এজেন্সি দিয়ে গোটা দেশকে জেল বানিয়ে রেখেছেন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

লোকসভা ভোটের প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা বাঁকুড়া জেলায়। বাঁকুড়া জেলার রাইপুরে সভা করছেন তিনি। এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন তালড্যাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী। বাঁকুড়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কিছু অংশ :

জানি না ডিভোর্স হয়েছে কি না। তাঁর স্ত্রী দাঁড়িয়েছে সেখানে। তাঁর যদি আমি ফোটোগুলো খুলি, তা হলে বিষ্ণুপুরের মানুষ বুঝবেন, বিজেপি কত আদর্শবান দল। সব ছবি আমার কাছে আছে।

লক্ষ্মীর ভান্ডার, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ করা, সিলেবাস তৈরি করা সব করা হয়েছে।

আপনি ব্লকে ব্লকে প্রচার করুন। আমার আপত্তি নেই। এটা আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আপনি জলপাইগুড়ির সভা থেকে ওখানকার মানুষদের জন্য কি কোনও সাহায্যের কথা ঘোষণা করলেন?

বলছে ৪ জুনের পর সব জেলে ভরব। এ কথা কি প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোভা পায়? গোটা দেশে জেল বানান। এজেন্সি দিয়ে গোটা দেশকে জেল বানিয়ে রেখেছেন। আমরা আপনাকে ভয় পাই না।

আপনি কাকে ধমক দিচ্ছেন, আমরা ভয় পাই না।

নতুন সংসদ ভবনকে জেলে পরিণত করে সবাইকে ভরে দিন। কিন্তু হুমকি দেবেন না।

বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর, জেলার দুটো লোকসভা আসনই জিততে হবে

এনআইএ, সিবিআই, বিজেপির ভাই ভাই : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ পুরুলিয়ায় জনসভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য

মণিপুরে দেখুন, মেয়েদের নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে। মেয়েদের সম্মান নেই। রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতেও তাই। সারা ভারতে তাই। একমাত্র আমার দলিত ভাই-বোনেরা সম্মান পায় বাংলায়। আদিবাসী ভাই-বোনেরা জানে, আমি ওঁদের সঙ্গে ধামসা-মাদল বাজাই। ঝুমুর নাচ করি। আদিবাসী গুণীজনদের সংবর্ধনা দিই, আদিবাসী উৎসব, করম পুজো— সব করি। আমরা সবাইকে নিয়ে করি।

আগে আদিবাসী স্কুল, আশ্রমে যে ছেলে-মেয়েরা থাকতেন, তাঁরা ১০০০ টাকা ভাতা পেতেন। এখন ১,৮০০ টাকা পান। তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যায় টাকা। বন পাট্টা দেওয়া হচ্ছে। সাঁওতালি ভাষাকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। উচ্চশিক্ষার জন্য তফসিলি আদিবাসীরা ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। বিদেশে গেলে ২০ লক্ষ টাকা।

আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়া যাবে না। তাঁদের জমি তাঁদের হাতেই থাকবে। অরণ্যের তাঁরাই বড় সম্পদ।

রাস্তা দিয়ে আসছিলাম। দেখলাম মাটির বাড়ি। তাতে দু’টি বাড়িতে পদ্ম আঁকা রয়েছে। একটিতে তৃণমূলের প্রতীক আঁকা। মোদী সরকার ঘর তৈরির জন্য, রাস্তা তৈরির জন্য, ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি। ১০০ দিনের কাজের টাকা আমরা দিয়েছি। জব কার্ড হোল্ডারদের টাকা মারা যাবে না।

১১ লক্ষ বাড়ির তালিকা পাঠিয়েছিলাম। বাড়ি দেওয়ার জন্য। ভোটের আগে কল সেন্টার থেকে সে সব বাড়িতে ফোন করছে। ফোন করে বলছে, ‘নতুন করে বিজেপিতে আবেদন করো, ঘর পাবে।’ আমি বলেছি, না বন্ধু, ভোট হলে ১১ লক্ষ মানুষের ঘর তৈরি করব। মাটির বাড়িতে যাঁরা পদ্ম আঁকছেন, তাঁদের বলি, ওটা পদ্ম নয়, গদ্য নয়, ভাঁওতা, জুলুমবাজি। আমরা চাই গরিবের ভালবাসা। আমরা চাই আদিবাসী, মাহাতোদের নিয়ে একসঙ্গে থাকতে।

রাস্তায় আসতে আসতে দেখলাম আমার ছবি মুছে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ছবি কেন মোছা হয়নি? তাঁর নামে বন্ধু-কেন্দ্র। এটা প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল? আমি আঙুল দিয়ে দেখালাম।

মানুষ প্রতিবাদ করলে এনআইএকে ঘরে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। মধ্যরাতে মহিলা ঘরে ঘুমাচ্ছেন। গদ্দারের এলাকায় মধ্যরাতে পুলিশকে না জানিয়ে চলে গেল। আগে পুলিশের উর্দি পরে সিঙ্গুর নন্দীগ্রামে অনেকেই বদমায়েশি করেছে। মেয়েরা কী করে বুঝবেন? মা-বোনেরা প্রতিবাদ করলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ডায়েরি করা হল। বলছে তৃণমূলের সব বুথ এজেন্টদের গ্রেফতার করো।

আবার রামনবমী আসছে। চকোলেট বোম ফেললেও এনআইএকে ঢুকিয়ে দেবে। পুরুলিয়ায় সব হোটেলে গিয়ে এনআইএ খোঁজ নিচ্ছে, কে থাকছে। তোমার কী? তোমার কী কাজ? কোন হোটেলে কোন পার্টির লোক থাকবে? নির্বাচনের সময় আমরা সরকারি জায়গায় থাকি না। যে হেলিকপ্টার নিয়ে কর্মসূচিতে যাই, সেটাও দলের টাকায় ভাড়া করি।

এনআইএ, সিবিআই, বিজেপির ভাই ভাই। ইডি আর ইনকাম ট্যাক্স। বিজেপির টাকা তোলার বক্স। আমাদের আছে লক্ষ্মীর ভান্ডার। ওদের আছে ইডির ভান্ডার। আমাদের আছে কৃষির ভান্ডার। ওদের রয়েছে সিবিআই ভান্ডার। বলছে বিজেপি করো। কেন বিজেপি করবে? অত্যাচারী সরকার।

‘একটা দানবীয় সরকার। অশুভ সরকার। আর মোদীবাবু গ্যারান্টি দিচ্ছে। আপনার গ্যারান্টি মানে নোটবন্দি। আপনার গ্যারান্টি মানে সিবিআই।

কোটি ৫ লক্ষ মহিলা টাকা পেয়েছেন। মোদীবাবুর প্রকল্পের নাম, আয়ুষ্মান ভারত। আপনি একটা সাইকেলও পাবেন না। আমরা ৯ কোটি মানুষকে সুবিধা দিচ্ছি। আমাদের গ্যারান্টি গ্রামের জন, ১০০ দিনের কাজের টাকা। মোদীবাবুর গ্যারান্টি শুধু নিজের ছবি দেখা। পাঁচ কেজির খাবারের বস্তাতেও মোদীবাবুর ছবি। কোনও দেশে এ রকম হয় না। আমি যে চাল, গম দিই, তাতে কি এ রকম ছবি দিই?

ভোট তো দিয়ে দেখলেন। এখানকার সাংসদ কিছু করেছেন? দেখতে পেয়েছেন? তিনি কালো না সাদা? বিজেপি করলেই সাদা। তৃণমূল করলে কালো।

তৃণমূলকে ভোট দিন। নয়তো আগামী দিনে ভারতবর্ষ থাকবে না। আর এখান থেকে বিজেপিকে জেতাবেন না। ওরা সব কেড়ে নেবে। ধর্ম, জাত কেড়ে নেবে। ইডি, সিবিআই লাগিয়ে দেবে।

অভিন্ন দেওয়ানি আইন পাশ করিয়েছে। আগামী দিনে তাতে সংরক্ষণ থাকবে কি না জানি না। ক্যা (সিএএ) পাশ করিয়েছে। নিজের ধর্ম মতো বিয়ে করতে পারবেন না। সবার ঘর কেড়ে নেবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মিছিল করুন, মিটিং করুন, দাঙ্গা করবেন না। এরা দাঙ্গা করে। প্ররোচনায় পা দেবেন না। নিজের মতো থাকবেন। ওঁরা এক দিন নাচবেন। আপনারা পর দিন শান্তির মিছিল করবেন।

সিএএ মাথা হলে লেজ এনআরসি : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর উত্তরবঙ্গে গিয়ে পর পর সভা করেছেন। জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের পর শনিবার তাঁর জোড়া সভা উত্তরবঙ্গের দক্ষিণের জেলায়। বালুরঘাটে সভা করার পর উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওখানে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ :

প্রধানমন্ত্রী বলেন বাংলার সরকার আমার কথা শোনে না। কেন শুনব? আমরা কি বিজেপির চাকর? যেটায় মানুষের লাভ হবে, আমি সেটা করব। ‘আয়ুষ্মান ভারত’ কেন করব? ‘স্বাস্থ্যসাথী’তে ন’কোটি পরিবার সাহায্য পান। ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এ ১ কোটি মানুষ পেতেন। বাকি ৮ কোটি বাদ যাবে?

চকলেট বোম ফাটালেও গ্রেফতার করছে। আমাদের হারানোর জন্য ভোট ম্যানেজারদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিজেপি যদি জয় নিয়ে এতই নিশ্চিত, তা হলে গ্রেফতার করতে হচ্ছে কেন? এনআইএ-কে পাঠাতে হচ্ছে কেন?

আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন চাই। কিন্তু সকলেই বুঝতে পারছেন। আমাকে আর বলতে হবে না। বিজেপি যা বলছে, তাই হচ্ছে।

ওরা বলছে সিএএ নাকি হিন্দুদের জন্য। না। মিথ্যা কথা। সিএএ মাথা হলে লেজ এনআরসি। সিএএ-র পরেই ওটা করা হবে। সবাইকে বিদেশি বানিয়ে দেবে।

দুর্যোগের পরে এলেন কোচবিহারে, দুর্যোগ নিয়ে একটা কথা নাই ওঁর মুখে! আসলে দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকার টাকা দেবে। আর উনি নাম কিনবেন।

ওঁরা তল্লাশি অভিযান চালিয়ে টাকা তুলছে আর বিজেপির ফান্ডে দিয়ে দিচ্ছে।

যাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরই ভোটের এজেন্ট করা হবে।

আমি ভয় দেখাচ্ছি না। কিন্তু যে আধিকারিকেরা এটা করছেন, তাঁদের বলছি, বিজেপি কিন্তু সারা জীবন ক্ষমতায় থাকবে না। আরশোলা কামড়ালেও মানবাধিকার কমিশন আসছে। আমরা সব নজরে রাখছি। ভুলে যাচ্ছি না।

বিজেপির যত রাগ শুধু তৃণমূলের উপরে। সিপিএম তো সবচেয়ে বড় চোরের দল। ৩৪ বছর ধরে চুরি করেছে। ওদের একটা নেতাকেও গ্রেফাতর করেনি।

 

বাংলায় তৃণমূল ছাড়া কাউকে ভোট দেবেন না : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে ভোটপ্রচারের জন্য সেখানে জনসভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তুফানগঞ্জের নাগুর হাট হাই স্কুলের মাঠে সভা হয়েছে। সেখানে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ:

সন্দেশখালি সিঙ্গুরও নয়, নন্দীগ্রামও নয়। কিছু ঘটনা স্থানীয় ভাবে ঘটেছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে। আমরা শাহজাহান, আরাবুলকে গ্রেফতার করেছি।

অনেকের চাকরি খেয়েছেন। এ বার জনগণের আদালতে আপনার বিচার হবে।

শীতলখুচিতে পাঁচ জনকে গুলি করে মেরেছে। যাঁর নির্দেশে গুলি চলেছে, তাঁকেই (দেবাশিস ধর) বীরভূমে প্রার্থী করেছে বিজেপি।

আপনারা বাংলাকে ঘৃণা করেন। আপনারা বাংলাকে বঞ্চিত করে রেখেছেন। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে অত্যাচার করছেন।

প্রধানমন্ত্রী যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণ করেননি। চা বাগানের দশ লক্ষ মানুষকে বিপদে ফেলেছেন। ঝড়ে যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে, তাঁদের নাম আবাসের তালিকায় ছিল। বাড়ি পেলে আজ ওদের এই দুর্দশা হত না।

বিজেপি দেশ বেচে দিয়েছে। সিপিএম-কংগ্রেসকে নিয়ে লড়ছে বিজেপি। বাংলায় তৃণমূল ছাড়া কাউকে ভোট দেবেন না। ভোট দিলে বিজেপির সুবিধা হবে।

 

আমি থাকাকালীন ওদের ক্ষমতা নেই যে বাংলার মানুষের গায়ে হাত দেবে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলপাইগুড়ির মালের মাল আদর্শ বিদ্যাভবনের মাঠে জনসভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ:

এখানে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিআইএম আছে। সঙ্গে একটি মুসলিমদের পার্টি হয়েছে। যেমন হায়দরাবাদে এআইএমএম করে বেড়াচ্ছিল, (এরা সেরকমই করে পশ্চিমবঙ্গে)। এদের কাজ হচ্ছে, বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে সংখ্যালঘু ভোটকে ভাগ করে দেওয়া। যাতে তৃণমূল জিততে না পারে, আমি হাতজোড় করে বলব, আপনারা এখানে শান্তিতে আছেন। আপনাদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। কেউ ওই চক্রান্তে জড়াবেন না।

কোচবিহারে আমাদের প্রার্থী একটা হিরে। কথা কম বলে। কাজ বেশি করে।

জনগণের কাছে আর্জি, আমার মুখটা মনে করে ভোটটা দেবেন। আর ভোট দিয়েই বলবেন জয় বাংলা।

বলছে যে ইডির টাকা গরিব জনগণকে দেব। আমি বলছি যে দিয়েছ সেই টাকা? আর কত টাকা করে দেবে? ২১ টাকা করে পাবেন। ২১ টাকা করে চাই নাকি বাংলাকে বাঁচাবেন? ২১ টাকা করে চাই নাকি দেশকে বাঁচাবেন?

আপনি কেউটে সাপকেও বিশ্বাস করতে পারেন। সাপুড়েরা পোষ মানাতে পারেন। কিন্তু জীবনে বিজেপি পার্টিকে বিশ্বাস করতে পারবেন না।

পরিযায়ী শ্রমিকদের বলছি যে ভোটটা দিয়ে যাবেন। নাহলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে দেবে। আমরা ২৮ লাখ পরিযায়ী শ্রমিকের তালিকা তৈরি করেছি। বিপদের সময় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করি আমরা।

চা বাগান বন্ধ করে দিয়েছে। চিন্তা করবেন না। আমরা মন-প্রাণ দিয়ে রক্ষা করব। মানুষের দাম দিই। মানুষের অধিকার কেড়ে নিই না।

এখানে এসে কুমিরের কান্না কাঁদবেন। ওঁদের জিজ্ঞাসা করবেন যে রাজ্য সরকার যে আবাস যোজনার জন্য ১১ লাখ নাম পাঠিয়েছিল, সেটার কী হল? ১০০ দিনের কাজের টাকার কী হল?

আমি থাকাকালীন ওদের ক্ষমতা নেই যে বাংলার মানুষের গায়ে হাত দেবে। ভোটের আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) করছে। মনে রাখবেন যে সিএএ হল মাছের মাথা। আর মাছের ল্যাজা হল এনআরসি। কোনও সিএএ হবে না। কোনও এনআরসি হবে না।

এখানে একজন বাবু আছে। আমাদের দল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি। আমাদের দলে ছিল আপদ। বিজেপির সম্পদ হয়ে গিয়েছি। আমি শুনেছি যে সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের পুলিশের টুপি পরে বেড়ায়।

বিজেপি বলছে ভোট দাও, এজেন্সি থেকে মুক্তি পাও : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কোচবিহারের মাথাভাঙার গুমানির হাটে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ:

যার বিয়ে সে নিজেই পুরোহিত। বিজেপি আর নির্বাচন কমিশন এক হয়ে কাজ করছে। সেই কারণেই নির্বাচনী আচরণ বিধি মানে না বিজেপি।

কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধান বা আইন মানে? ওদের একটাই নীতি, এক দেশ, এক দল। বিজেপি বলছে ভোট দাও, এজেন্সি থেকে মুক্তি পাও। কেন আবাসের বাড়ি এখন করতে দিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন, বিজেপি বললে তবে ছাড়বেন টাকা। এটা তো প্রশাসনের সিদ্ধান্ত। নির্বাচন বিধি লাগু আছে তাই এখন তো কিছু বলতে পারি না। এখন বিজেপির পার্টি অফিস থেকে ফোন করে বলছে। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিকে আমরাই ঠিক করে দেব। কমিশনকে অনুরোধ, বিষয়টা ঝুলিয়ে রাখবেন না।

আজ একজন আসবেন যিনি এসেই কাঁদবেন। কুমিরের মতো কান্না সব।

ভোটের আগে ক্য ক্য করে চিল্লাচ্ছে। ক্যা-টা হচ্ছে মাছের মাথা। আর ল্যাজাটা হচ্ছে NRC. এখন কী বলছে? পুরোহিত লিখে দিলেই হবে। কোন আইনে আছে? মিথ্যে কথা বলার আর মানুষকে বঞ্চিত করার একটা লিমিট থাকা উচিত। পুরোহিতরা পুজো করেন। পুরোহিতরা বাংলাদেশের। তাদের বাবা – মা বাংলাদেশের। তাদের জন্ম সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে। আর যখনই আপনি নাম লেখাবেন, সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশি হয়ে গেলেন। অর্থাৎ, আপনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন না, আপনি কন্যাশ্রী পাবেন না, ভোট দিতে পারবেন না। আপনার নাগরিক অধিকার থাকবে না। আপনার সরকারি অধিকার থাকবে না। এটা ভালো না খারাপ, নিজেরা বুঝে নিন। আর যেই ডিটেনশন করবে, আসামে এখনও আছে, ডিটেনশন ক্যাম্প করে রেখে দেবে।