সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
বাংলার পর্যটনঃ জেলা ভিত্তিক উদ্যোগ

গত সাত বছরে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের শাসনকালে রাজ্য পর্যটন দপ্তর বাংলাজুড়ে অনেক নতুন প্রকল্প গড়ে তুলেছে। এর ফলে দেশের, তথা বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে উল্লেখযোগ্য রাজ্য হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে আমাদের গর্বের বাংলা।
এক জনরে দেখে নেওয়া যাক জেলাভিত্তিক পর্যটন উদ্যোগ:
আলিপুরদুয়ার
রত্নেশ্বর ঝিল প্রকল্প
বাঁকুড়া
- বড়ঘুটু পাহাড়, বিহারীনাথ পাহাড়, শুশুনিয়া পাহাড় ও মুকুটমনিপুরে থাকার ব্যবস্থা, পরিকাঠামো, পার্ক।
- বিষ্ণুপুর গেটে ও পুরনো দুর্গের সংস্কার।
- জয়রামবাটিতে শ্রী শ্রী মাতৃ মন্দিরে থাকার ব্যবস্থা।
- বিষ্ণুপুরে লালগড় ডে কেয়ার সেন্টার।
বীরভূম
- শ্রীনিকেতনের কাছে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক এবং বক্রেশ্বরে থাকার সুবিধার জন্য ১০টি কটেজ তৈরী।
- জয়দেব কেঁদুলি গ্রামে বিখ্যাত কেঁদুলি মেলার প্রবেশদ্বার তৈরী।
- কঙ্কালিতলায় পর্যটন পরিকাঠামো তৈরী।
কুচবিহার
- কুচবিহার শহরে আনন্দময়ী ধর্মশালায় নতুন উইংয়ের দ্বিতীয় তল তৈরী।
- কুচবিহার শহরে বৈরাগী দীঘির সৌন্দর্যায়ন।
- দান গোরাই মন্দিরের সংস্কার
দক্ষিণ দিনাজপুর
কুশমন্ডি ব্লকের মহিপাল দীঘি, তপন শহরের তপন দীঘি, বাইরহাটা শহরের গৌড় দীঘির পরিকাঠামো তৈরী।
দার্জিলিং
- বাতাসিয়া লুপে গোর্খা সংগ্রহশালা তৈরী।
- দার্জিলিং জেলার পদ্মজা নাইডু জুলজিকাল পার্কে বেঙ্গল ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের সংস্কার।
- কার্শিয়ঙের কাছে ইগলস ক্রেগ, গয়াবাড়ি, তিনধরিয়া এবং গিদ্দাপাহাড়ের সংস্কার।
- দার্জিলিং টাউনের লুইস জুবিলি কমপ্লেক্সের ফুড ক্রাফট ইন্সটিটিউটের সংস্কার।
- সিটং গ্রামে হোমস্টে।
- দার্জিলিঙের রায় ভিলায় থাকার ব্যবস্থা, জলের ব্যবস্থা করা, এখানে আসার রাস্তার পুনর্নির্মাণ, পাঁচিল তৈরী।
- চিমনি গ্রামে ও পোখরিয়াতারে ইকো ট্যুরিজম পার্কের নির্মাণ।
- দার্জিলিঙে টাইগার হিল রোড উন্নত এবং প্রশস্ত করা।
- তিঞ্চুলে খাশমহল গ্রামে হোমস্টে ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প, তাকদহ খাসমহলে এফপিসি ভিলেজ হোমস্টে তৈরী।
- শিলিগুড়ির কাছে উত্তরবঙ্গ ওয়াইল্ড অ্যানিমাল পার্ক তৈরী।
- দার্জিলিঙের কাছে সেঞ্চল বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য তৈরী।
- বাগডোগরা বিমানবন্দরের কাছে ৩ একর জমিতে কেজো পর্যটন প্রকল্পের জন্য পাঁচিল তোলা হয়েছে।
- হিল টপ রোড, রিংকিংপং রোডের নির্মাণ ও মেরামত।
- কার্শিয়ঙে নেতাজী সংগ্রহশালার সংস্কার, গিদ্দাপাহাড়ের সিএসএইচএলএসসি এর সংস্কার।
- বাগডোগরা বিমান বন্দরে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন তথ্যকেন্দ্রকে পুনুরুজ্জীবিত করা।
হুগলী
- চন্দননগরে নদীর পাড়ে আলোকসজ্জা।
- জঙ্গীপাড়ায় ফুরফুরা শরীফে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট মুসাফিরখানা তৈরী।
- বাঁশবেড়িয়ার হংসেশ্বরী মন্দির ও গাজী জফর দরগার আলোকসজ্জা।
- আঁটপুর গ্রামীণ পর্যটন প্রকল্পের জন্য দ্বিতল অতিথিশালা তৈরী।
- সবুজ দ্বীপ উন্নয়ন প্রকল্প – দুটি কাঠের জেটি তৈরী, বেড়া দেওয়া, মেটাল্ড রাস্তা, জল সরবরাহ ও বিদ্যুতের সরবরাহের ব্যবস্থা।
- ডেনমার্ক টাভার্ন তৈরী।
- জগন্নাথ মন্দির, রাধামাধব মন্দির, জগন্নাথ ঘাটের ও মাসির বাড়ির মন্দিরের সংস্কার।
- ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কে নিউ দিঘা পর্যটন কেন্দ্রের সংস্কার।
হাওড়া
- গড়চুমুকে পুরনো বাংলোর সংস্কার।
- হাওড়া জেলা সংগ্রহশালার (আনন্দনিকেতন কৃষ্টিশালা নামে পরিচিত) সংস্কার।
জলপাইগুড়ি
- বাতাবাড়ি ও তিলাবাড়িতে নতুন ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্স তৈরী।
- তিলাবাড়িতে নেচার ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার তৈরী।
- মাগুরমারি গ্রামে হোমস্টে।
ঝাড়গ্রাম
- ঝাড়গ্রামের রাজবাড়িতে পর্যটন কমপ্লেক্স।
- ঝাড়গ্রাম সংগ্রহশালায় লিভিং আর্ট সংগ্রহশালা (আদিবাসী ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার কাম মিউজিয়াম) নির্মাণ।
কালিম্পং
কালিম্পঙে পর্যটকদের জন্য ১২টি লগ হাট নির্মাণ।
কলকাতা
- নদীর পাড় সংস্কার, শহীদ মিনার, ইডেন গার্ডেন্সে বর্মীয় প্যাগোডা, মেয়ো রোডের ট্রাফিক আইল্যান্ড, ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের জেনারেল ট্যাঙ্ক, মনোহর দাস ট্যাঙ্ক, রামকৃষ্ণ সমাধি প্রাঙ্গনের সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন।
- পার্ক স্ট্রীটে এল এবং ইউ শেপের স্থায়ী আলোর ব্যবস্থা।
- কলকাতা বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন তথ্য কেন্দ্রের সংস্কার করা।
মালদা
- গৌড়, আদিনা ও পান্ডুয়াতে ঐতিহাসিক স্থানগুলির সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন।
- মালদা সংগ্রহশালার জন্য ভবন তৈরী।
- গৌড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাওয়ার জন্য রাস্তা তৈরী।
- নিত্যানন্দপুর থেকে পিরানা পীর মসজিদ হয়ে কাজীগ্রাম বাঁধ পর্যন্ত যাওয়ার কংক্রিটের রাস্তা।
মুর্শিদাবাদ
মতিঝিল ট্যুরিজম ডেস্টিনেশন প্রোজেক্টঃ অতিথিশালা, ভিআইপি কটেজ, ল্যান্ডস্কেপ, বাগান, লাইট অ্যান্ড সাউন্ড প্রকল্পের নির্মাণ।
নদীয়া
- কৃষ্ণনগরে ৪টি হাট এবং ঘূর্ণিতে আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট সংগ্রহশালা।
- পলাশী প্রান্তরে যোদ্ধাদের সমাধিক্ষেত্রের মুলদ্বার তৈরী এবং ৫টি কটেজ ও একটি ডরমেটরি তৈরী পর্যটকদের জন্য।
- করিমপুর লালন মঞ্চে পাঁচিল, শৌচালয় ব্লক, স্যানিটারি ও প্লাম্বিঙের কাজ।
- উত্তমপুরে চিলড্রেন্স পার্ক।
- মায়াপুরে ২৫ মিটারের গ্যাংওয়ে তৈরী হয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনা
- টাকিতে ইছামতী নদীতে ভাসমান রেস্তোরাঁ তৈরী।
- চন্দ্রকেতুগড়ের ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষ দিয়ে বেড়াচাঁপাতে পথের সাথীতে সংগ্রহশালা তৈরী।
পশ্চিম বর্ধমান
দুর্গাপুরে হোটেল ম্যানেজমেন্টের জন্য সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরী।
পশ্চিম মেদিনিপুর
পাথরা মন্দির, কারবালা মাঠ, ঈদ বুড়া পীর বাবার মাজারে শরীফের উন্নয়ন।
পূর্ব বর্ধমান
- মহাতীর্থ অট্টহাস সতীপীঠের উন্নয়ন।
- রাসবিহারী বসুর জন্মস্থানের সংস্কার।
- কালনার ১০৮টি শিবমন্দির আলোকিত করা হয়েছে।
- অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ মন্দির এবং বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরের সৌন্দর্যায়ন।
- সমুদ্রগড়ে দ্বিতল অতিথিশালা তৈরী।
পূর্ব মেদিনীপুর
- দীঘায় মেরিন ড্রাইভ ও বিশ্ব বাংলা উদ্যানের সংস্কার।
- দীঘার সমুদ্র সৈকতে নিরাপত্তা জোরদার করা।
- দীঘায় প্রবেশদ্বার তৈরী।
- শঙ্করপুর ও তাজপুরে সমুদ্রতটে পর্যটন কেন্দ্র তৈরী।
পুরুলিয়া
- জয়চন্ডী পাহাড়, গড়পঞ্চকোট, তেলকুপি ঘাট, মাথা, দোলাডাঙ্গা, মুরাডি, কুচরিরেখা, কালীপাহাড় ও খয়রাবেড়ায় গ্রামীণ পর্যটন প্রকল্প।
- অযোধ্যা পাহাড়ে ছটি ওয়াচ টাওয়ার তৈরী।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা
- গঙ্গাসাগরে ধর্মীয় পর্যটনঃ ২০টি কটেজ, সাধারণ পরিকাঠামো (যেমন রাস্তা, আরসিসি ড্রাইভওয়ে, গাড়ি পার্কিং, আলোকসজ্জা, ফুড কোর্ট, শৌচালয় ব্লক, কেনাকাটির কিওস্ক), কপিল
- মুনির আশ্রমে আলোকসজ্জা, কচুবেড়িয়া ও লট ৮এ প্রবেশদ্বার, কচুবেড়িয়াতে দ্বিতল রাত্রিবাসের ব্যবস্থা ও শৌচালয়ের নির্মাণ।
- বকখালি ও ফ্রেজারগঞ্জে পাইপের মাধ্যমে জল সরবরাহ।
- ঝড়খালিতে সুন্দরবন ওয়াইল্ড অ্যানিম্যাল পার্ক।
- ডায়মন্ড হারবারে ছোট নদীর পাড়ে আলোর ব্যবস্থা।
- নৈনানে বাবা বড় কাছারিতে দ্বার নির্মাণ।
- বকখালি তটে, হেনরিজ আইল্যান্ডে, ফ্রেজারগঞ্জ ও সাগরদ্বীপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
- গোসাবা বাজার থেকে পাখিরালয় পর্যন্ত ১১.৪৫ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ।
উত্তর দিনাজপুর
- বিন্দোলে ভৈরবী মন্দির ও বালিয়া মসজিদের সংস্কার।
- রায়গঞ্জের কর্ণজোরায় রাজ্য সংগ্রহশালার উন্নয়ন।
- কুলিক বার্ড স্যাঞ্চুয়ারির উন্নয়ন – বেড়া দেওয়া, পাঁচিল তোলা, ফুটপাথ তৈরী, পশু পাখি উদ্ধার কেন্দ্র, ওয়াচটাওয়ার নির্মাণ।