সাম্প্রতিক খবর

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯

গ্রামাঞ্চলে ভর্তুকিতে ১০ হাজার ই-রিক্সা দিতে উদ্যোগী রাজ্য

গ্রামের বেকারদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ১০ হাজার ই-রিক্সা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। রিক্সাগুলির দামের ৩০ শতাংশ বহন করবে রাজ্য সরকার। বাকি টাকা দিতে হবে আবেদনকারীকে। স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দপ্তরের তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মূলত গ্রামের বাসিন্দাদের কর্মসংস্থান বা জীবিকার জন্য রয়েছে একটি বিশেষ প্রকল্প, যার নাম স্বামী বিবেকানন্দ স্বনির্ভর কর্মসংস্থান প্রকল্প। বেকার যুব সম্প্রদায়ের পাশাপাশি সেখানে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় পিছিয়ে পড়া শ্রেণী, সংখ্যালঘু এবং মহিলাদের।

ব্যাঙ্ক ঋণের সাহায্যে ব্যক্তিগতভাবে বা গোষ্ঠী গড়ে যাতে ব্যবসা বা কোনও উদ্যোগ শুরু করা যায়, সেই কাজেই সহায়তা করে ওই প্রকল্প। কোনও প্রকল্প শুরু করলে, সেখানে রাজ্য সরকার মূল প্রকল্পের ৩০ শতাংশ ভর্তুকি দেয়। ব্যক্তিগত স্তরে উদ্যোগ হলে ভর্তুকির পরিমাণ সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা। যদি কোনও গোষ্ঠী সেই উদ্যোগ নেয়, তাহলে তার জন্য সর্বাধিক ভর্তুকি বরাদ্দ হয় ৩.৫ লক্ষ টাকা।সেই ৩০ শতাংশ ভর্তুকির আওতায় এবার ই-রিক্সা চালু করতে চায় স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দপ্তর।

বিভাগীয় মন্ত্রী বলেন, আমাদের তরফে প্রকল্পটির রূপরেখা চূড়ান্ত হয়েছে। কয়েকটি বিষয়ে প্রশাসনিক ছাড়পত্র পেতে তা মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমতি মিললেই প্রকল্পটি চালু করা হবে। আমরা ইতিমধ্যেই ই-রিক্সা সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছি। প্রকল্পটি চালু হলে রিক্সার জোগানে কোনও সমস্যা হবে না। প্রাথমিক পর্যায়ে দপ্তর ১০ হাজার ই-রিক্সা চালু করার উদ্যোগ নিলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে তা বাড়ানো হবে।

রাজ্যের মানুষকে স্বনির্ভর করতে পরিবহণকে আগেই হাতিয়ার করেছে রাজ্য সরকার। গতিধারা নামে প্রকল্পটি চালু করে পরিবহণ দপ্তর, যার মূল কারিগর রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দপ্তর। যদি কোনও ব্যক্তি বাস, ট্রাক, অটো বা ট্যাক্সি কিনে তা নিজেই চালাতে চান বা ব্যবসা করতে চান, তাহলে তার জন্য আর্থিক সহায়তা দেয় রাজ্য সরকার। এখানেও ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি পেতে পারেন কোনও ব্যক্তি। এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকির পাশাপাশি ব্যাঙ্ক ঋণ পেতে পারেন ওই ব্যক্তি। ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণের জোগান দিলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পাঁচ শতাংশ খরচ বহন করতে হয়।

পরিবহণ দপ্তরের ওই স্কিমের থেকে তাঁদের দপ্তরের প্রকল্পটির মূল পার্থক্য হল এই স্কিমটি মূলত গ্রামের মানুষকে কর্মসংস্থানের দিশা দেখানোর জন্য।

সৌজন্যেঃ বর্তমান