সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৮
কন্যাশ্রীদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে মুখ্যমন্ত্রীর নতুন প্রকল্প ‘স্বপ্নের ভোর’

উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে বা বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক ব্যাধি রুখতে রাজ্যের কন্যাদের জন্য চালু হয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। শুধু অর্থ দিয়ে সাহায্য নয়, এবার কন্যাশ্রীদের চাকরির উপযোগী করে তোলাই মূল লক্ষ্য রাজ্য সরকারের।
কে-টু অর্থাৎ, ১৮ বয়স পূর্ণ করেছেন এমন মেয়েদেরই এই কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা দপ্তর এই বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবে বলে ঠিক হয়েছে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্বপ্নের ভোর’।
বর্তমানে কে-টু উপভোক্তারা ১৮ বয়স সম্পূর্ণ করলেই এককালীন ২৫ হাজার টাকা পান। তার জন্য দু’টি শর্ত রয়েছে। এক, অবিবাহিত হতে হবে, দ্বিতীয়ত, পড়াশুনা চালিয়ে যেতে হবে। এবার পড়াশুনার পাশাপাশি এই কন্যাশ্রীদের কারিগরি শিক্ষা দিয়ে চাকরির উপযুক্ত করে তোলা হবে।
কীরকম প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে?
কন্যাশ্রীর ওয়েবসাইটে কে-টু উপভোক্তাদের নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হবে। স্বপ্নের ভোর নামে একটি লিঙ্ক থাকবে। সেখানে ঢুকলেই দু’টি অপশন দেখাবে— টেকনিক্যাল এবং মেকানিক্যাল। একজন কন্যাশ্রী কোন দিকে যেতে চান, তার জন্য এই দু’টি বিষয় দেওয়া থাকবে। এই দু’টির মধ্যে যে কোনও একটিতে ক্লিক করতে হবে। প্রশিক্ষণের জন্য নাম নথিভুক্ত করা হলে তাঁদের প্রথম দফায় কাউন্সেলিং করানো হবে। মেকানিক্যাল বা টেকনিক্যাল বিষয়ে কী কী দিক রয়েছে, কোনটার কী উপকারিতা ইত্যাদি বিষয়ে বোঝানো হবে। তারপরই প্রশিক্ষণ শুরু হবে।
প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, ৩০০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ট্রেনিং চলাকালীন প্রত্যেক উপভোক্তাকে রোজ ৫০ টাকা করে দেওয়া হবে। মেয়েরা যাতে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারেন, তার জন্যই এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কে-টু উপভোক্তাদের সংখ্যা সারা রাজ্যে প্রায় ১৬ লক্ষ। জেলা এবং কলকাতা মিলিয়েই এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কন্যাশ্রীকে যেভাবে জনপ্রিয়তার শিখরে নিয়ে যেতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপ্যাধ্যায়, তাতে এই নয়া প্রকল্প নতুন মাত্রা যোগ করবে।
সৌজন্যে: বর্তমান