সাম্প্রতিক খবর

এপ্রিল ১১, ২০২০

আমরা কমিউনাল ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছি না: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

আমরা কমিউনাল ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছি না: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো-বৈঠকে বাংলার ‘প্রাপ্য’ দাবি করার পাশাপাশি গোটা দেশের জন্যও একগুচ্ছ প্রস্তাব পেশ করেন তিনি। এই চরম আর্থিক ও সামাজিক দুর্যোগের সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে কর্পোরেট সংস্থা গুলি যাতে সামাজিক অনুদান প্রদান করতে পারে সেই দাবিও জানান এদিন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

ভারত সরকার করোনা মোকিবিলায় এক লক্ষ সাত হাজার কোটি টাকা ব্যয় করার ঘোষণা করেছে। যা এ দেশের জিডিপির এক শতাংশের মতো। মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে প্রস্তাব দিয়েছেন ভারত সরকারের উচিত জিডিপির ৬ শতাংশ তথা ১০ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়-বরাদ্দ ধার্য করা। এতে সমস্ত রাজ্যের মঙ্গল হবে বলে বৈঠকে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমেরিকা তাদের জিডিপির ১০ শতাংশ বরাদ্দ করেছে, ইউকে (ব্রিটেন) করেছে ১৫ শতাংশ আর জাপান করেছে ২০ শতাংশ।

মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব:

 ১০ লক্ষ কোটির হেল্থ-ইকনমিক প্যাকেজ

 রাজ্যের জন্য ২৫ হাজার কোটির প্যাকেজ

 ৩৬ হাজার কোটি বকেয়া দাবি

 জিএসটির ২,৩৯৩ কোটি বকেয়া দাবি

 কেন্দ্রীয় করে রাজ্যের অংশ ১১,২১৩ কোটি দাবি

 ৫০,০০০ হাজার র‍্যাপিড টেস্ট কিট

 অসংগঠিত ক্ষেত্রের জন্য বিশেষ প্যাকেজ

 সীমান্ত সুরক্ষায় পুলিশ-বিএসএফ-সিআইএসএফের সমন্বয় বৈঠক

 সিএসআরে কেন্দ্র-রাজ্য বৈষম্য দূর করা

 পরিযায়ী শ্রমিকদের খাদ্য-নিরাপত্তা

 আন্তর্জাতিক উড়ান এবং দূরপাল্লার ট্রেন বন্ধ রাখা

 জবকার্ড হোল্ডারদের ২ মাসের টাকা

শুক্রবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিন্‌হা জানিয়েছিলেন, রাজ্যের গোটা দশেক এলাকাকে ‘হটস্পট’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন কঠোরতর করার কথাও বলেন তিনি। মুখ্যসচিবের সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রী শনিবার জানান, যে সব এলাকায় করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, সেখানে নজরদারি বাড়ানো হলেও তা বিচ্ছিন্ন করা হবে না। বিপর্যস্ত হবে না সেই এলাকার জনজীবনও। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনও এলাকা নির্দিষ্ট করে বলিনি। আজও বলছি না। আজ একটা এলাকায় সংক্রমণ হয়েছে, তো কাল আরও একটা এলাকা যুক্ত হবে। এ ভাবে তাই কোনও এলাকাকে আলাদা করে দেওয়া হবে না।’ তবে একই সঙ্গে তিনি জানান, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য কিছু স্পর্শকাতর এলাকা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে রাজ্য। সেই এলাকাকে ‘হট স্পট’-এর বদলে রাজ্যের ‘মাইক্রো প্ল্যানিং’-এর অংশ হিসেবেই উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মিডিয়ার লোকেদের মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, “কোনও খবর দেখানোর আগে সেটার সত্যতা যাচাই করুন, দয়া করে ক্রস চেক করুন।

সে সব এলাকায় যাতে লকডাউন ঠিক মতো মানা হয়, সেটা নিশ্চিত করতে কাজ করবে রাজ্যের প্রশাসন। তিনি বলেন, ‘যেখানেই পেশেন্ট পাব বা যেগুলো সেনসিটিভ এরিয়া, সেখানে কর্ডন করে স্যানিটাইজ করা হবে। মানুষকে সচেতন হতে বলা হবে। আর ওইসব জায়গার মানুষের যাতে খাবার-ওষুধ পেতে কোনও অসুবিধা না-হয়, তার জন্য বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা:

আজ আরও ছটি নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত ৯৫টি অ্যাক্টিভ কেস আছে। এর মধ্যে ৭০ জন ১৬টি পরিবারের। আতঙ্কিত হবেন না

কেন্দ্র সরকারিভাবে ঘোষণা করে লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল করেছে। তাই, বাংলায়ও সেই একই সময় পর্যন্ত লকডাউন চলবে।

কৃষকদের সহায়তার জন্য খুব শীঘ্রই “অন্নদাত্রী” মোবাইল অ্যাপ চালু করা হবে

তিনটি টাস্ক ফোর্স কাজ করছে। গলি, রাস্তা, বাড়ি, আবাসন যেখানে করোনা রোগী পাওয়া যাবে সেই অঞ্চল পরিষ্কার করতে হবে।

র‍্যাপিড টেস্ট চালু করা হবে, প্রতি ওয়ার্ডে সাফাই চালানো হবে. কেন্দ্রের কাছে ৫০০০০ র‍্যাপিড কিট চাওয়া হয়েছে

চা বাগানে ১৫র বদলে ২৫ শতাংশ শ্রমিককে কাজে অনুমতি দেওয়া হল

ধান তোলার কাজ চলবে। চাল, গম, তেলের মিল চালু থাকবে। পরিছন্নতা বজায় রাখলে বেকারিও উৎপাদন চালাতে পারে

লকডাউনটা একটু কড়াকড়ি করা হবে। কিন্তু, তা বলে বাড়াবাড়ি করা হবে না

মানুষ রাস্তায় থাকবে না। রাস্তায় একসঙ্গে জমায়েত করবে না।

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যোগান বজায় থাকবে

জরুরি জিনিসপত্রের যেন কোনও অভাব না-হয়, উই হ্যাভ টু ব্যালেন্স বিটুইন লাইফ অ্যান্ড লাইভলিহুড

এলাকার মুদি দোকান খোলা থাকবে সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যে ৬ টা পর্যন্ত, ভিড় করবেন না

আমরা কমিউনাল ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছি না

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে

মিড ডে মিলের খাবার পড়ুয়াদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে