সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
২ তীর্থক্ষেত্র এবং ২ বিপ্লবীর জন্মভিটেয় পর্যটন কেন্দ্র হচ্ছে

পূর্ব বর্ধমান জেলার ঐতিহ্যপূর্ণ প্রাচীন দুটি তীর্থক্ষেত্র ও দুই বিপ্লবীর জন্মভিটেকে বাঁচিয়ে রাখতে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর। ইতিমধ্যেই এই চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করার পর মোট সোয়া ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে ওই দপ্তর। এই টাকা জেলা পর্যটন দপ্তরে চলে আসায় ওই জায়গাগুলিতে জোর কদমে কাজ শুরু হয়ে গেছে।
ওই চারটি হেরিটেজের মধ্যে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান শহরের সর্বমঙ্গলা মন্দির, খণ্ডঘোষের ওঁয়াড়ি গ্রামের বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের জন্মভিটে, রায়নার সুবলদহ গ্রামের বিপ্লবী রাসবিহারি বসুর জন্মভিটে এবং কেতুগ্রামের অট্টহাস সতীপীঠ।
জেলা পর্যটন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার এই চারটি প্রাচীন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিকে সংরক্ষণ করে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এজন্য মোট সোয়া ৫ কোটি টাকা দফায় দফায় এসেছে। তার কাজও চলছে। কোথাও কাজ শেষের দিকে। আবার কোথাও কাজ শুরু হয়েছে। অবশ্য তার আগে এগুলিকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরই রাজ্য ও জেলা স্তরের প্রশাসনিক আধিকারিকেরা বেশ কয়েক দফায় পর্যবেক্ষণ করার পর প্রয়োজন অনুযায়ী টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সর্বমঙ্গলা মন্দির প্রাঙ্গণকে দর্শনীয় স্থান হিসেবে তুলে ধরার জন্য ১ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। এখানকার প্রায় ৭৫ ভাগ কাজ হয়ে গেছে। এখন অন্তিম পর্যায়ের কাজ চলছে।
কেতুগ্রামের সতীপীঠের সংস্কার ও পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ১ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে।
খণ্ডঘোষের ওঁয়ারি গ্রামের বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের জন্মভিটের উন্নয়নে ৮৫ লক্ষ টাকা এসেছে। জায়গাটিকে সংরক্ষণ করে গড়ে উঠছে মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি ইত্যাদি। রায়নার সুবলদহে বিপ্লবী রাসবিহারি বসুর জন্মভিটের উন্নয়নে ৫৭ লক্ষ টাকা প্রথম পর্যায়ে পাওয়ার পরই কাজ শুরু হয়ে গেছে। এখানেও জায়গাটিকে প্রথমে সংরক্ষণ করে মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
সৌজন্যেঃ আজকাল