সাম্প্রতিক খবর

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯

রাজ্য সরকারের প্রকল্পের হাত ধরে বালুচরি সিল্কের প্রত্যাবর্তন

রাজ্য সরকারের প্রকল্পের হাত ধরে বালুচরি সিল্কের প্রত্যাবর্তন

বাংলার ঐতিহ্যশালী শাড়িগুলির মধ্যে একটি হল বালুচরি সিল্ক। এই শাড়ির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল রঙিন ডাই করা সিল্ক এবং শাড়ির আঁচলে নকশা করা পৌরানিক আখ্যান। এই বালুচরি সিল্কের উৎপত্তি যদিও মুর্শিদাবাদ জেলার বালুচরে, এখন বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরও এই শাড়ি তৈরীর জন্য বিখ্যাত।

বিষ্ণুপুরের ডিজাইন, তাঁত, বোনার পদ্ধতি এবং যে সুতো ব্যবহার করা হয় তা এই শাড়ির ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে যদিও সময়ের সঙ্গে ডিজাইনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। কয়েক বছর আগে রাজ্য সরকারের বালুচরি প্রকল্পের সূচনার ফলে সারা রাজ্যে এই কাপড়ের বিক্রী বেড়েছে হুহু করে।

বালুচরি প্রকল্পটি ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট হ্যান্ডলুম উইভার্স কর্পোরেশন সোসাইটি (তন্তুজ) এবং ডিরেক্টরেট অফ টেক্সটাইলের যৌথ উদ্যোগ। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য এই প্রজন্মের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নতুন এবং পুরনো ডিজাইন একসঙ্গে এক কাপড়ে আনা। এর ফলে বেড়েছে বিক্রী।

তন্তুজ কাঁচামাল সংগ্রহ করে সমবায় সমিতি ও শিল্পীদের ১২টি উৎপাদন কেন্দ্র এবং দুটি প্রশিক্ষণ তথা উৎপাদন কেন্দ্র থেকে।

দেশজুড়ে তন্তুজ-র ৮৩টি বিপণন কেন্দ্র আছে। ২০১৭ সালে পার্ক স্ত্রীটে একটি বিপণন কেন্দ্র খোলে যেখানকার মূল বৈশিষ্ট্য হল । বালুচরি সিল্ক কেন্দ্রিক একটি শোরুম খোলে। এই কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই বার্ষিক লেনদেনের অঙ্ক কোটি পার টাকা করেছে।

ফাইল ফটো