November 29, 2019
Derek O’Brien slams role of Governors in Parliament

FULL TRANSCRIPT
ইচ্ছে ছিল যে গতকাল বাংলায় একটা বড় জয়ের পর কিছু বলি। কিন্তু, আমরা শিখেছি যে জয় হলেও বিনয়ী হওয়া উচিত, অহংকারী হওয়া উচিত না।
রাজ্য এবং কেন্দ্র সম্বন্ধে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় যে রাজ্য এবং কেন্দ্রের মধ্যে একটা প্রব্লেম হয়ে যাচ্ছে। অনেক রাজ্যপাল চ্যাপ্টার ইলেভেন অফ কনস্টিটিউশন, সংবিধানের পার্ট ১১ পড়ছে না। পড়ছে না কারণ ওইটা পড়লে পরিষ্কার বোঝা যায় জনগণের রায় মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়, আর রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান। জনগণের যত ইচ্ছে, যত আশা, সেই সব একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে। আর গভর্নর বা রাজ্যপাল উনি একজন সাংবিধানিক প্রধান।
স্যার আমি নিজের কথা না বলে এখানে কনস্টিটিউইয়েন্ট অ্যাসেম্বলি ডিবেটে পরিষ্কার ভাবে লেখা রয়েছে একটা দুটো উদাহরণ দেবো। আর কনস্টিটিউইয়েন্ট অ্যাসেম্বলি ডিবেট ছাড়া পুঞ্ছি কমিশন, সরকারিয়া কমিশন এই একটা দুটো উদাহরণ দিয়ে আমি আমার ভাষণ এগোতে চাই।
সরকারিয়া কমিশন কি বলে? সরকারিয়া কমিশন বলে, যে একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তিনটে নাম পাঠাবেন রাষ্ট্রপতিকে, ওই তিনটে নামের মধ্যে রাষ্ট্রপতি একটা নাম বেছে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলে সেই হিসেবে রাজ্যপাল হবে ওই স্টেটের। কিন্তু আমাদের এখন কি হচ্ছে? ব্রেকিং নিউজ! মিডিয়া চ্যানেল থেকে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল কে হলো,, নাম কি। There is absolutely no discussion. রাজ্যপাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট একটা ব্রাঞ্চ অফিসের একটা ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের কাছে পাঠানো হয়। তাই আমাদের ইচ্ছে সরকারিয়া কমিশন যা বলেছে সেটা ভালোভাবে ফলো করা উচিত। এটা হলো আমার একটা ভিউ কারণ এটা আগে থেকে রেকমেন্ড করা আছে।
কনস্টিটিউইয়েন্ট অ্যাসেম্বলি ডিবেটে দেখুন সেখানেও ডঃ বি আর আম্বেদকর অনেক কথা বলেছে রাজ্যপালের ব্যাপারে এবং রাজ্যপাল কি করতে পারে এবং না করতে পারে। আমার খুবই বিনয়ী একটা অনুরোধ, আমরা কয়েক দিন আগে প্রায় ৫০ জন সাংসদ সংবিধান দিবসে ডঃ আম্বেদকরের স্ট্যাচুর সামনে বসে আমরা সংবিধান থেকে পড়লাম।
আমার খুব বিনীত অনুরোধ আমরা কয়েকদিন আগে প্রায় ৫০ জন সাংসদ সংবিধান দিবসে ডঃ আম্বেদকরের মূর্তির নীচে বসে সংবিধান থেকে উদ্ধৃতি পড়লাম। এই সংবিধানের ১১তম অধ্যায়ের ১০ পাতা সকলের পড়া উচিৎ। সাংসদদের যেমন পড়া উচিৎ, রাজনীতিবিদদের পড়া উচিৎ, রাজ্যপালদেরও পড়া উচিৎ। নয়তো, রাজ্যকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। একটি নির্বাচিত সরকারকে বাধা দেওয়া হচ্ছে, নিয়মিত বাধা দেওয়া হচ্ছে।
যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন কিভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমি কোনও রাজ্যপালের নাম করছি না। একজন রাজ্যপাল সকাল ঘুম থেকে উঠে চা খাওয়ার আগে ট্যুইটারে দুটো মেসেজ দিয়ে দেন, তারপর প্রাতঃভ্রমণের আগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুটো বক্তব্য দেন, তারপরে লাঞ্চের পর কয়েকজন ফটোগ্রাফার নিয়ে সারা রাজ্যে ঘোরেন ফটোর জন্য আবার ডিনারের আগে রাজ্যপাল কাঠি করল। কাঠি, কাঠি, কাঠি। সারাদিন এরকম করা কি রাজ্যপালের কাজ? এটা আমাদের ভাবতে হবে।
যতদিন আমরা এই সমস্যার সমাধান না করতে পারি, পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। রাজ্যপালের আসনের সম্মান সকলে দেয়। কিন্তু, যেভাবে গত দেড় দু মাসে আমার রাজ্যে যা হচ্ছে বা কয়েকদিন আগে মহারাষ্ট্রে যা হয়েছে এগুলো খুব বিপজ্জনক।
অহঙ্কার হওয়া ভালো না। যত অহঙ্কারী তুমি হবে, গতকাল পশ্চিমবঙ্গে তিন গোলে যেমন হেরে ভূত হয়ে গেছো, সেরকম আরও হবে।
I think all of us, irrespective of political parties, must read that Chapter 11 here and remember the words of Dr Ambedkar who said that the constitution is but a skeleton. The flesh has to be put by all of us everyday. I am afraid, with all due respect, Sir, some of the high constitutional authorities, I do not want to discuss today, in this debate, are making a mockery of the chairs they are sitting on.