সাম্প্রতিক খবর

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯

নিউটাউনের আদলে বসিরহাটে হচ্ছে মিষ্টি হাব

মিষ্টির নাম শুনলেই ভোজন রসিকদের জিভে জল আসে। আর তা যদি নলেন গুড়ের পাক দেওয়া বসিরহাটের কাঁচাগোল্লা হয়, তাহলে তো কথাই নেই। এই মিষ্টির প্রচার ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে নিউটাউনের আদলে বসিরহাটের রঘুনাথপুরে আধুনিক মানের ‘মিষ্টি হাব’ তৈরী হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করবে রাজ্যের অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ ও বস্ত্র দপ্তর। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বসিরহাট এলাকায় মিষ্টি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় দেড় হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।

কাঁচাগোল্লা অনেক শহরেই তৈরী হয়। তবে, বসিরহাট মহকুমার ভেবিয়ার কাঁচাগোল্লা তার স্বাদের কারণেই বাড়তি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। শুধু এ রাজ্য নয়, সারা দেশেই এই মিষ্টি সমাদৃত। এমনকী, দেশের গণ্ডী ছাড়িয়ে বিদেশেও পাড়ি দিয়েছে ভেবিয়ার এই মিষ্টি। এখানকার অন্যান্য মিষ্টির স্বাদও যে কোনও শহরকে টেক্কা দিতে পারে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বছর খানেক আগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা শিল্প কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বসিরহাটে একটি মিষ্টি হাব তৈরীর জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়। কোথায় মিষ্টি হাব তৈরী করা হবে, সেই জন্য এলাকা চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়। বসিরহাট ২নং ব্লকের রঘুনাথপুরে কৃষকবাজার তৈরী হয়েছে। তার পাশে অনেকটা সরকারি জমি রয়েছে। সেই জমিতেই এই মিষ্টি হাব তৈরী হবে।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নিউটাউনে আধুনিক মানের একটি ঝাঁ চকচকে মিষ্টি হাব তৈরী করেছে রাজ্য সরকার। তাই মিষ্টি হাব আসলে কী, সেখানে কীভাবে মিষ্টি বিক্রী হয়, কীভাবে উৎপাদন হয়, ক্রেতাদের কীভাবে বসিয়ে আপ্যায়ন করা হয় ইত্যাদি বিষয়গুলি সরেজমিনে দেখানোর জন্য বসিরহাট এলাকার মিষ্টি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী ও কারিগরদের নিউটাউনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গত ১১ জানুয়ারি বারাসতে যাত্রা উৎসবের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এই মিষ্টি হাবের পাশেই ছানা ও পনির তৈরীর একটি ইউনিট থাকবে। যে কোনও খাবারজাত দ্রব্যের গুণগত মান এবং প্যাকেজিং নিখুঁতভাবে করতে হয়। এখানে উন্নতমানের প্যাকেজিং ব্যবস্থা রাখা হবে। সরকারিভাবে একটি কো-অপারেটিভ করে এই হাব পরিচালনা করা হবে। এখন এই কো-অপারেটিভ গঠন করা হচ্ছে।