সাম্প্রতিক খবর

অগাস্ট ৩১, ২০১৮

রাজ্যের সব দুষ্প্রাপ্য বই-এর অত্যাধুনিক গ্রন্থাগার পঞ্জি

রাজ্যের সব দুষ্প্রাপ্য বই-এর অত্যাধুনিক গ্রন্থাগার পঞ্জি

‘অন্ধজনে দেহ আলো’- দেশজুড়ে চরম অন্ধকারাচ্ছান্ন সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতিতে প্রকৃত শিক্ষাই একমাত্র ‘আলোর’ দরজা খুলে দিতে পারে। রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলিতে আলোর উৎস যে বিপুল বয়-এর সম্ভার আছে, তাকেই এবার একত্রিত করার উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য।

বাংলায় সরকারী, সরকারী অনুমোদনপ্রাপ্ত সকল গ্রন্থাগারগুলিতে সব বই একত্রিত করে সামগ্রিক একটা ‘গ্রন্থপঞ্জি’ তৈরি করছে গ্রন্থাগার দপ্তর। একটি ডিজিটাল সংস্করণও করার কথা চিন্তা করে হয়েছে।

গ্রন্থাগার দপ্তরের মন্ত্রী জানালেন, “ আপনার কোনও একটি পছন্দের বই, ধরুন ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ আপনার পড়তে ইচ্ছে হল, এই উদ্যোগের ফলে আপনি সহজেই জেনে যাবেন আপনার নিকটে কোন গ্রন্থাগারে এই বইটি আপনি পাবেন। অর্থাৎ যে বিশাল সংখ্যক বইয়ের সম্ভার গ্রন্থাগারগুলিতে রয়েছে, তা সহজেই আপনার কাছে চলে আসবে।এমন অসংখ্য বই বাংলার গ্রন্থাগারগুলিতে আছে যা আক্ষরিক অর্থেই গবেষণার কাজে লাগানো যাবে।”

প্রসঙ্গত, রাজ্যে এই মুহূর্তে ২৪৮০টি পাবলিক লাইব্রেরি আছে, যার মধ্যে সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত বিভিন্ন স্তরের লাইব্রেরিতে দুষ্প্রাপ্য প্রচুর বই রয়েছে। গ্রন্থাগারগুলির মধ্যে ৩৪৪ টি তৈরি হয়েছিল স্বাধীনতার আগে। বাংলাই উন্নয়নের সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই দুষ্প্রাপ্য সব বই এবং গ্রন্থাগারগুলির সঠিক তত্বাবধানের জন্য ‘স্টেট লাইব্রেরি কাউন্সিল’ তীক্ষ্ণ নজর রেখেছে। জেলাস্তরেও কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের নজরদারিতেই গ্রন্থাগারগুলির মানোন্নয়ন হয়েছে।

ছবির সৌজন্যে ব্রিটিশ কাউন্সিল