প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তব

গত ৪৫ বছরে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ – ৬.১%। ২ কোটি মানুষ বেকার হয়েছেন। ভারতের ৭৭% কর্মীরাই অসুরক্ষিত কাজে নিযুক্ত

যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশকে Special Category Status দিতে অস্বীকার করেছে। বাংলা, কেরলের মত বিরোধী রাজ্যগুলোকে বন্যাত্রাণের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ দেওয়া হয়নি

গ্রাম ও শহরাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শুরু হয় ২০১৬ সালে। ২০২২ সালের মধ্যে শহরাঞ্চলের গরীবদের জন্য ২.২ কোটি বাড়ি তৈরী করার লক্ষ্য নেওয়া হয়। তিন বছর পর, এই প্রকল্পের মাত্র ১৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে

বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে দশ বছর কৃষিক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ছিল ৪.২%। বিজেপি শাসনের পাঁচ বছরে গড় বৃদ্ধির হার কমে হয়েছে ২.৯%

১৯৮০-৮১ সালে কৃষি ক্ষেত্রে সরকারের বিনিয়োগ ছিল ৪৩.২% যা ২০১৬-১৭ সালে কমে হয়েছে ১৮.৮%। ২০১৮-১৯ সালের বাজেটে বলা হয় ন্যুনতম সহায়ক মূল্য চাষের খরচের ১.৫ গুণ করা হবে। কিন্তু বর্ধিত দাম নির্ধারণ করা হয় A2+FL ফর্মুলা অনুযায়ী (শুধু পারিবারিক শ্রম এবং কৃষিতে প্রয়োজনীয় জিনিসের হিসাব ধরে) C2 (জমির মূল্য) গ্রাহ্য না করেই

অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত ভারতের ৬০% এর বেশী বাজারে অনেক খাদ্যশস্য ন্যুনতম সহায়ক মূল্যের চেয়ে সস্তায় বিক্রীত হচ্ছে

২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত মাত্র ৫.৫ লক্ষ আধার ভিত্তিক পয়েন্ট অফ সেল খোলা হয়েছে

২০১৮ সালের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত শহরাঞ্চলের ৭০ শতাংশ এলাকায় এবং গ্রামীণ অঞ্চলে মাত্র ১০ শতাংশ অঞ্চলে এই পরিষেবা পৌঁছেছে

২৯ নভেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত সরকারি তথ্য অনুযায়ী ৯৬.৫ কোটি গৃহ বিদ্যুৎহীন

২০১৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে ক্যাস Central Assistance to States (CAS) ২৬ শতাংশ কমানো হয়

গত বছরের তুলনায় ২৪টি প্রকল্পে কেন্দ্র তার অনুদান ২৪ শতাংশ কমিয়ে দেয়

রাজ্যে বন্যা এবং ভূমিক্ষয়ের চিরকালীন সমস্যা মেটাতে অসম সরকার বন্যা ব্যবস্থা তহবিল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে অতিরিক্ত ১১০০ কোটি টাকা দাবী করে। সেখানে ৯০ কোটি টাকা দেওয়া হয় ২০১৭-১৮ সালের বাজেটে

এনসিআরবি তথ্য অনুযায়ী বছরের পর বছর দেশে সাইবার ক্রাইম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের সাইবার ক্রাইমের সংখ্যা যথাক্রমে ৯৬২২, ১১৫৯২ ও ১২৩১৭

২০১৮ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, সুপ্রীম কোর্টে ৯টি পদ শূন্য, হাইকোর্টে ৪১৭টি পদ শূন্য, জেলা ও নিম্ন আদালতে ৫৪৩৬টি পদ শূন্য

কোনও লোকপাল নিযুক্ত হয়নি

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী গত তিন বছরে সমস্তও বেসরকারি এবং বিদেশী ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে এনপিএ বেড়েছে যথাক্রমে ৮১.১ এবং ৬৮.৪ শতাংশ

এনএসএসওর ২০১৫-১৬র তথ্য অনুযায়ী ১ লক্ষ গৃহের ৫৫.৪ শতাংশ মানুষ উন্মুক্ত শৌচকর্ম করতে বাধ্য। শহরে সেই সংখ্যা ৭.৫ শতাংশ

৩০ জুন ২০১৮ পর্যন্ত ১৩রাজ্যে ১৩৬৫৭ জন সাফাইকর্মী আছে

২০১৪-১৭ সালের মধ্যে ৪০টি লিঞ্চিং হয়েছে যার ফলে ৪৫ জন মারা গেছে, ২০১৪ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সংখ্যা ছিল ৬৪৪ যা ২০১৭তে বেড়ে হয়েছে ৮২২

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি ও বৈদেশিক ব্যাংকগুলির মোট মোট এনপিএ গত ৩টি অর্থবর্ষে ৮১% বেড়েছে। একই সময়ের মধ্যে পিএসবিগুলির সমষ্টিগত মোট এনপিএ ৬৮% বেড়েছে।

শুধুমাত্র আমেদাবাদ- মুম্বইতে বুলেট ট্রেন চালু হবে

২২ শতাংশ গ্রামাঞ্চলে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছয়নি

নমমী গঙ্গে প্রকল্পের ৭৬ শতাংশ টাকা ব্যয়ে মাত্র ২৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে

সংসদে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস হয়নি

বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের মাত্র ৯ শতাংশ ব্যবহার করা হয়েছে

নির্ভয়া ফান্ডের পরিমাণ ৩৬০০ কোটি টাকা। যদিও এই তহবিলের মাত্র ২৭%ব্যবহার হয়েছে

মাত্র ১৬.৯৩ শতাংশ গ্রামীণ বাড়িতে নলের মাধ্যমে জল পৌঁছয়

এরকম কোনও তহবিল তৈরী হয়নি

এলপিজির দাম ক্রমবর্ধমান এর ফলে মহিলারা বাধ্য হয়েছেন পারম্পরিক প্রথায় রান্না করতে। ১ কোটি উজ্জ্বলা প্রকল্পের গ্রাহকরা আর রিফিল করাতে আসেননি