সাম্প্রতিক খবর

জুলাই ৬, ২০১৯

ডিভিসির অতিরিক্ত জলও পুকুরে ধরে বন্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হবেঃ মুখ্যমন্ত্রী

ডিভিসির অতিরিক্ত জলও পুকুরে ধরে বন্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হবেঃ মুখ্যমন্ত্রী

বৃষ্টির অতিরিক্ত জল পুকুরে ধরে রাখাই রাজ্যের “জল ধরো জল ভরো” প্রকল্পের উদ্দেশ্য প্রবল বর্ষায় ডিভিসি-র জলাধার থেকে ছেড়ে দেওয়া অতিরিক্ত জলও ধরে রাখা হবে পুকুরগুলিতে বিধানসভায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জল ধরো জল ভরো প্রকল্পে গুরুত্ব বেশী দেওয়া হয়েছে ৩ লক্ষ পুকুর কাটা হয়েছে সেখানে মাছ চাষ হচ্ছে সেখানে বৃষ্টির জলও ধরা থাকছে আমি গতবার হাওড়া গিয়েছিলাম ডিভিসি জল যখন ছাড়ে, তখন সেই জল চলে আসে বলে বন্যা হয় খানাকুল, গোঘাট, উদয়নারায়ণপুর জলমগ্ন হয়ে যায় “জল ধরো জল ভরো” প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল এই অতিরিক্ত জল যাতে পুকুরে ধরে রাখা যায় ডিভিসি-র জলও চলে আসবে এই পুকুরে আমরা চেক ড্যাম করেছি এর জন্য রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা বন্যা নিয়ন্ত্রণের ওপর আমরা বিশেষ জোর দিয়েছি পরিবেশ রক্ষার ওপরেও জোর দিয়েছি এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে যাতে গরম কালেও সেচের জন্য জল দিতে পারি

 রাজ্যের সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্নোত্তর পর্বে জানান, “সেচদপ্তর নদী বাঁধ সংস্কার থেকে শুরু করে নতুন সেতু, চাষের জমিতে জল দিচ্ছে পরিকল্পনা করেই এগোনো হচ্ছে বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় নদীবাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে ইছাপুর, স্বরূ’পনগর, গ্রাইঘাটার অনেক জায়গায় নদীবাঁধ সংস্কার করে দেওয়া হয়েছে

 সেচমন্ত্রী আরও জানান, “আমরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি গত ৮ বছরে ৩ হাজার ১১৬ কিলোমিটার নদীবাঁধ সংস্কার করা হয়েছে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি প্রশাসক কমিটি করা হয়েছে কোন সেতু সেচ দপ্তর এবং কোনটি পূর্ত দপ্তর তৈরি করবে তা চিহিত করে দেওয়া হয়েছে | বৃষ্টির জল ধরে রাখার জন্য চেক ড্যাম করা হয়েছে জল ধরো জল ভরো প্রকল্পে সফলভাবে কাজ হচ্ছে আমরা ৩৬.২২ হেক্টর জমিতে সেচের জল পৌঁছে দিতে পেরেছি আরও ৬.৭ লক্ষ হেক্টর জমিতে আমরা সেচের জল পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি

সৌজন্যেঃ আজকাল