ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
রাজনৈতিক স্বার্থে সত্য গোপন করা হচ্ছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ:
আমরা সকলেই চাই, তোমার যুদ্ধ যুদ্ধ করছো, বিশেষ করে মিডিয়া যুদ্ধ যুদ্ধ করছে, আজ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের সাথে একটাও মিটিং করলো না। পুলওয়ামা অ্যাটাক এর পরেও না, আবার এয়ার স্ট্রাইক এর পরেও না। কিছু বলা হয়নি, আমরা জানতেই চাইতে পারি, কতজন মারা গেছে? কারা মারা গেছে? আসল ঘটনা কি? বিস্তারিত আমরা কেউ জানি না। সেটা দেশবাসী জানতে চাইতে পারে..দেশের পক্ষে আমরা সবাই, দেশমাতৃকা কে আমরা সবাই ভালোবাসি। কিন্তু জওয়ানদের রক্ত দিয়ে রাজনীতি করাটা আমরা ভালোবাসি না। জওয়ানদের রক্তের দাম অনেক বেশি। জওয়ানরা আমাদের গর্ব, যারা সীমান্তে লড়াই করে। আজ রাজনীতির ভোটবাক্সে ফায়দা তুলবার জন্য কেউ কেউ রাজনীতি করে, এটা সবটাই নিন্দনীয়। এবং গত পাঁচ বছরেও কিছু হলো না, উরি হয়েছে, পাঠানকোট হয়েছে, কোন ব্যবস্থা হয়নি। এতোগুলো জওয়ান মারা গেছে, সরকারের কাছে অ্যাডভাইসারি ছিল, এরকম কিছু ঘটতে পারে,তা সত্বেও সরকার আগাম কিছু সাবধানতা নেয়নি। তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। হটাৎ করে ধিতাং ধিতাং তা বলে টিভি চ্যানেল গুলোকে একতরফা খাইয়ে কেন দেশবাসীকে বিপথে চালিত করা হচ্ছে। প্রকৃত পক্ষে কি ঘটনা ঘটেছে জানতে চাই। প্রথম দিন থেকে ন্যাশনাল টিভি তে শুনলাম ৩০০-৩৫০ জন মারা গেছে, কত কি?..আমরা জানতে চাই প্রকৃতপক্ষে কত জন মারা গেছে? আদৌ কি মারা গেছে কিনা? বোম্ব টা কোথায় ফেলা হয়েছিল? আদৌ বোম্বটা ঠিক জায়গায় পড়েছিল কিনা? নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াসিংটন পোস্ট, রয়টার্স, তাতে বলা হয়েছে এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি, বোম্বটা পড়েছে অন্য জায়গায়, মানুষ মারা যায়নি, এবং কেউ বলেছে ১জন মারা গেছে। কিন্তু সত্যটা কি? এটা তো লোকে জানতে চাইতেই পারে। এ ব্যাপারে আমরা পুরোপুরি ফোর্সের সাথে আছি। ফোর্সকে সত্যি কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। দেশের লোকের সত্যিটা জানা উচিত। রাজনীতির প্রয়োজনে আমরা যুদ্ধ চাই না। দেশের জন্য যদি যুদ্ধ হয়, আমরা দেশের সাথে আছি। রাজনীতি ও নির্বাচন জেতার জন্য আমরা যুদ্ধ চাই না।