সাম্প্রতিক খবর

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮

ব্যবসা করার সুবিধায় বাংলা শীর্ষে, জার্মানিতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

ব্যবসা করার সুবিধায় বাংলা শীর্ষে, জার্মানিতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

প্রথমে মিউনিখ। ২০১৬। তারপর কলকাতা। এবার ফ্রাঙ্কফুর্ট। পশ্চিমবঙ্গে সেই বাণিজ্যলাভেই এবার তাঁর বিদেশ সফর। পারস্পরিক আলোচনা তো চলছিলই। মিউনিখে প্রথমবার গিয়ে বাংলায় শিল্পায়ন–সম্ভাবনার দরজা খুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জার্মানির বিনিয়োগকারীদের কাছে। তাতে যথেষ্টই সাড়া মেলে সেবার।

গতবছর বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছিলেন ৩২টি দেশের প্রতিনিধিরা। ছিলেন ইউরোপের এই দুই প্রথম সারির দেশ— জার্মানি ও ইতালির শিল্পপতিরাও। এবারে তারই যোগসূত্রে ইতি টেনে বাংলাকে ‘এক নম্বরে’ নিয়ে যেতে আরও একবার উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আজ ফ্রাঙ্কফুর্টে আয়োজিত হয় এক বড় মাপের শিল্পসম্মেলন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৭০ জন জার্মানি শিল্পপতি ছাড়াও এই দেশের তিনটি প্রখ্যাত ও প্রভাবশালী বণিকসভার প্রতিনিধিরাও। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন বাংলার ২০ জন শিল্পোদ্যোগীও।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশ:1

বাংলা ও জার্মানির সম্পর্ক অনেক পুরোনো। ১৯৫৭ সালে Goethe Institute এর যাত্রা শুরু বাংলায়।

জার্মানরা ফুটবল ভালোবাসে। বাংলাও ফুটবলের ভক্ত। আমরা চিরকাল জার্মানির সাথে ভাল সম্পর্ক স্থাপনে জোর দিয়েছে।

এখানে উপস্থিত আমাদের বিভিন্ন বণিকমহলের প্রতিনিধিরা যা বলার ইতিমধ্যেই বলেছেন। আমার ক্যাপ্টেন অফ ইন্ডাস্ট্রিরাও তাদের অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে বলেছেন।

২০১৮ সালের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে জার্মানি আমাদের পার্টনার দেশ ছিল। এটা আমাদের পক্ষে খুবই সম্মানের কথা ছিল। ২০১৯ এও   Dusseldorf থেকে এক প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবেন।

বাংলার ভৌগোলিক অবস্থান খুবই লাভজনক। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার বাংলা। নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশের প্রবেশদ্বার বাংলা। ভারতের পূর্বের ও উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির প্রবেশদ্বার বাংলা।

বাংলার মেধা সারা বিশ্বে বিখ্যাত। আমাদের যুবসম্প্রদায় খুবই প্রতিভাশালী। দক্ষতা বিকাশে আমরা শীর্ষে।

শিল্পের অন্যতম চাহিদা হল বিদ্যুৎ, যা আমাদের রয়েছে প্রচুর। আমরা অন্যান্য দেশেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করি।

আমাদের নিজস্ব জমি নীতি, জমির ব্যাঙ্ক, জমির ম্যাপ আছে।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বাংলা এক নম্বরে। ই-গভর্নেন্স, ই-টেন্ডার, ব্যবসা করার সুবিধায় আমরা এক নম্বরে।

সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্প রূপায়নেও আমরা শীর্ষে। নারী ক্ষমতায়নের জন্য গত বছর রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রথম পুরস্কার পায় বাংলা।