সাম্প্রতিক খবর

ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৯

কৃষিবান্ধব রাজ্য সরকারের একগুচ্ছ উপহার

কৃষিবান্ধব রাজ্য সরকারের একগুচ্ছ উপহার

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও তাঁর নির্দেশে রাজ্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কৃষক বান্ধব প্রকল্পের ফলে রাজ্যের কৃষকদের গড় আয় গত সাত বছরে বেড়েছে তিনগুণেরও বেশী। এই অভূতপূর্ব সাফল্যের মূল কারণের মধ্যে যে প্রকল্পগুলি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, সেগুলি দেখে নেওয়া যাকঃ

• রাজ্য সরকার কৃষিজমির খাজনা সম্পূর্ণ মুকুব করেছে।

• রাজ্য সরকার কৃষিজমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে মিউটেশন ফি মুকুব করে দিয়েছে। পাশাপাশি সব মিউটেশন এখন অনলাইনে হয়। ফলে বিএলআরও অফিসে গিয়ে মানুষকে আর হয়রান হতে হয় না।

• শস্য নষ্ট হলে রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণ দেয় – ৩০ লক্ষ পরিবারকে ১২০০ কোটি টাকা সাহায্য দেওয়া হয়েছে।

• বাংলা ফসল বীমা যোজনা’র পুরো প্রিমিয়াম দেয় রাজ্য সরকার (বাণিজ্যিক ফসল বাদে)।

• ধানের যথাযথ মূল্যের নিশ্চয়তা- নিজে ধান দিন, নিজে চেক নিন।

কৃষক বন্ধু:

কৃষকদের জীবনের গ্যারান্টি তাদের জমি, তাদের ভবিষ্যৎ জীবনকে সুরক্ষিত করার জন্য বাংলার সরকার অ্যাসিওরেন্স মডেল তৈরী করছে। ১৮ বছর থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত যদি কোনও কোনও কৃষক বা খেত মজুর মারা যান, সে স্বাভাবিক মৃত্যু হোক বা দুর্ঘটনায় মৃত্যু হোক, তাঁর পরিবার যাতে অসহায় না হয়ে যায়, সেজন্য আমাদের সরকার সেই কৃষক পরিবারকে দু লক্ষ টাকা করে দেবে। রাজ্যে প্রায় ৭২ লক্ষ কৃষক ও খেত মজুর পরিবার আছে। এই প্রকল্পের নাম কৃষক বন্ধু। ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন জানানো যাবে। রাজ্য সরকার কৃষক দপ্তর থেকে এই টাকা দেবে। কৃষকদের জীবনের একটা গ্যারান্টি দেওয়া হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।

অন্য প্রকল্পটি হল, প্রতি বছর রাজ্য সরকার যে কোনও একটা চাষের জন্য দু ক্ষেপে একর পিছু পাঁচ হাজার টাকা করে দেবে। এ রাজ্যে ছোট জমির পরিমাণ বেশী। জমি ছোট হলে, একরের অনুপাতে টাকা পাবে। এই প্রকল্পের টাকা জানুয়ারি থেকেই হিসেব শুরু হবে, ফেব্রুয়ারি থেকে আবেদন করতে পারবে। এই প্রকল্পেও সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।