সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
পুজো পরিক্রমার প্রস্তুতিতে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর

পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। আর বাকি মাত্র এক মাস। এর মধ্যেই প্রস্তুতি তুঙ্গে পরিবহণ দপ্তরে। পুজো পরিক্রমার জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা রয়েছে বিভিন্ন নিগমের।
পুজো পরিক্রমার পরিকল্পনা করেছে এসবিএসটিসিও। দুর্গাপুরের বিভিন্ন পুজো ঘুরিয়ে দেখাবে তারা। এই দুই নিগমের থেকে কিছুটা ভিন্ন পথে হেঁটে পুজোর সময় পাহাড়-জঙ্গলে প্যাকেজ ট্যুরের পরিকল্পনা করছে এনবিএসটিসি।
পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম সূত্রের খবর, পুজোর দিনগুলিতে কলকাতার বিশেষ পুজোগুলি বাসে ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। শহরতলির বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বাস ছাড়বে। এছাড়া, বনেদি বাড়ির পুজো, সল্টলেকের পুজোগুলিও ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। পুজো পরিক্রমায় নন-এসি বাসের পাশাপাশি এসি বাসও ব্যবহার করা হবে। বাসের মতোই ঐতিহ্যবাহী ট্রামেও পুজো পরিক্রমার আয়োজন করা হবে। এবার বাস এবং জলযানকে একসঙ্গে ব্যবহার করে পুজো পরিক্রমার পরিকল্পনাও হচ্ছে। এই ব্যবস্থা দর্শনার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হবে বলেই মনে করছে নিগমকর্তাদের একাংশ।
পুজো পরিক্রমার বাইরেও নিগমের বাস-ট্রামে এক টিকিটে সারাদিন ঘুরে প্রতিমা দর্শনের সুযোগ করে দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে। এই পরিকল্পনা গত বছরও করা হয়েছিল। তার নাম দেওয়া হয়েছিল, হপ হপ পুজো পরিক্রমা। পুজোর পাশাপাশি গঙ্গাবক্ষে ভেসেলে চড়ে প্রতিমা নিরঞ্জন দেখানোরও ব্যবস্থা হতে চলেছে বলে খবর।
এসবিএসটিসি সূত্রের খবর, এবারে দুর্গাপুরের বিভিন্ন পুজো ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা করবে তারা। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত এই পরিক্রমা চলবে। সিটি সেন্টারের কাছ থেকে সন্ধ্যা ছ’টায় ছাড়বে নন-এসি বাস। চার ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন পুজো ঘুরিয়ে দেখানো হবে। দর্শনার্থীদের পানীয় জল ও টিফিন দেওয়া হবে। টিকিট পিছু মূল্য ৩৫০ টাকা ধার্য করা হতে চলেছে বলে খবর।
সরকারি পরিবহণ নিগম, এনবিএসটিসি সূত্রের খবর, পুজোকে কেন্দ্র করে ডুয়ার্স এবং পাহাড়ে প্যাকেজ ট্যুরের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ট্যুরের সূচনা হবে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদহের মতো জায়গা থেকে। নিগমের এক কর্তা বলেন, পুজোকে কেন্দ্র করে ট্যুরের প্রস্তাব পরিবহণ দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দপ্তর থেকেই নেওয়া হবে। পুজো পরিক্রমা ছাড়াও পুজোর দিনগুলিতে বেশি রাত পর্যন্ত ইন্টারসিটি বাস চালানো হবে।