সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
সাত বছরে বাংলার পর্যটন ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারের ঐকান্তিক উদ্যোগে বাংলা এই মুহূর্তে পর্যটকদের কাছে বাংলা এক অন্যতম প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। অন্তর্দেশীয় পর্যটকদের আগমনের নিরিখে দেশের অন্যতম সেরা রাজ্য বাংলা। পাশাপাশি বিদেশী পর্যটকদের সংখ্যার দিক থেকেও এগিয়ে চলেছে রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলি।
গত সাত বছরে পর্যটন ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে বাংলায়। এর কৃতিত্ব পুরোটাই রাজ্য পর্যটন দপ্তরের পাওনা।
পর্যটন দপ্তরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য:
- রাজ্যে হোমস্টের সংখ্যা বেড়েছে ৩০ শতাংশ। প্রায় ৫০,০০০ মানুষের জীবিকা জড়িয়ে আছে এর সঙ্গে।
- কলকাতায় অবস্থিত ৩০০০ এরও বেশী হোটেলে আছে। এর মধ্যে ৬৭ শতাংশ হোটেলেই সমস্ত আধুনিক সুবিধা পাওয়া যায় এবং সারা বছর ভর্তি থাকে। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে বাংলা এই ক্ষেত্রে তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
- স্বাস্থ্য পর্যটনেও এগিয়ে চলেছে বাংলা। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে বাংলায় প্রায় ২৪ লক্ষ এবং আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ লক্ষ স্বাস্থ্য পর্যটক আসবেন বলে আশা করা যায়।
- জলপাইগুড়ি জেলার গাজোলডোবা ব্লকে ভোরের আলো প্রকল্প, বীরভূম জেলার বোলপুরে খোয়াই নদীর পাড়ে বাউল বিতান, সুন্দরবনের বন্যপ্রাণ সমৃদ্ধ পার্ক এবং ঝড়খালিতে ঝড় নামক ইকো-ট্যুরিজম প্রকল্পের কাজ চলছে।
- শিলিগুড়ির কাছে বেঙ্গল সাফারি ওয়াইল্ডলাইফ পার্ক, মুর্শিদাবাদের মতিঝিলে প্রকৃতি তীর্থ, শান্তিনিকেতনের কাছে শ্রীনিকেতনে রাঙাবিতান প্রকল্প, বলাগড়ের সবুজ দ্বীপ ইকো-ট্যুরিজম প্রকল্প ইতিমধ্যেই মানুষের মনে সাড়া ফেলেছে।
- নজরুল তীর্থ, মাদার্স ওয়াক্স মিউজিয়াম এবং কলকাতা গেট নিউটাউনকে অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে।
- রেড রোডে অনুষ্ঠিত হওয়া দুর্গা পুজো কার্নিভ্যাল, কলকাতা খ্রীস্টমাস ফেস্টিভ্যাল, পৌষমেলা এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর লক্ষ মানুষ বাংলায় আসেন।