নন্দীগ্রামের মাটি সংগ্রামের মাটি: বাসুলি চকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ বাসুলি চকে দ্বিতীয় জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশ:

অন্তত ১ লক্ষ মানুষ রাস্তার দু ধারে দাঁড়িয়েছিলেন। দেখে মন ভরে গেল।

আমি ছোট বেলা থেকে শিখেছি সবাইকে ভালবাসতে সম্মান করতে। কখনো ভাগাভাগি করতাম না।

ছোটবেলায় রবীন্দ্র জয়ন্তি, গান্ধী জয়ন্তি, আম্বেদকারের জন্মদিন পালন করতাম। এভেবেই কবে দেশপ্রেমিক হয়ে গেছি বুঝতে পারি নি।

আইসিডিএস, আশার মেয়েরা খুব ভালো কাজ করেছেন। করোনার সময়েও ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ রেখেছে সকলের।

কাল আমাদের মিছিল যখন যাচ্ছে তখন নিজে থেকেই বাড়ির মেয়েরা জল এনে দিচ্ছে। নন্দীগ্রাম আতিথেয়তা জানে।

নন্দীগ্রামের মাটি সংগ্রামের মাটি

আমি যেখানেই দাঁড়াতাম জিততাম। সবাই আমাকে ভালোবাসে। আমি প্রথমবার লাল দুর্গ যাদবপুরে সোমনাথ চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জিতেছিলাম। আমি মোট সাত বার সাংসদ হয়েছি। দু”বার মুখ্যমন্ত্রী। এইবার জিতলে মোট ১০ বার হবে।

আমি নন্দীগ্রামে কেন দাঁড়িয়েছি জানেন। আমি যেদিন এখানে সভা করতে এলাম দেখলাম সবাই খোল-করতাল নিয়ে নাচ-গান করছেন। তখন আমার মনে হল এখানে কি আমার দাঁড়ানো উচিত। তখনই আমি ঠিক করলাম এখন থেকে দাঁড়াব।

এখন নন্দীগ্রামে কোনও বিধায়ক নেই। যাকে জিতিয়েছিলেন সেই গদ্দার তো পালিয়েছে। আমি কিন্তু ভবানীপুর থেকে এখনও বিধায়ক। এ বার নন্দীগ্রামের বিধায়ক হব।

নন্দীগ্রাম তোমায় এতো দিল আর তুমি কি করলে?

আমি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর ও হরিদাস আমাকে বলে কিনা বহিরাগত। ভাবুন।

ভবানীপুরের মানুষ খুব কষ্ট পেয়েছেন। আমি ওখানকার মানুষদের বুঝিয়েছি, এ বার আমি গ্রাম থেকে দাঁড়াতে চাই। আর গ্রাম থেকে দাঁড়ালে তো নন্দীগ্রামের থেকে ভাল কিছু হয় না।

যার বাড়ি থেকে গুলি চলেছিল সেই নব সামন্তকে দলে নিয়েছে বিজেপি। এখন গদ্দারের ডান হাত হয়েছে। ওকে দায়িত্ব দিয়েছে বয়াল, গোকুলনগর দখল করার। দেখব কী করে দখল করে। এই গুন্ডাদের শায়েস্তা করতে হবে।

রবি মান্না বলে ছেলেটাকে মেরেছে। বাঁচবে কি না জানি না। আমার পায়ের এই অবস্থাও বহিরাগতরাই করেছে। নন্দীগ্রামের মানুষেরা এরকম করতে পারে না।

কাল দেখলাম গুন্ডা নিয়ে ৩০-৩৫ টা গাড়ি নিয়ে ঢুকছে ওরা। নির্বাচন কমিশনের কোন নিয়ম নেই। আমি প্রার্থী আমি ৫ টার বেশি গাড়ি রাখতে পারব না। ওরা কি করে পারবে?

সন্ধ্যে ৬ টার পরে কোন বহিরাগতকে থাকতে দেবেন না। ওরা সব জায়গায় ভয় দেখায়। ভয় দেখাতে এলে, গুন্ডামি করতে এলে হাতা খুন্তি নিয়ে তেড়ে যাবেন মা-বোনেরা।

দিল্লি থেকে ১০০০ নেতা এনেছে টাকার বাক্স নিয়ে বসে আছে, ওদের টাকা গাড়ি ভরে টাকা পাঠানো, এতো টাকা আগে জানতাম ই না

কাল একজন বলল ওর ৭০টা ট্রলার আছে। অন্য জন বলল ওটা ৭০০ হবে। পেট্রোল পাম্প থেকে আইটিআই কলেজ, হলদিয়া, কলকাতায় বাড়ি কি নেই ওদের?

বলছে সম্মান দেয় হয়নি। সব গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তারপরেও বলল আমি অপমানিত। শুধু চেয়ার নেই ম্যান আছে, ওর চেয়ার বিজেপিকে বিক্রি করে দিয়েছে।

আজকে হোম মিনিস্টারকে নিয়ে এসেছিল। পুলিশকে ধমকানো আর চমকানোর জন্য। আর তো ৪৮ ঘণ্টা। এই ৪৮ ঘণ্টা ঘুরে নে। তারপর তো পগার পার হতেই হবে। আর হলদি নদীর ধারে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তখন আমরাই থাকব।

আমরা চাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ ভোট হোক। তোমাদের তো এত টাকা। তাহলে ভয় দেখাচ্ছ কেন। তাহলে কি আগে থেকেই হেরে বসে আছ। গণভোট নিয়ে দেখ না। আমি তাতেও রাজি।

গন্ডগোল করে নির্বাচন বন্ধ করার চেষ্টা করছে। ১ লা এপ্রিল তো এমনিতেই এপ্রিল ফুল। ওই দিন বিজেপিকে এপ্রিল ফুল করে দিন। আর সব ভোট আমাদের দিন।

সকাল সকাল ভোট দিতে যাবেন। আর মাস্ক পরে যাবেন। মাস্ক না পরে থাকলে অনেক সময় সেন্ট্রাল ফোর্স বের করে দিচ্ছে। অনেক সময় গ্রামে গিয়ে বলছে বিজেপি-কে ভোট দিতে। বললেই রেকর্ড করে নেবেন। তারপর আমাকে পাঠাবেন।

ওদের একটা প্ল্যান আছে। নিজেদের দলের একটা মেয়েকে মারবে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার থেকে যেসব গুন্ডাদের নিয়ে এসেছে ওদের দিয়ে অত্যাচার করাবে। তারপর পুরোটাই হিন্দু- মুসলমান করে দেবে। খেয়াল রাখবেন।

দু’দিন বাদেই ওরা পগারপার হবে। ওদের বোল্ড আউট করে কান ধরে মাঠ থেকে বের করে দেব।

গুজরাট, দিল্লি, মুম্বাইয়ে দাঙ্গা করেছে। কিন্তু আমি বাংলায় দাঙ্গা বরদাস্ত করব না। আমি আপনাদের পাহারাদার

একমাত্র আমিই এনপিআর , এনআরসি করতে দিই নি রাজ্যে। এখন সিপিএমের যে হার্মাদরা সেদিন আপনাদের মেরেছিল তারাই বিজেপির হয়ে ভোট চাইতে আসছে।

আপনাদের বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেব। আমার বিনে পয়সায় দেওয়া চাল আপনাদের ৯০০ টাকার গ্যাসে ফোটাতে হবে। বলবেন দুশো টাকা না দিয়ে বিনে পয়সায় গ্যাস দে।

টাকা দিতে এলে খরচা করে ভোট বাক্সেও ওদের খরচা করে দিন।

মা-বোনেদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দেব। ছাত্র-ছাত্রীদের ১০ লক্ষ টাকা করে কম সুদে ঋণ দেব। ১০ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেব। হলদি নদীতে ব্রিজ তৈরি করে দেব। নন্দীগ্রাম থেকে হলদিয়া যাওয়ার জন্যে।

বারো ক্লাসের ছেলে মেয়েদের ট্যাব দিচ্ছি। তাজপুর গভীর বন্দর হচ্ছে সেখানে ২৫ হাজার ছেলে মেয়ে কাজ পাবে।

১০০ দিনের কাজে আমরা প্রথম। এমএসএমই তে আমরা প্রথম।

গোটা দেশে মোদীর সরকারের আমলে দেশে ৪৫ বছরে বেকারত্ব সর্বাধিক। আমরা এই মহামারিতেও ৪০% বেকারত্ব কমিয়েছি। ১লা এপ্রিল ওদের ভোট না দিয়ে বোকা বানান।

ঠান্ডা মাথায় ভোট করুন। মাস্ক পরে যাবেন ভোট দিতে। পুলিশরা বিজেপিকে ভোট দিতে বললে রেকর্ড করে আমাকে পাঠাবেন আমি নির্বাচন কমিশনকে পাঠাব। একটি মেয়েকে মেরে আমাদের নামে দোষ দেবে। সাবধান থাকুন।

একজন বৃদ্ধা মারা গেছে ওদের প্রার্থী পোস্ট মর্টেম না করেই ডেথ সার্টিফিকেট দিচ্ছেন। কি করে দেয়?

নজর রাখুন বিজেপিকে নোংরা খেলা খেলতে দেবে না, ফেক বুক কইরছে, ফেক ভিডিও তৈরী করছে

বিজেপির লোকেরা নন্দীগ্রামে গুন্ডামি করে বেড়াচ্ছে: সোনাচূড়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়া শহিদ বেদী থেকে সোনাচূড়া পর্যন্ত রোড শো করার পর জনতার উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তার বক্তব্যের কিছু অংশ:

বিজেপির লোকেরা নন্দীগ্রামে গুন্ডামি করে বেড়াচ্ছে

একটা মেয়েকে নিজেরা খুন করে বলবে তৃণমূল করেছে, এই পরিকল্পনাও ওদের আছে, আমি আগেই জানিয়ে দিলাম

ওরা মানুষের কথা ভাবে না, গ্যাসের দাম ৯৫০ টাকা, কৃষকরা আন্দোলন করছে, জিনিসের দাম বাড়ছে, সব কিছু বিক্রি করে দিচ্ছে

আমি যেকোনো জায়গায় দাঁড়াতে পারতাম, কিন্তু নন্দীগ্রামের আন্দোলন কে সম্মান করার জন্য আমি এখানে দাঁড়িয়েছি

এই ২-৩ দিন ওরা নানা রকম ঘটনা ঘটাবে। এই সব এলাকায় ওরা মেশিন খারাপ করে দেবে, আইন প্রশাসন এখন নির্বাচন কমিশনের হাতে, আমি তাদের প্রশ্ন করব, কেন তারা বহিরাগত গুন্ডাদের এখানে ঢুকতে দিচ্ছে

ভয় দেখালে ভয় পাবেন না। বহিরাগত গুন্ডাদের বাংলা থেকে উৎখাত করে দিন

নন্দীগ্রাম আমার মাটি আমি এখানে আছি থাকবো। মন শক্ত করে ভোট দিন

আমি বলব, টাকা দিতে এলে বলবেন রান্নার গ্যাসটা বিনামূল্যে দিতে

আমরা এখানে হলদিয়া অব্দি সেতু বানাবো, দীঘায় কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন হচ্ছে, অনেক চাকরি হবে

বহিরাগত পুলিশ এসে অত্যাচার করছে, কোন‌ও প্ররোচনায় পা দেবেন না। ৪৮ ঘন্টার মাথা ঠান্ডা করে ভোটটা করে দিন, তারপর পান্ডাদের সব অধিকার কি করে কাড়তে হবে দেখে নিন

দাঙ্গাবাজ বিজেপিকে চাই না। দাঙ্গাবাজ বিজেপি দূর হটো

যারা গুন্ডামি করছে আগামী ১ তারিখে ভোট দিয়ে ওদের রাজনৈতিকভাবে কবর দেবেন

 

নন্দীগ্রামের সংগ্রামকে শ্রদ্ধা করে এখানে দাঁড়িয়েছি: নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশ:

আজ ভেবেছিলাম রাজনৈতিক বক্তব্য রাখব না। দোল উৎসব আজ।ধর্ম যার যার উৎসব কিন্তু সবার

নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সময় আপনারা একত্রিতভাবে কেউ আজানের ধ্বনি, কেউ শঙ্খধ্বনি, কেউ উলুধ্বনি দিয়েছেন। কেউ একে অপরের মধ্যে অশান্তি করেননি। ভুলতে পারি নিজের নাম ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রাম মানে একটা সংগ্রাম

আমার ভুল আমি স্বীকার করছি, আমি বুঝতে পারিনি কেউ এরকম পিছন থেকে ছুরি মারতে পারে

আমার ভুল আছে। আমি জলঢোড়া ভেবে কেউটেকে আশ্রয় দিয়েছি। আমি ভালোবাসায় অন্ধ ছিলাম। এরা কেউ তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে ছিল না। তখন অখিল গিরি আমার সাথে লড়াই করেছিলেন

আমি অনশন শুরু করলাম কলকাতায়। তাপসী মালিককে ধর্ষণ করে মেরে ফেলল। দিল্লি অবধি পৌঁছে গেল আন্দোলন। আমি তখন হাসপাতালে

আমি ১৪ ই মার্চ গুলির খবর শুনে এলাম। আমাকে আটকে দিল কোলাঘাটে। পেট্রল বোমা ছুড়ছিল। গোপাল গান্ধী আমাকে ফোন করে বললেন আপনি ফিরে যান। আমি পরদিন আনিসুরের বাইকে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে তমলুক হাসপাতালে পৌঁছলাম। আনিসুরকেও ওই গদ্দার জেলে ভরে দিয়েছে। হাসপাতালে মৃত দেহ দেখে নন্দীগ্রামে গেলাম

নন্দীগ্রাম হাসপাতালে আমি পৌঁছতেই পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে আমার গাড়িতে। আমার সদ্য অপারেশন হয়েছে। মনে আছে আপনাদের পুলিশের ড্রেস পরে গুন্ডা এল। সেদিন এই বাপ বেটার অনুমতি ছাড়া পুলিশ নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারত না. আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি

আমি ভদ্রলোক বলে কিছু বলিনি, আমিও একটা গভর্নমেন্ট (সরকার) চালাই। আমিও খোঁজখবর পরে নিয়েছি

আমার বাড়িতে সেদিন কালি পুজো। এখান থেকে সবাই ফোন করে বলল। গুলি চলছে। আমি তমলুকে বসে পাহাড়া দিয়েছি। ১০-১৫ দিন ওরা কাউকে ঢুকতে দেয়নি নন্দীগ্রামে

চন্ডীপুরে আমি রাস্তায় বারো ঘন্টা আটকে ছিলাম। তারপর নন্দীগ্রাম ঢুকেছি। এখন ১০ জনের কোন খবর নেই। নদীতে মেরে ভাসিয়ে দিয়েছে

কিছুদিন আগে এসে আমি পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে দিয়েছি। সিবিআই আজ অবধি ওই কেসের কিচ্ছু করেনি। কেউ স্বস্তি পায়নি। কেন পাবে সেদিন যারা খুন করেছিল, আজ তারাই বিজেপির ওস্তাদ

ওরা আমার দলে আসতে চেয়েছিল। আমি দলে নিইনি। যারা আমার মা-বোনেদের শাঁখা সিঁদুর নিয়ে খেলেছে তাদের আমি ক্ষমা করিনি

আমি যেদিন টাকা দিতে এসেছিলাম সবার অনুমতি নিয়ে আমি এখানে দাঁড়িয়েছিলাম। নন্দীগ্রামের সংগ্রামকে সম্মান জানানোর জন্য আমি এখানে দাঁড়িয়েছি

আমি মুখ্যমন্ত্রী যেখানে খুশি দাঁড়াতে পারি। আমাকে যদি বহিরাগত বলে তাহলে ভূমিকন্যা কে?

ইউপি থেকে গুন্ডা নিয়ে এসেছে। পুলিশের পোশাক পরিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘোরাবে। পুলিশকে আপনারা ভয় পান?

আজ হিন্দু-মুসলমান করছে। কিছুদিন আগেই মুসলমানের টুপি পরে ঘুরে বেড়াত। এখন মুসলমান তোমার শত্রু? আপনারা একে অপরকে ছাড়া লড়াই করতে পারবেন?

রবীন্দ্রনাথকে কি হিন্দু কবি বলবেন? নজরুল কি শুধুই মুসলমানের কবি? গান্ধীজি কি শুধুই গুজরাটি? নেতাজি কি শুধুই বাঙালির? এনারা গোটা দেশের

ওরা বলছে ৩০ টার মধ্যে ২৬ টা আসন পাবে। ইভিএমে কি ওরা ঢুকে বসে আছে? কি করে জানল? আমি তো বলিনি

নন্দীগ্রামে আমরা স্কুল-কলেজ সব করে দিয়েছি

ওই গদ্দারকে সব বড় বড় মন্ত্রীত্ব দিয়েছি, কি দিইনি? আমি সীমারেখা পার করে কোন কথা বলবো না, আমার মুখ খুলিও না

তোমার সাথে আমার কোন লড়াই নেই, তুমি তোমার লড়াই করো

এবার ক্ষমতায় এলে আমি দুয়ারে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেব। মা বোনেদের হাতে মাসে মাসে ৫০০ টাকা করে দেব (এসসি, এসটিদের ১০০০)। কৃষকদের ৬,০০০ টাকা ১০,০০০ করে দেব। স্টুডেন্টদের ১০ লক্ষ টাকা করে দেব

ওরা টাকা দিলে টাকা নিয়ে নেবেন। তারপর ওদের একটাও ভোট দেবেন না। বলবেন ওটা আমাদের টাকা আমাদেরই দিয়ে দাও। সিপিএমের মতো ওরাও জমি কেড়ে নিচ্ছে। যেভাবে আপনারা সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন সেভাবেই এদেরকে বাংলা থেকে তাড়ান। বাংলাকে বাঁচান

২রা মে আমরা সবুজ আবিরে আজকের মতো দোল খেলব। আমি এক বছরের জন্যে নন্দীগ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে নিয়েছি

আমি এখানে একটা কুড়ে ঘর বানাব আমার জন্যে। কলকাতার বাড়ির রেপ্লিকা। আমি হয়তো সারা জীবন বাঁচব না। কিন্তু এই বাড়িটা দেখতে মানুষ আসবে। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের ভুমিকন্যার বাড়ি

বাংলায় দাঙ্গা হয় না, এখানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা আমরা দিয়েছি: চণ্ডীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ চণ্ডীপুরে প্রথম জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশ:

  • নন্দীগ্রামে ভূমি আন্দোলনের সময় চণ্ডীপুরে আমায় আটকে রাখা হয়েছিল। আজ যারা বড় বড় কথা বলছে তাদের আমি তখন ওখানে পাইনি। সেদিন দিল্লি থেকে এক নেতা ফোন করে বললেন আমার জন্য পেট্রোল বোমা রাখা আছে, আমায় মেরে ফেলবে বলে
  • এখানে অনেক মন্দির আছে, চারদিকে অনেক ইতিহাস ছড়িয়ে আছে। এটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আশ্রয়
  • দীঘা তমলুক রেল লাইন আমি করে দিয়েছিলাম যা চণ্ডীপুরের ওপর দিয়ে যায়
  • জল স্বপ্ন প্রকল্পের আওতায় ১৪৮৮ কোটি টাকার জল প্রকল্পের কাজ হচ্ছে, এর ফলে ৭০ হাজার গ্রামীণ মানুষের কাছে পানীয় জল পৌঁছে যাবে
  • চণ্ডীপুরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আরো উন্নয়ন হবে।
  • ভোট পর্যন্ত আমি নন্দীগ্রামে আছি, আমাদের সরকার যা যা বলেছে সব কাজ করেছে। কন্যাশ্রী, সবুজশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, স্মার্ট ফোন সব দেওয়া হচ্ছে, বিজেপি এলে সব বন্ধ হয়ে যাবে, সবকিছু লুটেপুটে খাবে
  • কালকে একটা ভোট হয়েছে। ৩০টি আসনে ভোট হয়েছে। আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, আপনি বলুন ক’টা আসন পাবেন? আমি কি ভোটের মেশিনের মধ্যে ঢুকতে যাব? আমি কী করে জানব কটা আসন পাব? মানুষ ভোট দিয়েছেন মানুষ বুঝবেন। হ্যাঁ, আমি আন্দাজে বলতে পারি। ৮৪ শতাংশ যখন ভোট হয়েছে তখন মা-বোনেরা, ভাই-বোনেরা, শ্রমিক-কৃষক আমাদের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
  • বিজেপি-র এক নেতা আজ বলেছেন ৩০টার মধ্যে ২৬-টা হামকো মিলেগা (আমরা পাব)। ২৬টা কেন? ৩০-এ ৩০ বলুন না! তিরিশ মে তিরিশই মিলেগা (তিরিশটার মধ্যে তিরিশটাই পাব)। তব গোল্লা জাদা হোগা না (তা হলে তো গোল্লা বেশি হবে)! রস ছাড়া, রসগোল্লা খাবে! ৩০-এর মধ্যে নাকি ২৬ পাবে
  • আমি বললাম, আর ৪টে বাকি রাখলেন কেন? সিপিএম আর কংগ্রেসের জন্য? আমি একটাও বলব না। কারণ আমি জানি মানুষ আমাদের দিয়েছেন। আমি মানুষকে সংখ্যা বলতে দেব
  • সেন্ট্রাল পুলিশ দিয়ে কেন মেরেছে? এ কাজ করা করেছে আমি জানি না। উত্তরপ্রদেশ থেকে ৩০ জন গুন্ডা এনেছিল তাদের ধরিয়ে দিয়েছে মেয়েরা। ওই ৩০ জন বহিরাগত। ওরা অনেক মা বোন কে ভোট দিতে দেয়নি
  • সেন্ট্রাল পুলিশ বলেছে মাস্ক পড়েন নি তাই ভোট দিতে দেবে না
  • বাংলায় আসছে সেই সব খরচ আমরা দিই আর লাঠি মারছে আমাদের? এতো সাহস ওদের! কার নির্দেশে করেছে আমার এসবই জানি, ভোট দিতে না দিলে বিদ্রোহ করবেন মা বোনেরা
  • একটা মা বোনেদের গায়ে হাত পরলে হাতা খুন্তি নিয়ে তেড়ে যাবেন। কাউকে ভোট দিতে না দিলে বিক্ষোভ করবেন। আমি জানি মা বোনে দের সাহস আছে। এজেন্ট যদি পালিয়ে যাও, আমি কিন্তু সবটা জানি। আমার কাছে গ্রাউন্ডের খবর আছে। আমার জানা আছে কোন এজেন্ট টাকা নিচ্ছে।
  • পরশুদিন কন্টাই তে টাকা ছড়াচ্ছিল, হাতেনাতে ধরেছে। ওদের অ্যারেস্ট করা উচিত ছিল। ওটা কার টাকা! এত পেট্রোল পাম্প, ট্রলার লঞ্চ কি করে এলো? এতকো-অপারেটিভ ব্যাংকের টাকা কি করে এলো?আজ এদের দেখে বুঝলাম, কত বড় ক্রিমিন্যাল কার্যকলাপ করতে পারে, আমার ভুল আমি মেদিনীপুরকে বেশি ভালোবাসা দিয়েছিলাম
  • আমার দোষ আমি বুঝতে পারিনি। দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পুষেছিলাম। আমি আজ জানলাম এরা কত ডেঞ্জারাস। বাইরে গুন্ডা নিয়ে আসে
  • এজেন্ট যারা হবে, মনে রাখবেন -৩০টা করে ভোট দেখে নেবেন। তারপর দু’বার অন অফ করে তারপর ভোট চালু করবেন। EVM খারাপ হলে চলে যাবেন না। ওরা এটাই চায়। নতুন মেশিন এলে ভোট দিয়ে তারপর যাবেন। VVPAT মিলিয়ে নেবেন। কাউন্টিং এর দিন কেউ অন্য কারো খাবার খাবেন না। ভোট বাক্স পাহারা দিতে হবে
  • ভোট হয়ে গেলে এক মাস ধরে পাহারা দিতে হবে, কেউ কিছু দিলে খাবে না, অন্য জেলা নয় শুধু এই জেলায় এসব হওয়ার সুযোগ বেশি কারণ এখানে আমরা কয়েকটা গদ্দার পুষেছি
  • কৃষকবন্ধুরা মনে রাখবেন, এখন একর প্রতি ৫ হাজার টাকা পান, তা ৬ হাজার হয়েছে। আমাদের সরকার থাকলে তা ১০ হাজার হয়ে যাবে। মা-বোনেদের ৫০০ টাকা করে হাত খরচ দেব। তফসিলি বন্ধুদের ১০০০ টাকা করে দেব
  • আগামী দিনে আরও ১০ লক্ষ মেয়েকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আওতায় নিয়ে আসব। ৭০ শতাংশ আপনারা মেটাবেন। বাকি টাকা আমরা দেব
  • আমরা ক্ষুদ্র শিল্পে দেড় কোটি চাকরি দিয়েছি। সারা ভারতে বেকারত্ব বেড়েছে। বাংলায় ৪০% কমেছে
  • পরিযায়ী শ্রমিকদের বলবো এসে ভোট দিয়ে যেতে, নয়তো কোন দিন NRC-NPR করে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবে
  • হায়দ্রাবাদ থেকে একটা দল এসে সংখ্যালঘুদের ভোট ভাগ করছে। দিল্লি, ইউপি, গুজরাটের দাঙ্গার সময় কোথায় ছিল
  • বাংলায় দাঙ্গা হয় না , এখানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা আমরা দিয়েছি। বাংলা সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। বহিরাগতদের সমর্থন করবেন না
  • জনগণ সাবধান, বিজেপির হাতে স্টেনগান
  • উত্তরপ্রদেশে মহিলারা নির্যাতিতা, ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারে না। দলিতদের উপর অত্যাচার হয়। বাংলায় সব ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের মানুষ সম্প্রীতিতে থাকেন
  • খেলা হবে। ভোট-টা কিন্তু দিতে হবে মা-বোনেরা। মানবিকতাকে জোড়াই আমাদের কাজ। তাই-চাই একটা ভোট। মা-বোনেরা বেঁধে জোট, জোড়া ফুলের সব ভোট। ভোট দিতে অবশ্যই মাস্ক পড়ে যাবেন, নয়তো ওরা ফেরত পাঠিয়ে দেবে
  • ১ তারিখে একটা করে ভোট দেবেন, আর বিজেপি-কে মাঠের বাইরে বার করে দেবেন। একেবারে বোল্ড আউট করে দেবন
  • মোদী বলেছিল সবাইকে ১৫ লক্ষ টাকা দেবে, দিয়েছে?
  • গ্যাসের দাম ৯৫০ টাকা! চাল দিচ্ছি বিনা পয়সায়, গ্যাসের দাম আকাশছোঁয়া! বুঝুন, আমাদের দাবি, বিজেপিকে বিনা পয়সায় গ্যাস দিতে হবে উজ্জ্বলা হাওয়া! সব টাকা খেয়ে নিয়েছে
  • সিপিএমের হার্মাদ রাজারা নন্দীগ্রাম সিঙ্গুর করেছিল আজ তারাই বিজেপির বড় ওস্তাদ। আর গদ্দার মীরজাফর তো আছেই
  • আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আবেদন করব, কারো কথা শুনে মা বোনেদের গায়ে হাত তুলবেন না। আপনারা কেন গ্রামে গ্রামে গিয়ে বলছেন বিজেপিকে ভোট দিতে। আপনারা উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছেন, এটা বাংলা। এখানে যোগীর ভোট হয় না। এখানে মোদি-শা’র ভোট হয় না

লিফলেট এর মাধ্যমে মিথ্যে কথা প্রচার করছে: চন্দ্রকোনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় দ্বিতীয় জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ 

অনেক রোদ তাও আপনারা এসেছেন উপস্থিত সকল কে অনেক ধন্যবাদ।

বিদ্যাসাগরের জন্মস্থানের উন্নয়নের জন্য আমরা টাকা দিয়েছি, ৭০০ কোটি টাকা খরচ করে কোপালেশ্বর কেলেঘাই বক্রেশ্বর খাল এ সেচের ব্যবস্থার করেছি

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করার চেষ্টা করছি গত ৫ বছর ধরে, দিল্লির নেতারা টাকাও দিচ্ছে না প্ল্যান ক্লিয়ার ও করে দেবেনা

হিন্দু সভার নাম করে লিফলেট এর মাধ্যমে মিথ্যে কথা প্রচার করছে

প্রতিবার বন্যায় বাংলার ঘর ভাসবে আর ওরা টাকা নিয়ে নাচবে, বন্যা হলে হেলিকপ্টার পাঠিয়ে আমরা তাদের উদ্ধার করি

বহিরাগত কত গুলো গুন্ডা এসে মিথ্যে বলছে, ঐসব মাস্তানদের একদম সমর্থন করবেন না

কাল কন্টাইতে উত্তরপ্রদেশের ৩০ জন বন্দুক হাতে ধরা পড়েছে। কে কি করছে সব খবর আমাদের কাছে আছে

তোমাদের ক্ষমতা থাকলে সামনাসামনি লড়াই কর। গুন্ডা নিয়ে কেন আসছ?

তৃণমূলের মীরজাফর গুলো এখন বিজেপির সাথে

এরা ভয় দেখাতে কফি হাউজে চলে যাচ্ছে। এরাই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙ্গেছিল। শিল্পী সাহিত্যিকদের তাড়িয়ে দিয়েছে।

বলেছিল ১৫ লক্ষ টাকা দেবে। দিয়েছে? রান্নার গ্যাস এখন ১০০০ টাকা এরপরে ২০০০ টাকা হবে। আমি বিনে পয়সায় চাল দেব তা আপনাদের ফোটাতে হবে ২০০০ টাকার গ্যাসে।

রোজ এসে মিথ্যে কথা বলছে, রেল, ভেল সব সরকারি সপত্তি বেঁচে দিচ্ছে। বলছে সপ্তম বেতন কমিশন হবে। ত্রিপুরায় করেছে? বিজেপিকে জিজ্ঞেস করতে চাই যখন ওরা শ্যামাপ্রসাদের মূর্তি ভাঙে আপনাদের লজ্জা করে না!

ওরা গরীবের বাড়িতে খায় না। ছবি তুলে দেখায় খাচ্ছে, কিন্তু ফাইভস্টার হোটেল থেকে খাবার আনিয়ে খায়। আমি সবার হাতে খাই।

ওরা তিলক কাটে, নিজেদের হিন্দু দেখায়। আমিও হিন্দু ব্রাহ্মণ। আমি সবাইকে সমান চোখে দেখি।

আমি কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী সব করেছি।

এসে বলে ‘সুনার বাংলা’ তৈরি করব। সোনার বাংলা কথাটাও উচ্চারণ করতে প্যাঁরে না। যারা বিদ্যাসাগর, ক্ষুদিরামের মূর্তি ভাঙে তারা বাংলাকে ভালোবাসে না।

আপনারা আমাদের ভোট দিয়ে জেতালে রেশন আমরা আপনাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেব। ছাত্রদের ট্যাব কেনার জন্যে ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছি। কৃষকদের ৬০০০ টাকা বাড়িয়ে এরপরে ১০,০০০ টাকা করে দিচ্ছি। মা-বোনেদের হাতে ৫০০ টাকা করে মাসে দেব। এসসি, এসটি হলে তা ১০০০। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে অল্প সুদে ১০,০০০০ টাকা লোন দেব।

আমরা ক্ষমতায় এলে মোদীকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করতে হবে। দরকার হলে আমি প্রধানমন্ত্রীর অফিসে গিয়ে ধর্না দেব। আমরা এলে রাস্তা হবে, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সব হবে। টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোঁসাই।

দাড়ি থাকলেই রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায় না। আমরা বলি হরে কৃষ্ণ হরে হরে তৃণমূল ঘরে ঘরে। ওরা বলে হরে কৃষ্ণ হরি হরি নোট বন্দি চুরি করি। হরে কৃষ্ণ হরি হরি লকডাউনে চুরি করি। হরে কৃষ্ণ হরি হরি সবাইকে দাঙ্গা করে মারি। হরে কৃষ্ণ হরি হরি এনপিআর করি।

তপশিলী ভাইবোনেদের বলি আপনাদের মধ্যেও গদ্দার আছে। সিপিএম, কংগ্রেসের সাথে হাত মিলিয়েছে। বলছে সংখ্যালঘু ভোট কাটবে। জিজ্ঞেস করুন কতো টাকা নিয়েছে বিজেপির থেকে?

ওরা টাকা নিয়ে এলে বলবেন, আমাদের টাকা দাও যে ১৫ লক্ষ টাকা করে দাওনি। ওই টাকা নিয়ে বলবেন তোদের খরচা করে দিলাম যা। আর কখনো টাকা দিয়ে ভোট কিনতে আসবে না।

খাল কেটে কুমির আনবেন না। মনে রাখবেন একজন রিক্সাওয়ালার ভোটের যা দাম আদানি আম্বানিদেরও একই ভোটের দাম।

 

Derek O’Brien speaks on The Government of National Capital Territory of Delhi (Amendment) Bill, 2021

FULL TRANSCRIPT

Sir, I must begin by congratulating you. Every time there is a very important Bill, you are sitting on the chair. For the Farmers’ Bill you were sitting on the chair. Today you are sitting on the chair. And I wish the Chairman well, I hope his health is good.

Who is piloting this Bill? I will come to that later. But I am going to ask the most silly question ever asked in the history of the Parliament. Which is more important—the Constitution of India or the manifesto of a party? You ask most people, all parties, and they will all tell you what a silly question this is.

We have an election day after tomorrow. But 10 of us MPs flew here. I think out of 12, nine flew. Mamata di said go, manifesto chhoro. Go to protect the Constitution. One party has two gentlemen, and this is my interpretation, that for them the Constitution is number two, number one being the manifesto. They are in Bengal and campaigning today. Go campaign, it is their democratic right to campaign. This is an important Bill. We are looking forward to having the Home Minister so he could answer all of our questions. I am sure the Ministry of Home Affairs is equally if not more important, but here we go.

This is an insult today to 24 States and one union territory. Kerala, where are the MPs? Assam, where are the MPs? Tamil Nadu, where are the MPs? Puducherry, I know one or two. All of us are indulging in anti-national activities; it must be so. I had an easier opportunity today because I had a batsman Mr Singhvi who sliced it legally. But what is the reputation of this political party? Everyone is so angry, but why so angry? Why so disappointed? What is the reputation? What is their own track record for their own people?

Facts now. Let’s start with what a former Foreign Minister and Finance Minister in Vajpayee ji’s cabinet said two weeks ago. He said the BJP of Vajpayee ji believed in consensus, but the BJP of Shah and Modi believed in conquest. That’s his interpretation. Let me tell you a little more about this family.

Marg Darshak Mandal. About the great leader LK Advani ji, When he was 75, his party announced—everything I am saying is factual—that after 75, you will have no role to play.

I have left an election campaign to come here because it is important. And we have some two-bit Ministers standing up and talking.

This pinches, but I am only talking facts. You only told Mr Advani, I did not tell Mr Advani, that after 75 you go and sit in the Marg Darshan Mandal. But see the hypocrisy, one 85-year-old and one 88-year-old are MLA candidates in Bengal now from the BJP because they have one qualification which Mr Advani did not have. Till last month they were Trinamool MLAs. This is the hypocrisy of this party—I don’t know all the great lawyers, all of us are getting excited—when they coolly decide one Tuesday afternoon that the nominated LG has to be more powerful than the man they could never beat, Kejriwal. This is not about Aam Aadmi Party, this is not about Congress party and I want to appeal to my friends in the AIADMK, who are now sitting with them, Shiv Sena no more, they are on their own, Shiromani Akali Dal, no more, they have also learnt. I want to appeal to the TRS, I want to appeal to the YSR and Biju Janata Dal. Don’t walk out, and one day they will come after you because this regime—I don’t want to use the word ‘thug’ because I don’t know whether it is parliamentary or unparliamentary—wants to destroy every institution brick by brick.

Sir, you keep the House in order because we also want an order when there is a division after this. You know you are making a good speech when it is getting under their skin.

Sir, Farm Bills, what did this government do? After that they want to put Bills on pause, somebody has to do it, somebody in the BJP, maybe after May 2 they will do it, somebody has to stand up and say that you two gentlemen, you all have got it wrong. You cannot bulldoze Parliament like this. You can’t bulldoze the constitution like this. Who will stand up? <interruption>

Sir, I have one serious objection, Point of Order, you have to protect me. Bad enough that there are comments made by a Minister sitting in the Lok Sabha. Please keep the dignity of the House. (To the BJP) You couldn’t keep the dignity of your senior leaders, at least keep the dignity of this House.

The CBI, ED and Income Tax Department are the three faithful allies of Mr Modi and Mr Shah, and I congratulate them for that. They are trying to destroy another institution, and I appeal to those gentlemen who are now running the institution, to let the elections be neutral, let them be free and fair, not for the sake of Trinamool, not for the sake of BJP, not for the sake of Congress or Left or any party, but for the sake of our children and grandchildren. Please let us have a fair election. <Intervention from the Chair>

Just see the confidence of the BJP president; she tells me, “You will have it?” Is he running the EC? Strike it off the record. < commotion>

Sir, I never thought that I will hear this on the floor of Parliament, but today I’m worried. I asked for a free and fair election. The election is, to my limited knowledge, run by the Election Commission with an extreme layer of confidence. Now I am being informed by no less a person than a quiet-spoken Madam who never interrupts speeches, never—and for the first time I’ve heard it—”You will have it?” We are not assured.

Come on now. We have to understand one thing. My hypothesis is based on a Bill, which you have brought, which is anti-Constitution. So I’m trying to prove to you all that this party is brick by brick anti-Constitution, so I have to give the examples. You want to hear some more examples? I will tell you. <intervention from chair>

Whether I sit today, or not sit down today, on May 2, we will know who won, the manifesto of the Constitution. Sir, I quoted you a lot of stalwarts in the Bharatiya Janata Party serially. Here’s one more, “The Centre and the State have unanimously agreed in almost a federal contract. It is a federal contract with a constitutional sanction.” The other leaders I quoted, I knew most of them, say hello, but this person would personally sit here. It was Arun Jaitley who said this.

What are we doing with GST? We have limited time, so I’m not getting into GST, into how cess is getting distributed, into devolution. But I’m getting into this very efficient company, ‘Phokat’, Bill, transmit, pass. I spoke for their efficiency. What happened to their efficiency when it came to CAA? in one-and-a-half years, you have not got the rules, because that is a cheat… <interrupted>

What happened to your efficiency when it came to the CAA? In one-and-a-half years, you haven’t brought the rules because that is a cheating on the people of Assam, Bengal and everybody else. It’s a jumla. The Home Minister of this country stood here and said, rules? Che mahina mein nahin hua, 12 mahina mein nahin hua, 18 mahina mein nahin hua, aur kabhi nahin hoga. Kyunki, they are already citizens of the country. You wanted it for votes, and I am not surprised they did this for the vote.

Sir I really want to thank you at least for trying to protect me. But this is nothing that we are fighting. Some people are doing some catcalls. These are some small things, Sir. This is at stake and a young man from <interrupted> Sir, are you hearing these comments? Sir, the BJP’s, Bhupendra ji spoke, before that. This kind of one little sentence every minute? You want to make a comment? Sir, as per the rules we can refer to … Sir I am not yielding. This is the rule of Parliament. This is not fair. Sir, these are difficult times because these are times when … . It’s a hypothesis. You don’t have to agree with my hypothesis, nobody has to, that whether the manifesto is more important than the Constitution? Different people can have different views, right?

But I want to end with a WhatsApp message I received this morning from a non-political person in Bombay. He sent me this. He said, “Go win this, win this for yourselves, win this for us, win this for India.”

Thank you, Sir.

এলাকায় ঢুকে টাকা বিলোচ্ছে, কেউ ধরিয়ে দিতে পারলেই পুরস্কার দেবঃ ওন্দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ বাঁকুড়া জেলার ওন্দায় দ্বিতীয় জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর বক্তব্যের কিছু বিষয়:

এতো রোদে ওন্দা স্টেডিয়ামে উপস্থিত সকলের পদধূলিকে ধন্যবাদ

শান্তিতে দোল পালন করুন

এখানে অনেক প্রাচীন ইতিহাস আছে

বাঁকুড়ার ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় খুব ভালো তাই বিশ্ববিদ্যালয় করেছি, আগামী দিনে আরও কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল হবে, শিক্ষক, নার্স নিয়োগ করা হবে, এখানে নার্সিং স্কুল করা হয়েছে

এখানে রাস্তার সংস্কার হয়েছে, মাদ্রাসা ফিলিয়েটেড হয়েছে

নতুন সাকিট টুরিজম হচ্ছে যাতে অনেক মানুষ বেড়াতে আসতে পারেন

বিদেশ থেকে কেউ বেড়াতে এলে টেরাকোটার জিনিস, বা পিতল কাঁসার জিনিস যা বাঁকুড়ার মানুষ তৈরী করে

বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যপন্ত স্বাস্থ্য বীমা করে দেওয়া হয়েছে

কৃষক বন্ধু কার্ড না থাকলে দুয়ারে সরকারে দরখাস্ত করুন

কাস্ট সার্টিফিকেট পেতে আগে টাকা লাগতো এখন আর লাগে না, ৪০ লক্ষ কাস্ট সার্টিফিকেট

কাজ করেছি, মোদী র মতন মিথ্যে বলি না আমি

রেশনে চাল, মিড ডে মিল, কন্যাশ্রী র টাকা দেওয়া হয়

এটা বাংলার নির্বাচন, দিল্লির নয়, আপনারা ভোট দিলে তবেই আমি কাজ করতে পারব

আমার সরকার জিতলে আগামী মে মাস থেকে বাড়িতে রেশন পৌঁছে যাবে

এবার ছাত্রছাত্রীদের স্বাবলম্বী করব বলে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ড করে দেওয়া হবে

কৃষক রা আজ আন্দোলন করছে কারণ মোদী রা ওদের জমি দখল করে আম্বানি আদানি দের দিয়ে দেবে

আগামী মে মাস থেকে কৃষকবন্ধুদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে

১৮ বছর বয়স থেকে বিধবা ভাতা দেওয়া হবে

৫ লক্ষ কর্মসংস্থান করা হবে

বাঁকুড়ায় ৭২ হাজার কোটি টাকার শিল্প হবে অনেক চাকরি হবে

বাংলায় জরি, সোনার শিল্প হচ্ছে যাতে বাইরে গিয়ে চাকরি করতে না হয়

বাইরে যারা আছে তাদের ডেকে আনুন নাহলে বিজেপি নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে

আমার সরকার থাকলে আমি এন পি আর করতে দেব না

লোক প্রসার শিল্পীদের ১০০০ হাজার টাকা দিচ্ছি, শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে আর্থিক সাহায্য দিই

আগেরবার আপনারা বিজেপিকে জিতিয়েছেন দেখুন কিভাবে ওরা আমার মাথার ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে

আমার পা চোট করে দিয়েছে যাতে আমি আপনাদের কাছে পৌঁছতে না পারি

বাইর থেকে ট্রেনে বসে করে গুন্ডাদের নিয়ে আসছে

উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপি পুলিশ পাঠিয়ে দিচ্ছে

এলাকায় ঢুকে টাকা বিলোচ্ছে, কেন নাকা চেকিং হচ্ছে না, কেউ ধরিয়ে দিতে পারলেই পুরস্কার দেব

কাল বলেছে সপ্তম বেতন কমিশন করবে সব মিথ্যে কথা, দুরাচারের দল, সন্ত্রাসের দল, মিথ্যেবাদীর দল, এদের হাত থেকে বাঁচাতে হবে বাংলাকে

ওরা আমাকে চমকায় কারণ আমি ওদের ধমকাই

খেলা হবে বিজেপি খালি হবে

ওদেরকে গণতান্ত্রিকভাবে কবর দিন

 

আমি যা বলি করে দেখাই: বিষ্ণুপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে প্রথম জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ 

বিষ্ণুপুরের সমস্ত প্রাচীন পুঁথি ডিজিটাইজ করা হবে। সংস্কৃতিই আসলে সোনার খনি। ডিজিটাইজ হলে সেই সোনার খনি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে।

বালুচরি শাড়ি আগে কাগজের মতো ছিল, আমি ওই শাড়ি আরও নরম করার ব্যবস্থা করেছি। বিশ্বের বাজারে আরও কদর বেড়েছে বালুচরির।

মোদীর মতো এত বড় একটা মিথ্যেবাদী আমি জীবনে দেখিনি। প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারটাকে আগে সম্মান করতাম। এখন আর করি না।

বীরসা মুণ্ডার ছবি বলে কার ছবিতে মালা দিয়েছিল? মনে আছে? বিষ্ণুপুর কি ভুলে গেছে?

ফুল একটাই। মাটি মানে ঘাস। ঘাস মানে জোড়াফুল। আর সেই জোড়াফুলেই ভোটটা দেবেন

বিষ্ণুপুরে হেরিটেজ টাউন হবে। আগেও বিষ্ণুপুরের ঘোড়া ও পট শিল্পীদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নতি হবে। আমি যা বলি করে দেখাই।

২৯১ টা সিটে আমাকেই ভোট দেবেন। তবেই তো আপনাদের বিনামূল্যে চাল দিতে পারব। সুবিধা দিতে পারব। আমাকে চাইলে জোড়া ফুলে ভোট দিন।

বাংলায় ভিন রাজ্য থেকে যারা আসে তাঁদের বহিরাগত বলি না। যারা শুধু ভোটের আগে আসে, তাদের বহিরাগত বলি

উত্তরপ্রদেশের গুন্ডাদের সাজিয়ে পাঠাচ্ছে। কপালে তিলক কেটে, পান চিবোতে চিবোতে বাংলার সংস্কৃতি ধ্বংস করে দিচ্ছে। বহিরাগত গুণ্ডা কারা?

উত্তরপ্রদেশের পুলিশ আজ চাকরি ছেড়ে দিচ্ছে বিজেপির অত্যাচারে। কত মেয়েকে পুড়িয়ে দিয়েছে। বাবা-মাকে অত্যাচার করতে গেছে। বাঁকুড়ায় এসে পাঁচতারা হোটেল থেকে খাবার কিনে নিয়ে এসে বলছে তফশিলিদের বন্ধু। তফসিলি, আদিবাসী, সংখ্যালঘুদের অত্যাচার করো তোমরা।

চাল ফোটাবেন না বিজেপিকে ফোটাবেন? কোনটা করবেন?

সপ্তম পে কমিশনের কথা বলেছে বিজেপি। এদিকে ত্রিপুরায় প্রভিডেন্ট ফান্ড তুলে দিল। মিথ্যেবাদীর দল বিজেপি।

মণ্ডল কমিশনে যাদের নাম আছে তাদের জন্য আলাদা কমিটি হবে।

জঙ্গলমহলে রোজ রক্ত ঝড়ত। এখন বলুন তো জঙ্গলমহলে মানুষ মরছে। বাঁকুড়া ভাল আছে তো? জঙ্গলমহলে ৪০ হাজার ছেলেমেয়েকে চাকরি করে দিয়েছি। যাতে তাঁরা মূলস্রোতে ফিরে আসেন। এসেছেনও। যা বলেছি তা করে দেখিয়েছি।

১০০ দিনের কাজ ২০০ দিনের কাজ হবে।

একের পর এক সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণ হচ্ছে। ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ হচ্ছে। ব্যাঙ্কে টাকা রাখেন তো? নোটবন্দির মতো ব্যাঙ্ক বন্ধ হলে টাকা চলে যাবে আপনার।

বিজেপি সব নেতাদের নিয়ে বাংলায় পড়ে আছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করছে।

টাকা দিলে নেবেন কি নেবেন না আপনার ব্যাপার। ওটা আপনার টাকা। তবে টাকা নিলেও ভোট দেবেন না। ওরা বলতে পারে, ‘কোথায় ভোট দিচ্ছিস, দেখতে পাব’। মিথ্যে কথা। কিচ্ছু দেখতে পাবে না। তাই যদি বলে খরচ দিচ্ছি। ওদের খরচ করে দেবেন। ভোটটা জোড়া ফুলেই দেবেন।

আমার এক পায়ের বদলে লক্ষ লক্ষ পা পেয়েছি। আপনাদের পায়ের সাহায্যেই রোজ আসছি।

ভোট মেশিন পাহারা দিন, একদিন কেউ কিছু দিলে খাবেন না, বাড়ি থেকে খাবার জল নিয়ে যাবেন।

খেলা হবে, বিজেপি খালি হবে।

ফোন করলে এখন থেকে হ্যালো বলবেন না। ‘জয় বাংলা বলুন’। আবার শেষ হলে বলবেন, ‘জয় বাংলা ভাল থাকুন

Derek O’Brien speaks on The Finance Bill, 2021

FULL TRANSCRIPT

Sir, the finance minister is here since 11 o’clock making notes. I have major differences on policy, on ideology with her but that is different. There is decency, there is courtesy which we always try and extend, doesn’t matter man, woman, anybody. A little disturbed that, especially after I have been sitting next to the Finance Minister for the last five hours, is that about two hours ago a most distasteful statement was made about a woman saying that she should not wear a saree anymore but she should wear Bermuda shorts. This is not tolerable in politics and this was said by an MP and the state president of the BJP. We condemn this kind of thing about anyone.

Now, Sir, we have political differences, but so what if we have political differences? I respect Madam and every other MP. They are our political rivals but not our political enemies.

Sir, six quick points here, and hope the Finance Minister will certainly address this is her reply.

One: Centrally-sponsored schemes. Centrally sponsored schemes, aage the 66 per cent ab cut hokar huye hain 28 per cent. This is a big reduction. Centre’s share tha 75 per cent, abi Centre kam de raha hai, 60 per cent. The States, instead of paying 25 per cent for these schemes are now having to pay 40 per cent. So my suggestion and question to the Minister is that, shouldn’t the States also get the benefits of devolution? The States are not. That is my first point, Sir.

Secon: LPG. You cannot make a speech here today in Parliament without discussing the prices of LPG. We all know the prices of LPG, diesel and petrol. Here is another pointed question to the Finance Minister. There is 62 per cent cess on petrol, 69 per cent on diesel. My limited point is that this is not tax. There is a basic difference between cess and tax. With respect to cess, the entire amount goes to the Central Government. One statistics: 15 years ago the cess collection on gross revenue was 2 per cent but during the time of this Sarkar, cess is now 15-16 per cent.

Let’s know where the money is going. I will give you one example from a state. The GST collection from my state, that is, Bengal was Rs 12,000 crore in 2017-18. Now it has doubled to Rs 28,000 crore. The tax devolution which was coming to Bengal has come down, from Rs 49,000 crore to 48,000 crore so this is a hocus-pocus which is anti-federalism.

Sir, my next suggestion to the Finance Minister is that you cannot have schemes like Beti Bachao Beti Padhao. It is bad, poor, pathetic governance when you have 56 per cent of the money spent on advertising. Yeh bandh kijiye, yeh sab bandh kijiye. Take the best practices from around the world. What does your huge advertising spend mean? Instead of giving money to the girls, you are giving it to the face, that is, the advertisement.

Sir, I am trying to make my speech as positive as I can because there is so much negativity around and so much of negativity is being spread. This is a startling statistic and since the Finance Minister is here, I must not miss this opportunity. In the last five years, the CAG (Comptroller and Auditor General) reports are down by 75 per cent. This is a very, very, very bad precedent. An unacceptable precedent. How is this government working?

Sir, no speech on finance or the economy can be made without recalling what happened at 8 pm one particular evening. Something had happened at 8 pm and at 10 pm. Since we started with a lady we will also end with a lady. At 10 pm, two hours after the announcement, she said, “Withdraw this draconian decision”, on November 8, 2016. Uske baad Prime Minister Modi had stood up and said during a speech on demonetisation, “Humko pachas din do”. Pachas din kya, paanch (5) saal ho gaya. Ab Bangal mein bas pachas din baaki hai, phir Khela Hobe.

Thank you, Sir.

 

 

Santanu Sen speaks on The Finance Bill, 2021

FULL TRANSCRIPT

আমি বাংলায় বলার আগে, I would like to quote a World Bank statement given on October 7, 2020: “India’s economic situation is much worse than ever seen before.” I would also like to quote the IMF, that is, the International Monetary Fund statement given on October 13, 2020: “Indian economy is likely to fare worse than some global and South Asian peers and  isa better one than India”

স্যার, প্রবলেমটা হচ্ছে চা বিক্রি করতে করতে যখন ভারতবর্ষের মতো এত বড় দেশ বিক্রি করার সুযোগ পেয়ে গেলাম তখন রেলওয়ে থেকে, এয়ারপোর্ট থেকে, কোল থেকে, সেল থেকে, ভেল (BHEL) থেকে, সব কিছু বিক্রি করতে করতে ভারতবর্ষকে আমি এমন একটা জায়গায় নিয়ে চলে গেলাম যে আত্মনির্ভর ভারতের নামে সারা ভারত বর্ষ টাকে রসাতলে পৌঁছে দিয়ে শুধুমাত্র আমার দুই বন্ধু আমি খেয়াল করলাম।

Definitely I am not here to embarrass my Honorable Minister by asking a question. How is the income of the son of one of our learned Ministers inflated so much? কিন্তু আমি নিশ্চয়ই জানতে চাইবো যে আমাদের বম্বের এক বন্ধু, যার বাড়ির ওপর হেলিপ্যাড আছে, তিনি এশিয়ার এবং বিশ্বের চতুর্থ ধনীতম কি করে হয়ে গেলেন এবং তার ৭৩ পারসেন্ত ইনকাম কি করে বেড়ে গেল? আমি নিশ্চয়ই জানতে চাইবো যে নরেন্দ্র মোদি মহোদযয়ের গুজরাটে একজন ভদ্রলোক থাকেন, বিগত এক বছরে সারা বিশ্বের মধ্যে যার ইনকাম সবথেকে বেশী কি করে বেড়ে গেল? আসলে সমস্যাটা হচ্ছে আমার কোন এ্যালাই নেই সিবিআই আর ইডি ছাড়া আর আমার কোনো বন্ধু নেই ওই দুজন ছাড়া। আমাদের দেশটা কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, স্যার?

If we go through the Global Hunger Index (GHI), ১০৭টা দেশের মধ্যে India’s rank is 94th. If we go through the multidimensional Human Poverty Index (HPI), out of 107 countries, India stands at the 62nd position. যদি আমরা গ্লোবাল ইকোনমিক ফ্রিডম ইনডেক্স দেখি, India stands at 105. In the Multidimensional Poverty Index (MPI), India is ranked 62nd among 107 countries.

স্যার দুঃখের বিষয় গত ৪৫ বছরে সবথেকে বেশি বেকারত্ব আজকে এই ভারতবর্ষে এবং কোভিড প্যানডেমিকের সময় ১ কোটি আমাদের জব লস হয়েছে। অন্যদিকে আমরা কি দেখছি, পেট্রোল-ডিজেলের দাম আমার মাননীয় কলিগ কিছুক্ষণ আগে বলছিলেন। তিনি এখানে নেই। তাকে আমি সংশোধন করে দিতে চাই। তিনি স্টেট ট্যাক্সের কথা বলছিলেন। আপনি যদি ওয়েস্ট বেঙ্গলের সঙ্গে কম্পেয়ার করেন, ওয়েস্ট বেঙ্গলে পেট্রোলে স্টেট ট্যাক্স বেড়েছে ৬ পারসেন্ত কিন্তু সেন্ট্রাল ট্যাক্স বেড়েছে ২৬ পারসেন্ত। ওয়েস্ট বেঙ্গল এর পার্সপেক্টিভে ডিজেলের স্টেট ট্যাক্স বেড়েছে ৩ পারসেন্ত আর সেন্ট্রাল ট্যাক্স বেড়েছে ৩৬ পারসেন্ত। অলটুগেদার ওয়েস্ট বেঙ্গলে পেট্রোলের সেন্ট্রাল ট্যাক্স স্টেট ট্যাক্স-এর ওপরে ৭০ পারসেন্ত বেশী এবং ডিজেলে ১৯৩ পারসেন্ত বেশি।

অন্যদিকে আপনি কার সাথে স্টেপমাদারলি অ্যাটিটিউড করছেন? আপনি বলছেন আমি সোনার বাংলা গড়ব এবং সোনার বাংলা গড়ার জন্য স্বাধীনতার পর থেকে যেটা কোনদিন হয়নি, ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এত এত মন্ত্রী-সাংসদরা ভারতবর্ষের মানুষের টাকায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছেন, পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছেন। তিনি নাকি সোনার বাংলা করবেন। আর সোনার বাংলার প্রতি বঞ্চনার কিছু উদাহরণ আমার পূর্ববর্তি বক্তারা দিয়েছেন। আমি কয়েকটা বলি।

দীর্ঘদিন ধরে এ্যাপিল করে আসছি যে আমাদের নামটা ওয়েস্ট বেঙ্গল থেকে বেঙ্গল করা হোক। সমস্ত রীতিনীতি মেনে বারবার আমরা ফাইল পাঠিয়েছি। কোনো এক অজ্ঞাত কারণে বাংলা করা হলোনা আমাদের নামটা। ২০১৯-২০-র বাজেটে ট্যাক্স ডিভলিউশনে ১১ হাজার ২০০ কোটি টাকা আমরা এখনো পাইনি। ২০১৯-২০’র বাজেটে যে গ্রান্ট বা অনুদান ৩৭ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা বাংলা এখনো পাইনি সেই বাজেটে জিএসটি কম্পেন্সেশন ১৩ হাজার কোটি টাকা আমরা এখনো পাইনি। সব মিলিয়ে ৯০ হাজার কোটি টাকা বাংলাকে দেওয়া হয়নি। সর্বশিক্ষা অভিযানের ফাইল করা হয়েছে। আইসিডিএস এর ফাইল করা হয়েছে। আমরা দেখেছি আমফানের মত ন্যাশনাল ডিজাস্টার যখন হল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে বেরিয়ে এক হাজার কোটি টাকার একটা ললিপপ ধরিয়ে চলে গেলেন। তারপর আমরা কোন টাকা পেলাম না।

আমরা কোভিড প্যান্ডেমিকে দেখলাম গতকাল আমাদের এক বছর কমপ্লিট হয়েছে লকডাউনের। আমরা আজকে দুঃখের সাথে স্মরণ করি ২৩ এবং ২৪ শে ফেব্রুয়ারি গুজরাটের গরীব মানুষগুলোকে ইটের পাঁচিল দিয়ে ঘিরা নমস্তে ট্রাম্প করার জন্য এবং মধ্যপ্রদেশের সরকার গড়ার জন্য যদি সেই সময় এত রিলাকটেন্ট অ্যাটিটিউড না দেখাতাম তাহলে আজকে আমাদের কোভিডে এই করুণ পরিণতি হতো না। তা সত্ত্বেও আমাদের বাংলায় জুলাই মাসের পর থেকে কোভিড ট্রিটমেন্টের জন্য কোনো সহযোগিতা কেন্দ্রীয় সরকার করেনি। শুধু তাই নয়, আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলছেন আমি পয়সা দিয়ে কভিড ভ্যাকসিন তোমার থেকে কিনব; আমি আমার বাংলার ১০ কোটি মানুষকে যারা এলিজেবল তাদেরকে বিনা পয়সায় কোভিড ভ্যাকসিন দিতে চাই। তুমি আড়াইশো টাকায় বিক্রি করো, আমি বিনা পয়সায় রাজ্য একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ যেখানে সমস্ত স্বাস্থ্যপরিসেবা বিনা পয়সায়, আমি বিনা পয়সায় দেব। কেন্দ্র সেই কোভিড ভ্যাকসিনটা পর্যন্ত দিতে পারছে না।

পিএম কেয়ার ফান্ডের কথাতো ইতিমধ্যে বলা হয়েছে। আমি বক্তব্য দীর্ঘায়িত করবো না। আমার পরে আরেকজন বলবেন। আমি তাই শুধু একটা কথা বলব যে মন খারাপ করার কোন কারণ নেই। ২রা মে-র পর মন খারাপ করবেন না। বাংলায় আসুন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাকে বলে দেবে যেভাবে ৩৪ বছরের পর ১০ বছরে বাংলার হাল ফিরিয়ে দিয়েছেন সেই ভাবে আপনি কিভাবে দেশটাকে গুছিয়ে কাজ করতে পারবেন দেখিয়ে দেবেন।

আর একটা কথা বলে শেষ করব। আমরা খুব ভয় পাচ্ছি দেশটাকে আমি বেচে দিয়েছি, বাংলায় যাচ্ছি ডেলি প্যাসেঞ্জারি করতে। বাচ্চা বাচ্চা ছেলেরা বলছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড-এর মত অত বড় মাঠ দেখছে, সেটা আবার বেচে দেবে না তো!

২০২১ এর আজ ২৪শে মার্চ। আর তিন দিন পর থেকে বাংলায় উন্নয়নের খেলা শুরু হবে এবং সেটা সেমিফাইনালে জেতার পর, ২০২৪ এ দিল্লির বুকে ফাইনাল খেলা হবে। জয় বাংলা, জয় হিন্দ।