ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯
বাংলা ও দেশের নৈতিক জয়ঃ সুপ্রীম কোর্টের রায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া
দেশের সংবিধান রক্ষার লক্ষ্যে কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্না মঞ্চে তিনি আজ সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখেন। সিবিআই ইস্যুতে সুপ্রীম কোর্টের রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান মুখ্যমন্ত্রী, তিনি বলেন এই জয় বাংলার নৈতিক হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশঃ
- আমরা বিচারব্যবস্থা এবং মিডিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা সুপ্রীম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানাই। আমরা এটাই চেয়েছিলাম।
- আমাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার যে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তা খারিজ হয়েছে। এই রায় (কলকাতা পুলিশ এবং সিবিআইকে কোনও নিরপেক্ষ স্থানে দেখা করতে হবে) আগেও দেওয়া হয়েছিল। আদালত এও বলেছে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে গ্রেপ্তার করা যাবে না।
- এমনকি কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার নিজেও সিবিআইকে পাঁচটি চিঠি লিখেছে যেখানে তিনি বলেছেন তিনি সিবিআইএর সঙ্গে কোনও নিরপেক্ষ জায়গায় দেখা করতে চান।
- কিন্তু, রবিবার সিবিআই তাঁর বাড়ি যান তাঁকে গ্রেপ্তার করতে। সুপ্রীম কোর্ট স্পষ্ট বলেছেন, ওনাকে গ্রেপ্তার করা যাবে না।
- আমরা দেশের সমস্তও সরকারি অফিসারদের সম্মান করি। কিন্তু, যখন রাজ্যের অনুমতি না নিয়ে কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা কোনও আইপিএস অফিসারের বাড়িতে হানা দেন তাঁকে গ্রেপ্তার করতে, তা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী।
- এটি গণ-আন্দোলন, তৃণমূলের আন্দোলন নয়। আমরা দেশ বাঁচাতে লড়ছি, সংবিধান বাঁচাতে লড়ছি। এটি রাজীব কুমারের একার লড়াই নয়, দেশের কোটি কোটি মানুষের লড়াই।
- আমরা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করব। মোদী হাটাও দেশ বাঁচাও স্লোগানকে আমরা বাস্তবায়িত করব।
- আমি সারা জীবন লড়াই করেছি। কৃষকদের জন্য আমি ২৬ দিন অনশন করেছি।
- আমাদের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো বাঁচাতে হবে। কেন্দ্র সমান্তরাল প্রশাসন চালাতে চাইছে। এর আগে এরম ঘটনা কখনও ঘটেনি। এটি মোদী-শাহের হিংসাত্বক রাজনীতির ফল।
- আমি প্রাণ দিতে পাড়ি কিন্তু কারোর সামনে মাথা নত করব না।
- আমি এলআইপি (Less Important Person)। আমি এই দেশের এক সাধারণ মানুষ। সমস্ত রাজনৈতিক দল একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেবে কে প্রধানমন্ত্রী হবে।
- মুখ্যমন্ত্রী ধর্নায় বসেছে এমন অনেক উদাহরণ এদেশে আছে। এটা আমার সরকারি আধিকারিকদের প্রতি আমার কর্তব্য।
ফাইল চিত্র