অগাস্ট ২৮, ২০২০
বাংলা ২০২১এ দেশকে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেবেঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ পালিত হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। যেহেতু সাধারণ র্যালি করা করোনার জন্য এবছর সম্ভব নয়, তাই ভার্চুয়াল র্যালি করে অনুষ্ঠিত হল এই সভা। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন। এবারের মূল বিষয় ছিল কলেজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং শিক্ষকদের উপযুক্ত সম্মান দেওয়া।
তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ
কেন্দ্রের মন কি বাতের মত ভাষণ দেওয়া ছাড়া আর কিছু কাজ নেই
এই পরিস্থিতিতে যদি একজন পরিক্ষার্থী ঠিক সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে না পৌঁছতে পারেন, তাঁর জন্য কে দায়ী হবে?
আমরা সারা দেশের ছাত্রসমাজের জন্য গর্বিত। তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল
পড়ুয়া হোক বা, পরিযায়ী শ্রমিক কেন্দ্র কাউকে সাহায্য করে না। কিছু মানুষকে নির্বাচনের আগে সাহায্য করে বাকিদের ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দেয়। কালো
টাকা ফিরিয়ে আনার মত অজস্র মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে
দক্ষতা উন্নয়ন, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বণ্টন এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বাংলা দেশের সেরা
এই অতিমারিতেও রাজ্য তাদের কর্মীদের বেতন দিচ্ছে
সরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্রী কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায়
পড়ুয়াদের ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিয়েছে রাজ্য সরকার
উদ্বাস্তু কলোনিগুলোকে সরকারি স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলার সরকার
সমস্ত প্রান্তিক ভাষাকে সরকারি স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলা
শিক্ষক দিবসে প্রতি ব্লকে শিক্ষকদের সম্মান জানানো হবে
আগামী বছর থেকে ৯ই আগস্ট পড়ুয়া দিবস হিসেবে পালন করা হবে
ছাত্ররাই নতুনের সূচনা করে। ২০২১ সালে ছাত্ররাই বিপ্লব আনবে
১৬ই সেপ্টেম্বর কৃষকরা সামাজিক দুরত্ব মেনে বিভিন্ন আলে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের কৃষক বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে।
করোনা একদিন চলে যাবে। বিজেপি এই নিয়ে রাজনীতি করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়াচ্ছে
করোনা অতিমারিকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক অতিমারি সৃষ্টি করা হয়েছে। কালা কানুনের আতঙ্ক চলছে
সারা দেশে কোথাও বাক স্বাধীনতা নেই। বাংলা সেই অধিকার সকলকে ফিরিয়ে দেবে। কাপুরুষরা রোজ মরে। সাহসীরা শুধু একবার মরে। আমরা নির্ভীক
ইউজিসির এপ্রিল মাসের নির্দেশিকা মেনে বাংলা চলছিল। জুলাই মাসের তাদের নির্দেশিকায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়
আমরা আদালতকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু, কেন্দ্র সরকার এবং তাদের পরিচালিত ইউজিসি কেন পরীক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে?
এই অতিমারিতে পড়ুয়াদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে। বিহারের এক পড়ুয়া কি করে উত্তর প্রদেশ যাবে পরীক্ষা দিতে? বীরভূমের এক পরীক্ষার্থী মুর্শিদাবাদে পরীক্ষা দিতে না পৌঁছতে পারলে কে দায়িত্ব নেবে?
সারা দেশ ত্রস্ত। বাংলা ২০২১ সালে দেশকে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেবে।
কেন্দ্র কি এই পড়ুয়াদের নির্বাচনের আগে আবার ভুল বুঝিয়ে ভোট নিতে পারবে? মনে রাখবেন তখন আদালত আপনাদের সাহায্য করতে পারবে না