অগাস্ট ৫, ২০১৮
নিউটাউনে গড়ে উঠছে প্রবীণদের জন্য বাসস্থান

নিউটাউনে গড়ে উঠছে প্রবীণদের শান্তির নীড়, স্নেহদিয়া। ১১ তলার আবাসন। পাশে গেস্ট হাউসও থাকছে। প্রবীণদের নির্ভয়ে থাকার বিলাসবহুল ব্যবস্থা। আবাসিকদের সুবিধের জন্য হিডকো ভরসা করেছে তথ্যপ্রযুক্তির ওপর। স্নেহদীয়ার আবাসিকদের দেওয়া হবে দূরনিয়ন্ত্রিত বিপদ ঘণ্টি (রিমোট কলিং বেল)। কোনও বিপদে পড়লে ওই ঘণ্টির সাহায্যে পরিজনের কাছে বার্তা পাঠাতে পারবেন প্রবীণ আবাসিক।
নিউটাউনের স্বপ্নভোরের কাছে তৈরি করা হচ্ছে স্নেহদীয়া। চলতি বছরে ভবন–নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে।
স্নেহদীয়ায় মোট ১৫৭টি ঘর থাকবে। ৫৭টি দুই শয্যার এবং ৯০টি এক শয্যার। ঘর বণ্টনের জন্য লটারির পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতি তলে থাকবে আড্ডা, গল্প করার বড়সড় খোলামেলা জায়গা। দেখা যাবে টিভি। ক্যারম, তাস, দাবাও খেলা যাতে পারে। প্রতি তলে থাকবে ঝুলন্ত উদ্যান। ঘরে থাকবে বালিশ–বিছানা, গরম জলের ব্যবস্থা, টেলিভিশন, ওয়াই–ফাই, আপৎকালীন ঘণ্টি। শৌচাগার হবে ঘর লাগোয়া। সকাল–বিকেল খাওয়া, ঘর পরিষ্কার করার ব্যবস্থা রয়েছে।
যোগব্যায়াম, ফিজিওথেরাপি, হাইড্রোথেরাপি পরিষেবা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি আবাসিক ওষুধ, নিয়মিত ওজন, রক্তচাপ, সুগার মাপা হবে। সেখানকার আবাসিকরা নিউ টাউনের সিনিয়রস পার্কের সদস্যপদ পাবেন নিখরচায়। আবাসনে সাময়িক পত্রপত্রিকা পাওয়া যাবে। সাংস্কৃতিক সন্ধ্যাও আয়োজন করা হবে। একা থাকলেও তাঁরা যে অবহেলিত, তা মোটেই নয়। তাঁদের যাতে বিন্দুমাত্র অসুবিধে না হয় খেয়াল রেখেছে হিডকো। তাই আরামদায়ক ঘর থেকে খাওয়া, চিকিৎসা— যাবতীয় পরিষেবা মিলবে।
আবাসনের ঘরে বিপদঘণ্টি থাকবে। কোনও সমস্যায় পড়লে সাহায্য পাওয়া যাবে তৎক্ষণাৎ। আবাসিকরা বাইরে বেরিয়ে বিপদে পড়লে, তার সমাধানে তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে হিডকো এবং রাজ্য তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তর। তারা লোরা নামে প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। আবাসিকদের দিয়ে দেওয়া হবে দূরনিয়ন্ত্রিত বিপদ ঘণ্টি (রিমোট কলিং বেল)। যার সাহায্যে নিমেষে বার্তা পাঠানো যাবে। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। এই বিপদঘণ্টি আকারে বেশ ছোট। পকেটে রাখা যাবে। কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে, সেই তথ্য আগে থেকে নথিভুক্ত করতে হবে আবাসিককে।