সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
কৃষ্ণনগরে চালু হবে ‘সর তীর্থ’

কৃষ্ণনগরে চালু হতে চলেছে ‘সর তীর্থ’। বর্ধমানের ল্যাংচা হাবের আদলে এই সর তীর্থে পাওয়া যাবে কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত সরভাজা ও সরপুরিয়া। এইজন্যে কৃষ্ণনগর লাগোয়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ভবন তৈরীর কাজ প্রায় সম্পূর্ণ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষ্ণনগরে এসে সরতীর্থ তৈরীর কথা ঘোষণা করেছিলেন। প্রধানত কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত এই মিষ্টি শিল্পের বিপণন উন্নীত করতে এবং পর্যটকরা যাতে সহজেই সরভাজা ও সরপুরিয়া পেতে পারেন, তাই এই উদ্যোগ। ৬ মাসখানেকের মধ্যেই এটা চালু হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।
রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র শিল্প দপ্তরের উদ্যোগে এই সরতীর্থ তৈরী হচ্ছে। এই জন্যে খরচ ধরা হয়েছে ১ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা।
দোতলা এই ভবনের একতলায় থাকবে কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত মিষ্টির দোকানগুলির স্টল। সেখান থেকেই এই সংস্থাগুলি সরভাজা, সরপুরিয়া–সহ নানা বিখ্যাত মিষ্টি খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করবে। এখানে কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত অধরের সরপুরিয়ার স্টলও থাকার কথা।
উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগরে মাটির পুতুলের পাশাপাশি এখানকার সরভাজা ও সরপুরিয়াও বিখ্যাত। অনেক পর্যটক কৃষ্ণনগরে আসেন সরভাজা ও সরপুরিয়ার স্বাদ নিতে এবং কিনে নিয়ে যেতে। জাতীয় সড়কের ওপর এই সরতীর্থ চালু হলে তাঁদের খুব সুবিধা হবে। এমনকী, যারা জাতীয় সড়ক দিয়ে অন্য কাজে যান তাঁরাও এই সরপুরিয়া সহজেই কিনতে পারবেন। কৃষ্ণনগরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর পিডব্লিউডি মোড়ে পথের সাথীর পাশে এই সরতীর্থ তৈরী করা হচ্ছে।