সাম্প্রতিক খবর

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯

ফেরি পরিষেবায় এবার চালু হল স্মার্ট কার্ড

ফেরি পরিষেবায় এবার চালু হল স্মার্ট কার্ড

পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম অত্যাধুনিক স্মার্ট গেট বসাল তিনটি জেটিতে। চালু হল ম্যাগনেটিক টোকেনও। হাওড়া, ফেয়ারলি প্লেস এবং মিলেনিয়াম পার্ক বা শিপিং জেটিতে এই নয়া ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এই পুরো প্রকল্পে খরচ হয়েছে ২.৭৪ কোটি টাকা।

এই রুটেই আছে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের ফেরি সার্ভিস। এই নতুন ব্যবস্থার অভিনবত্ব হল স্মার্ট গেটের মাথায় থাকবে ‘হেড কাউন্টিং ক্যামেরা’। যার সাহায্যে গেট পেরোনো মনুষের হিসেব রাখা যাবে। প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অটোম্যাটিক ফেয়ার ক্যালেকশন অ্যান্ড প্যাসেঞ্জার কন্ট্রোল সিস্টেম’। পরিবহণ মন্ত্রী মিলেনিয়াম পার্কে সূচনা করেন এই নয়া ব্যবস্থার। উপস্থিত ছিলেন নিগমের চেয়ারম্যানও।

পরিবহণ মন্ত্রী জানান, সরকারি বাসে চালু হওয়া স্মার্ট কার্ড মেট্রোর মতো ওই স্মার্ট গেটে ব্যবহার করা যাবে। পথ দিশা অ্যাপেও খবর মিলবে কোন জেটি থেকে ঠিক কখন লঞ্চ মিলবে। লঞ্চের গেটে হেড কাউন্ট ব্যবস্থার পাশাপাশি সিসিটিভিও থাকবে। এর ফলে পরিবহণ দপ্তরের টিকিট বাবদ লোকসানও কমবে।

ফেরিঘাটে এ জন্য স্মার্ট কার্ড রিচার্জ কাউন্টার খোলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম ইতিমধ্যে শহরজুড়ে ১৫টি স্মার্ট কার্ড বিক্রীর কাউন্টার খুলেছে। চহিদা মতো তার সংখ্যা বাড়ানো হবে। তিনটি ঘাটে ১০ হাজার কুপন স্ক্যানিং মেসিন এবং আটটি স্মার্ট কার্ড মেশিন বসানো হয়েছে।

স্মার্ট কার্ডের দাম হবে ২০০ টাকা। রাস্তা তৈরীর জন্য ৫০ টাকা করে নেওয়া হবে এখান থেকে। স্মার্ট কার্ড গুলি রাজ্য সরকারের বাসেও ব্যবহার করা যাবে। আগামী দিনে এই কার্ড যাতে মেট্রোতেও ব্যবহার করা যায়, তারও চেষ্টা করছে পরিবহণ দপ্তর।

এই তিন জেটি দিয়ে প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে প্রায় কুড়ি হাজার যাত্রী চলাচল করে। প্রকল্পটি রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে সরকারি সংস্থা ‘ওয়েবেল’। নয়া ব্যবস্থায় খরচ হয়েছে ২ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা। এই ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য এক বছরের জন্য ওয়েবেল দশ কর্মীকে নিযুক্ত করেছে। ওই সংস্থা আগামী দু’বছর বিনা খরচে এই প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ করবে।

পরিবহণ দপ্তর আরেকটি উদ্যোগ নিয়েছে; রাজ্য সরকারের বাসের ক্ষেত্রে মোবাইল থেকে অগ্রীম টিকিট কেনা যাবে। এর ফলে ভিড় বাসে কাউকে টিকিট কাটতে সমস্যায় পড়তে হবে না।

সৌজন্যেঃ এই সময়