ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৯
কৃষকদের শস্যঋণের পরিমাণ বাড়াল রাজ্য

কৃষকদের শস্যঋণের পরিমাণ বাড়াল রাজ্য সরকার৷ গত বছরের তুলনায় এ বছর বাড়ল ৩ হাজার কোটি টাকা৷ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে কৃষকদের শস্যঋণ দেওয়া হবে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা৷ গত বছর এই ঋণের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার কোটি টাকা৷ সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এই ঋণ দেওয়া হবে৷ এতে প্রায় ৯০ লক্ষ কৃষক পরিবার উপকৃত হবে৷ ৭ শতাংশ সুদের হারে এই ঋণ দেওয়া হবে৷ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করলে ৩ শতাংশ সুদ ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে৷ যে মুহূর্তে ঋণ পরিশোধ হবে, সেই মুহূর্তে এই ৩ শতাংশ সুদের টাকা ঋণ পরিশোধকারী কুষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে৷
এই শস্য ঋণ বিভিন্ন চাষের জন্য বিভিন্ন ভাবে দেওয়া হয়। যেমন আমন চাষের জন্য একর প্রতি ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়৷ বোরো চাষের জন্য সেই টাকা বেড়ে গিয়ে এক প্রতি 8৫ হাজার টাকা হয়৷ যাঁরা আলু চাষ করেন, তাঁদের একর প্রতি ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়৷ প্রয়োজনে এই ঋণের পরিমাণ যাতে আরও বাড়ানো যায়, তার জন্য ভাবনাচিন্তা করছে রাজ্য সরকার৷
কৃষকদের তিন ধরনের ঋণ দেওয়া হয়। শস্যঋণ শোধের সময়সীমা থাকে ১ বছর৷ বাকি দুটির মধ্যে কিছু স্বল্পমেয়াদী এবং কিছু দীর্ঘমেয়াদী৷ কোনও কষক যদি ট্র্যাক্টর কেনার জন্য ঋণ নিতে চান, তাকে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেওয়া হয়। এই ঋণ শোধ করতে হয় ৭ থেকে ৯ বছরের মধ্যে।
কিষান ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কৃষকরা যাতে সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঋণ পান, তার জন্য এ বছর ৩ হাজার প্রাথমিক কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে সব রকম ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দেওয়ার পরিকাঠামো তৈরী করা হচ্ছে৷ বসানো হবে মাইক্রো এটিএম৷ এই পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য রাজ্য সরকার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করছে৷ এছাড়াও কৃষিকাজে শ্রমিক সমস্যা মেটাতে গড়ে তোলা হয়েছে টার্ন মেশিনারি হাব৷ এই হাব থেকে ট্র্যাক্টর, ধান ঝাড়ার মেশিন থেকে কৃষিকাজের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পাওয়া যাবে৷ এই সমস্ত হাব তৈরী করার জন্য রাজ্য সরকার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে৷
সৌজন্যেঃ আজকাল