জুলাই ২২, ২০১৯
দুর্গা পুজো আয়কর আদায়ের জায়গা নয়: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নবান্ন সভাঘরে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমাদের প্রায় ৪৮৬৪৯ গ্রামসভা মেম্বার আছে, ৯২১৭ পঞ্চায়েত সমিতির মেম্বার আছে, ৮২৫জেলা পরিষদের মেম্বার আছে। গ্রামসভায়, পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদ সদস্যদের সারাক্ষণ কাজ করতে হয়, কিন্তু বিনিময়ে তাঁরা প্রায় কিছুই পাননা। তাই, তাঁদের ভাতা বৃদ্ধি করাহল। সমস্ত সদস্যদের ভাতা বৃদ্ধির ফলে রাজ্য সরকারের ২২০ থেকে ২২৫ কোটি টাকা বাড়তি খরচ হবে।
এর পাশাপাশি জনসংযোগের উদ্দেশ্যে তিনি যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তারও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, সমস্ত সদস্যদের মানুষের সাথে যোগাযোগ রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে এবংসপ্তাহে একটা দিন মানুষের জন্য দুঘণ্টা করে সময় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির নিম্নমানের ও প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন এলে ওরা বিভাজনের রাজনীতি করে, ধর্মে ধর্মে ভাগাভাগি করে, বাঙালি অবাঙালিদের মধ্যে ভাগাভাগি করে। আর নির্বাচন চলে গেলে পুজোর কর্মকর্তা দের এজেন্সি দিয়ে ডেকে পাঠায়। টাকা দিয়ে ইভিএম দখল করা যায়, মানুষের মন নয়। বিজেপি আগেমানুষের মন জয় করতে শিখুক।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি আমরা চারদিন যে মা দূর্গার পুজো করি, তা বিশ্বের মানুষের কাছে একটা বিষ্ময়। অনেক পার্টির কর্পোরেট ফান্ডে আয়কর ছাড় আছে। পূজো গুলোর ক্ষেত্রেকেন আয়করে ছাড় থাকবে না? পূজোর টাকা মানুষের কাজ থেকে চাঁদা তুলে এবং স্পন্সর থেকে আসে। তাতে কোটি কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়। পুজোটা আয়কর আদায়ের জায়গা নয়। এতে পূজোর অপমান করা হয়। গতবার আমরা কমিউনিটি ডেভালপমেন্ট ফান্ড থেকে ১০,০০০ হাজার টাকা করে দিয়েছিলাম পূজোকমিটিগুলোকে কারণ এটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠান । ইলেকশনের সময় হিন্দুধর্মের প্রচার করে হিন্দুদের সবথেকে পবিত্র উৎসব দূর্গাপুজো থেকে আয়কর আদায় করাটা ঠিক হচ্ছে না।