পালাই না, আমরা যা বলি তাই করি
বিজেপিকে বাংলা থেকে তাড়ানোই আমাদের অঙ্গিকার
কেউ কেউ টাকার জন্য বিজেপিতে গেছে, ভাবছে অনেক টাকা পাবে
ভোটের সময় টাকা দিলে নিয়ে নেবেন, আর ভোটবাক্সটা উল্টে দেবেন
এতদিন পাহাড় উত্তরবঙ্গ শান্ত আছে, কোন অশান্তি হয়নি
আমরা চাই উন্নয়ন ওরা চায় বিসর্জন
সারা ভারতে ৪০% বেকারত্ব বেড়েছে, আমরা বেকারত্ব কমিয়েছি ৪০%
কৃষক বিরোধী, শ্রমিক বিরোধী, জনবিরোধী বাজেট করেছে কেন্দ্র
কেরোসিন তেলের ভরতুকি তুলে নিল , পেট্রোল ডিজেলে সেস বসিয়ে দিল। ৮ দফা তেলের দাম বাড়িয়েছে। আরও বাড়াবে। বিজেপি আম জনতার পার্টি নয়। বড়লোকদের পার্টি।
কৃষক আজ রাস্তায় বসে আন্দোলন করছে
আমরা বিনামুল্যে জুতো , ব্যাগ, স্কুলের পোশাক , মিড ডে মিল দিই
মেয়েরাই আমাদের সম্পদ, সকলে ভালো করে পড়াশোনা করো
নারায়নি সেনা করে দেওয়া হয়েছে, ৩৫০০ নিয়োগ হবে, বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেছে
গোর্খা ও জঙ্গলমহল ব্যাটালিয়ন তৈরী করে দেওয়া হয়েছে
সব চোর গুন্ডা গুলো বিজেপিতে গেছে, ওদের একটাও ভোট নয়
কেউ কেউ এদিক ওদিক দৌড়ে বেড়াচ্ছে। যেতে দিন। যে বেশি দুর্নীতি করেছে, সে তো পালাবেই। আমি সবাইকে জানি, কে কী করেছে। ওদের লম্ফ-ঝম্ফ সব বন্ধ হয়ে যাবে। বিধানসভার পরে দেখব।
যে ছেলেটা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে, বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে ও কিছু কারসাজি করেছে। আমরা তার তদন্ত করছি। আজ থেকে ৭-৮ দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলে আমরা করতে পারব না। কিন্তু তদন্ত চলবে। কিন্তু এর পরে আপনারা যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের দাবি সত্যি হলে আমরা পুনর্বিবেচনা করব।
এখন যে বড় বড় কথা বলছে, বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে কী করেছে, জিজ্ঞেস করুন। চুরি করে এখন বিজেপির পকেটে চলে গিয়েছে।