বিজেপি মুখে বলি হরি হরি, আর কাজের সময় করি চুরি: ছাতনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাঁকুড়া জেলার অন্তর্গত ছাতনায় আজ দ্বিতীয় জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তার বক্তব্যের কিছু বিষয়:

আমার পায়ের সবথেকে মোটা হাড়ে আঘাত, তাই কষ্ট করে আসতে হচ্ছে। আমি আঘাতকে জয় করতে করতে এই জায়গায় দাঁড়িয়ে। আমি আঘাতের কাছে হারবো না. আমি এই কষ্ট করছি বাংলা রক্ষা করার জন্য

এটা দিল্লির ভোট নয়, আমরা থাকব কি না, সেজন্য ভোট। বহিরাগতদের ভোট দেওয়া যাবে না। এটা বাংলার ভোট। আপনারা আমাকে ২ বার দায়িত্ব দিয়েছেন, আমরা অনেক কাজ করেছি

শুভাশিস বটব্যাল প্রথম বাঁকুড়ায় পেঁয়াজ চাষ করেছে। আগামী দিনে বাংলার জন্য পেঁয়াজ আর নাসিক থেকে আনব না, এখানেই চাষ হবে

বাঁকুড়া আমার খুব প্রিয়, এখনকার ছেলে মেয়েরা পড়াশোনায় খুব ভালো

শুশুনিয়া পাহাড়ে ইকো ট্যুরিজম হচ্ছে। হোম ট্যুরিজম কে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি

অনেক শ্রমিক বাইরে গেছে কাজ করতে, অনেক ছেলেমেয়ে পড়াশোনার জন্য রাজস্থান গেছিলো, কোভিডের সময় বাস পাঠিয়ে রাজস্থান থেকে বাইরে থেকে ফিরিয়ে এনেছিলাম। একটা টাকাও একটা ভাড়াও বিজেপি দেয়নি, আমি ৩০০ ট্রেন ভাড়া করে ওদের ফিরিয়ে এনেছিলাম

রাজ্যের সবাই যাতে ভ্যাকসিন পায় তাই আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলাম, বলেছি খরচ রাজ্য দেবে কিন্তু উনি এখন ও অনুমতি দেননি

বিজেপি দাঙ্গা লাগায়, লুঠ করে গুন্ডামি করে, টাকার ভান্ডার নিয়ে ঘুরে বেড়ায় মানুষের টাকা লুঠ করেছে নোটবন্দিতে। হাজার হাজার কোটি টাকার হিসেব নেই। নির্বাচনের সময়ে ৫০০, ৫০০০ টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করে, এটা জনগণের টাকা বিজেপির নয়

বিজেপি ধর্মের নামে মিথ্যে কথা বলে, মুখে বলি হরি হরি, আর কাজে করি চুরি

বিজেপির রাজ্য উত্তরপ্রদেশে মেয়েদের ওপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার, বিহারে দলিতদের ওপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার। নরেন্দ্র মোদি সরকার কৃষকদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমি বাংলার কৃষকদের আধিকার কেড়ে নিতে দেব না

আগামী মে মাসের পর বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে যাবে

৪০০টাকার গ্যাস এখন ৮০০ টাকায় কিনতে হয়। উজ্বলা এখন কোরাপশন এ ছেয়ে গেছে

বাঁকুড়ায় এসে ভাত খাচ্ছে লোকের বাড়িতে অথচ ফাইভ স্টার হোটেলের খাবার এনে খায়. আমার বাড়িতে আদিবাসী মেয়েরাই থাকে। ওদের জন্যই আমি খেতে পারি, আমার সেবা করে তারা

আমাকে যখন গার্ডেনরিচে গুলি করে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল, তখন একটি ছেলে নিজের হাতে গুলি খেয়ে আমায় বাঁচিয়ে দেয়। ছেলেটি একটি মুসলিম ছেলে। আমরা সমস্ত ধর্ম-কর্মের-সম্প্রদায়ের মানুষকে ভালোবাসি। শরীরের একটি অঙ্গ বাদ গেলে কষ্ট হয়। তেমনই সবাই মিলে একসঙ্গে থাকতে হবে

রেল, ব্যাঙ্ক, কোল ইন্ডিয়া, বিএসএনএল বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। জীবন বিমার ৭৫ শতাংশ বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্কে টাকা রেখে ফিরে পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই

পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায় কৃষকরা মাসের পর মাসে বসে রয়েছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় নেই বিজেপি-র। অথচ বাংলায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মারার চেষ্টা করছে। কাল তো ওদের সভাতেও লোক হয়নি। সিবিআই লেলিয়ে দিচ্ছে

সারাক্ষণ একে মার, ওকে গ্রেফতার করে বেড়াচ্ছে। এর বাড়িতে আয়কর হানা। ওর বাড়িতে সিবিআই পাঠিয়ে দাও। নির্বাচন চলছে। এখন এ সব হওয়া উচিত? এমনকি আমার হোম সেক্রেটারিকে পর্যন্ত নোটিস পাঠিয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে বলছি। নির্বাচন কমিশন কে চালাচ্ছে? অমিত শাহ বাবু আপনি চালাচ্ছেন না তো? আমার প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। আমরা চাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নির্বাচন হোক। কিন্তু অমিত শাহ কে?তিনি নির্বাচন কমিশনকে গাইড করার কে?কমিশনের কাজে উনি হস্তক্ষেপ করছেন

বাংলা কোন বহিরাগত গুন্ডার হাতে যাবে না, সাংবাদিকদের নির্দেশ দিয়ে রেখেছে যা োর বলবে তাই দেখতে হবে

মোদী বাবু নিজের নামে স্টেডিয়াম ও রাস্তা করছে কোনদিন দেশটাও নিজের নাম করবে

যখন কেউ প্রতিবাদ করতে পারে না তখন বাংলা প্রতিবাদ করে

সিপিএম থেকে আসা কিছু গুন্ডা আমাদের দলেও ছিল। কিছু মিরজাফর, বিশ্বাসঘাতক ছিল। তাড়ানোর আগেই চলে গিয়েছে। বেঁচে গিয়েছি আমি। তৃণমূল এখন মানুষের দল। মনে রাখবেন বিজেপি-র অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার একটা লোকও যদি না থাকে দেশে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন

ভারতে একটাও প্রতিবাদ করার লোক না থাকলেও আমি প্রতিবাদ করে যাব। সারা ভারত প্রতিবাদ না করলেও বাংলা করবে। পুরুলিয়া বাঁকুড়ার দিকে তাকিয়ে বাংলার মানুষ। সবার আগে আপনারা ভোট দেবেন

আগামীদিনে ডানকুনি থেকে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর পর্যন্ত জঙ্গলমহল শিল্পসুন্দরী করছিঃ শালতোরায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ বাঁকুড়ার শালতোরায় জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ 

আমার পায়ে চোট তাই আমি আজ দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিতে পারছিনা তাই ক্ষমা চাইছি।

আমি মাথায় অনেক বার আঘাত পেয়েছি, মাথায় পেয়েছি, কোমরে পেয়েছি। সব আঘাত সহ্য করেছি। কিন্তু মানুষের পায়ে আঘাত লাগলে দাঁড়াতে না পারার যে যন্ত্রণা, তা যাঁরা পেয়েছেন, তাঁরাই বুঝবেন।

চিকিৎসকরা আমাকে নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু আমি বাইরে বেরিয়েছি এই কারণে যে, আমি ঘরে বসে থাকলে বিজেপি যে যন্ত্রণা মানুষকে দেবে, তা থেকে মানুুষ নিস্তার পাবেন না। আমার যন্ত্রণা হলেও মানুষের যন্ত্রণা যাতে না হয়, তার জন্য়ই এই সিদ্ধান্ত।

বাঁকুড়ায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি, মেজিয়ায় থার্মাল পাওয়ার, কোল মাইন সহ অনেক শিল্প হয়েছে

আগামীদিনে ডানকুনি থেকে পুরুলিয়ার রঘুনাথ পুর পর্যন্ত জঙ্গলমহল শিল্প সুন্দরী করছি ৬৪০০০০ কোটি টাকা দিয়ে, এর ফলে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে

সারা ভারতে বিজেপির জমানায় পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ানোয় সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে। গ্যাসের দাম বাড়ানোয় সমস্যা বাড়ছে। আপনারা বিজেপিকে বলুন, আমরা বিনা পয়সায় খাবার দিচ্ছি। আপনারাও বিনা পয়সায় গ্যাস দিন। কেন দেবেন না। আপনাদের হাতে গ্যাস রয়েছে।

আজ থার্মাল পাওয়ার, ব্যাঙ্ক, রেল, বিমাকে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে ব্যাঙ্কে টাকা রেখেও আপনারা ফেরত পাবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

হোম মিনিস্টার কলকাতায় বসে পরিকল্পনা করা করছেন, কাকে গ্রেফতার করা হবে, কাদের পিছনে ইডি-সিবিআই লাগানো হবে। নন্দীগ্রামে যাঁরা আন্দোলন করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এখন মামলা করা হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যম কে চালাচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশন অমিত শাহ চালাচ্ছেন না তো? আমরা চাই নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। কিন্তু অমিত শাহ নির্বাচন কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করুক, এটা আমরা কিছুতেই মানব না। বন্যা হলে আসে না, ঝড় হলে আসে না, কোভিড হলে আসে না। আর নির্বাচনের সময় আসলে বলে বাংলা চাই।

আমার নিরাপত্তা রক্ষী কে বদল করে দিয়েছে। কি চায়? প্রাণে মারতে চায় আমাদের? বিজেপি, আমায় খুন করলেই জিতে যাবে ভেবেছ?

বহিরাগত গুন্ডা এনে এ রাজ্যে ভোট করতে দেব না। আমি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের বলি, আপনারা আগে ১২ ঘণ্টা কাজ করলে এখন ১৮ ঘণ্টা কাজ করুন

চাষিদের কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা যেমন দেওয়া হচ্ছে, সেটা চলবে। বড়জোড়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে শুরু করে কোলিয়ারি, কোনও কিছুই বন্ধ করা যাবে না। আমরা আন্দোলন করব। রেল, বিমা, ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ করতে দেব না।

রেশনে বিনা পয়সায় খাবার দেওয়া হচ্ছে। এ বার রেশন দোকানে যেতে হবে না। বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে যাবে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বছরে চিকিৎসার জন্য যে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়, সেটা চলবে।

আমার খাবার এনে দেয় যে, সে কিন্তু বাউরি মেয়ে। আমি বিজেপি-র মতো পাঁচতারা হোটেলের খাবার খেয়ে দেখাই না। আমার ভাইেয়র বউ তফশিলি সম্প্রদায়ের। আমাদের পরিবার এ ভাবেই চলে। কোনও ভেদাভেদ নেই।

যখন রক্তদান হয়, আমরা কি মনে রাখি, ওটা কার রক্ত। সেই রক্ত যখন অন্য কারও শরীরে মিশে যায়, সেটা কি আর আলাদা করা যায়? খাদ্যসাথী থেকে শুরু করে, স্বাস্থ্যসাথী থেকে শুরু করে, বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেব।

গায়ের জোরে বিজেপি বাংলা জয়ের চেষ্টা করছে

আমরা ৩০০ ট্রেনে করে পরিযায়ীদের এনেছি, মোদী বাবু কোন ব্যবস্থা করেনি

বাংলা ভালো থাকলে আমরা খুশি থাকি

তুমি বিপদে পড়লে একটা মানুষকে খেতে দাও না, আর ভোটের সময় টাকা দিয়ে দেখবেন ভোট কেনার চেষ্টা করবে। সেই টাকা ওদের টাকা নয়, আপনার টাকা। সেই টাকা দিতে এলে কী করতে হবে, আমি বলব না।

একটা করে ভোট, একটা খেলা। ২৭ তারিখ কিন্তু খেলা খেলতে হবে। বিজেপি ভেবেছে আমার একটা পা ভেঙে দিলে সুবিধা হবে। কিন্তু মনে রাখবেন, সুস্থর চেয়ে আহত বাঘ আরও ভয়ঙ্কর। আমার মা-বোনেদের দুটো পা আছে, তাঁদের পায়ে দাঁড়াব। আমরা ছাত্র-যৌবনের দুটো পা, তাঁদের পায়ে দাড়াব।

 

বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’, ভোটের প্রচারে গান বাঁধল তৃণমূল

স্লোগান পাল্টে গেল ছন্দে। ভোটের আগে ‘মমতাময়’ গান বেঁধে ফেলল তৃণমূল। এই গান বাজিয়েই এ বার নির্বাচনী প্রচারে নামবে শাসকদল। তাতে বার বার দলের নির্বাচনী স্লোগান ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ উঠে এসেছে।

আজ সন্ধ্যায় গানটি প্রকাশিত। গানের কথায় বার বার উঠে এসেছে দলনেত্রীর কথা।

বলা হয়েছে, ‘বিশ্বাস করি এককথায়/ তাই তো সকলে দিচ্ছি সায়/ যে বোঝে মাটিকে/ যে বোঝে সব/ এই বাংলার যে গৌরব/ বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়/ সে থাকলে হবে সম্প্রীতি/ ঐতিহ্য সংস্কৃতি/ তারই পাশে আছে বাংলা/ বর্গীরা নেবে বিদায়/ বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’।

আগামী দিনে মাঠে ময়দানে তৃণমূলের সভায় এই গান শোনা যাবে।

 

অনেকে ভেবেছিলো আমি হয়তো প্রচার করতে যেতে পারবো না: বাঘমুণ্ডিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার পর আজ পুরুলিয়া জেলার বাঘমুণ্ডিতে প্রথম জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুইল চেয়ারে বসেই তিনি আজ বক্তৃতা দেন।

তাঁর বক্তব্যের কিছু বিষয়ঃ

১০ তারিখে একটি ঘটনায় পায়ে চোটের জন্য সারা শরীরে চোট। সৌভাগ্যবশত বেঁচে গেছি

পায়ে পুরো প্লাস্টার হাঁটাচলা করতে পারছি না। অনেকে ভেবেছিলো আমি হয়তো প্রচার করতে যেতে পারবো না

আমার চেয়েও মানুষের যন্ত্রণা অনেক বেশি

বাংলায় সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে থাকেন

অধিবাসীদের জমির অধিকারে আমরা আইন করেছি

পুরুলিয়ায় ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি

বিজেপি গ্যাস-পেট্রোলের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে। বিজেপি কেন্দ্রীয় সংস্থা বিক্রি করে টাকা কামাচ্ছে। সেই টাকা ওরা নির্বাচনে খরচ করছে

টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চাইছে বিজেপি। এত টাকা কোথায় পেল বিজেপি?

নোটবন্দি করে টাকা কামিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস-সিপিএম এখানে বিজেপি-র দালালি করে

আপনাদের ভোট লুঠ করতে দেবেন না

আমি যদি ভাঙা পায়ে লড়তে পারি, তা হলে তোমরা কেন লড়তে পারবে না?

অভিমান করে ঘরে বসে থাকবেন না, বিজেপি-র বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করুন

বাংলা থেকে আমরা বিজেপি হঠাওয়ের ডাক দিয়েছি

বিজেপি সারা দেশে স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছে, মানুষের কণ্ঠরোধ করছে

পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে ভাড়া দেয়নি কেন্দ্র

আমরা পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে থেকেছি

বিজেপি-র কান্নায় ভুলবেন না. এখানকার সাংসদ কিছু করেছেন এলাকার জন্য?কংগ্রেসকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিন

সব কাজ যদি মমতা দিদি করে, তা হলে খাল কেটে কুমির এনে কী লাভ?

পুরুলিয়ায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ

আমার পা ঠিকই থাকবে, কিন্তু ওঁদের নেতাদের বাংলায় পা পড়বে তো?

এখানে বিপুল টাকা বিনিয়োগ হবে, কারও বাইরে কাজে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আমি সকলকে ফিরিয়ে আনব

মোদী যখন ফাঁকা ব্রিগেডে আমি তখন রাস্তায় কারণ, রাস্তাই আমাকে লড়াই করার রাস্তা দেখায়: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

শিলিগুড়িতে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ প্রতীকী সিলিন্ডার মিছিল করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই তিনি জনসভায় বক্তব্য রাখেন ।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশ:

  • প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে কাজ নয়, শুধু কুৎসা করতে আসেন রাজনৈতিক কারণে আসতেই পারেন। ব্রিগেডে বাংলা নিয়ে কথা বলার আগে ওঁর উচিত রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে জবাব দেওয়া
  • শুধু বড় বড় কথা বলে। প্রধানমন্ত্রী বাংলায় প্রচার করার আগে জবাব দিন, কেন রান্নার গ্যাসের দাম এত বেড়েছে?‌ কেন তেলের দাম বাড়ছে? কেন ৮৫০ টাকায় গ্যাস কিনতে হচ্ছে? আপনার দাম কত টাকা? কবে আপনি বিনামূল্যে গ্যাস দেবেন। রান্না ঘরে আগুন লাগালে মা-বোনেরা ছেড়ে কথা বলবেন না
  • বাঙালির সরকার বিনাপয়সায় চাল দে আর ৯০০ টাকার গ্যাসে তা ফুটিয়ে খেতে হয়. আপনার দাম কত?
  • এসে বলছে বাংলায় পরিবর্তন হবে। বাংলায় পরিবর্তন করতে পারবেন না। এ রাজ্যে তৃণমূল সরকারই থাকবে। তার আগে দিল্লিতে পরিবর্তন হয়ে যাবে। আপনাকে বিদায় নিতে হবে
  • আগামী দিনে ৫ টা রাজ্যে নির্বাচন আছে। পাঁচটার পাঁচটাতেই ধাক্কা খাবেন। অসম, তামিলনাড়ু, কেরালা, বাংলা সবেতেই হারবেন।
  • লজ্জা নেই, বাংলায় এসে বলছে বাংলায় মহিলাদের সম্মান নেই। রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দিয়ে মহিলাদের অসম্মান করে বড় বড় কথা বলছেন।
  • বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস না দিলে একটা ভোটও দেবেন না
  • আমাদের এখানে সারা রাত যখন তখন মেয়েরা রাস্তায় বেরোয়, আর আপনার রাজ্যে বিকেল ৩টায় মহিলারা বেরোতে পারে না
  • সোনার বাংলা বানাবেন? দিল্লি বেচে দিয়েছে, সব তো বেচে দিয়েছেন। করোনা টিকার মধ্যেও নিজের ছবি লাগিয়েছেন।
  • এখন শুধু দেশের নাম মোদীর নিজের নাম বদলানো বাকি আছে
  • বল্লভভাই স্টেডিয়াম নিজের নামে করে নিলেন
  • যখন করোনার প্রকোপ চলছিল, তখন ভয়ে ঘরে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর উনি ভার্চুয়াল মিটিং করছেন
  • আমি তখন সারা রাজ্যে ঘুরেছি, হাসপাতালে গিয়েছি
  • আর এখন কোভিডের টিকায় মোদীর বড় বড় মুখ দেওয়া হচ্ছে। আসলে সবই জুমলা। রাস্তা ঘরবাড়ি সব নিজের নাম এ
  • একদিকে রেল, এয়ার ইন্ডিয়া, কোল ইন্ডিয়া বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে উজ্জ্বলা যোজনায় দুর্নীতি হচ্ছে। মোদীর ভোটের আগে উজ্জ্বলা, ভোটের পরে জুমলা
  • সবচেয়ে বড় তোলাবাজ আপনি। ক্যাগ রিপোর্ট বলছে উজ্বলা যোজনার সব টাকা আপনারা নিয়েছেন
  • ভারতে একটাই সিন্ডিকেট কাজ করে, নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহ
  • বিজেপি দল কে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করে দিয়েছে, সব কিছু দিল্লি থেকে কন্ট্রোল করছে
  • দেশের সবকিছু ‘বেচে’ দিচ্ছেন। শুধু ‘ মোদী বেড়ে যাচ্ছেন। দেখো, আমি বড় হচ্ছি। দেখো, আমি বাড়ছি মাম্মি। দেখুন আমি বাড়ছি। রান্নাঘরে আগুন জ্বলছে তো কী হয়েছে? আমি তো বাড়ছি, আমার তোলাবাজি বাড়ছে, আমার ধান্দাবাজি বাড়ছে
  • লোকসভায় ১৮ টা আসন পেয়েছে। বিজেপি বলেছিল সব চা বাগান খুলে দেবে। কিন্তু একটাও খুলতে পারেনি
  • রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এখন কেন্দ্র বলছে রাস্তা তৈরি করবে। এখন আর রাস্তা করে কী হবে।
  • রাজ্যের সাথে আলোচনা না করেই বলে দিলো তিস্তা জল দেবে বাংলাদেশকে, আমার সাথে বাংলাদেশের খুব ভালো সম্পর্ক। তাই বলে আমার রাজ্যকে তুমি গিয়ে বেচে দিয়ে আসবে?
  • রোজ মিথ্যে বলছে। এতো মিথ্যে বলা প্রধানমন্ত্রী আগে দেখিনি, অন্তত নিজের চেয়ারটাকে সম্মান করুন
  • দিন তারিখ ঠিক করুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসুন, সামনে থাকবে জনগণ, খেলা হবে, দেখা হবে, জেতা হবে
  • কন্যাশ্রী, রূপশ্রী রাজ্য সরকার দিয়েছে। দরকার হলে এ বার পাকাবাড়িও বানিয়ে দেবে। আপনার দেওয়া পাকাবাড়ির দরকার নেই
  • উত্তরবঙ্গকে কি দিয়েছে? কোন কাজ করে না
  • রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান জানে না, বিবেকানন্দ কে ঠাকুর পদবি দিয়ে, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে বাংলার ঐতিহ্য জয় করা যায় না
  • আমরা সবাইকে নিয়ে চলি, আমরা দাঙ্গার রাজনীতি করি না
  • মোদী যখন ফাঁকা ব্রিগেডে, আমি তখন রাস্তায়। কারণ রাস্তাই আমাকে লড়াই করার রাস্তা দেখায়
  • এ বারের নির্বাচন অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন। অস্তিত্ব রক্ষা করতে না পারলে বাংলা ভাগ করবে বিজেপি
  • আগের বার বলেছিলো ১৫ লক্ষ টাকা দেবে, মিথ্যে বলেছিলো, এবার টাকা দিতে চাইলে নিয়ে নেবেন আর ভোট দেবেন না ওদের
  • বাংলা শান্তিতে থাকতে চায়

 

প্রতিদিন রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে মানুষকে লুঠ করছে বিজেপি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন তিনি টুইটারে লেখেন, ‘নিয়মিত রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষকে লুঠ করছে বিজেপি। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন বাড়ির মহিলারা। এরপরেও কেন্দ্রীয় সরকার কর ছাড় দিয়ে খরচের ভার লাঘব করার চেষ্টা করছে না। এই পরিস্থিতির প্রতিবাদে আমি রবিবার শিলিগুড়ির মিছিলে হাঁটবো। এখনই রান্নার গ্যাসের দাম কমাতে হবে’। শিলিগুড়ির কর্মসূচির নতুন হ্যাশট্যাগ দিয়েছেন মমতা, ‘#ইন্ডিয়া এগেনস্ট এলপিজি লুট।’

আজ শিলিগুড়িতে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দার্জিলিং মোড় থেকে শুরু করে ভেনাস মোড় পর্যন্ত সিলিন্ডার নিয়ে মিছিল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।