অগাস্ট ২১, ২০১৮
ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বস্ত্র শিল্প দপ্তরের কিছু সাম্প্রতিক সাফল্য

গত সাত বছরে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বস্ত্র শিল্প দপ্তর নানা সাফল্য অর্জন করেছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসারে হয়েছেন উদ্যোগী। এর ফলে পুনরুজ্জীবিত হয়েছে বাংলার মৃতপ্রায় বস্ত্র ও হস্তশিল্প। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত শিল্পীদের আয় বেড়েছে, জীবনধরায় এসেছে উন্নয়ন।
ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বস্ত্র শিল্প দপ্তরের কিছু সাম্প্রতিক সাফল্য তুলে ধরা হলঃ
‘জয়ী’ ফুটবল
রাজ্যের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প দপ্তরের ‘উদ্বাস্তু হস্তশিল্প বিভাগ’ গ্রামাঞ্চলের মহিলাদের দিয়ে ফুটবল তৈরী করিয়ে ইতিমধ্যেই নজির গড়েছে। গ্রামীণ মহিলাদের ফুটবল তৈরী করতে দেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ। এর ফলে রাজ্যে ফুটবল তৈরীর শিল্পও পেয়েছে নতুন জীবন।
মুখ্যমন্ত্রী এই ফুটবলের নাম রেখেছেন ‘জয়ী’। ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প দপ্তর এখন এই ফুটবল বিপণনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি করে কেন্দ্র থাকবে যেখানে এই ফুটবল পাওয়া যাবে। পাশাপাশি, খেলার সরঞ্জাম বিক্রয়কারী কিছু বড় সংস্থার সাথে চুক্তি করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
গত বছর অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার সময় রাজ্যজুড়ে ক্লাব ও স্কুলগুলিতে এই ফুটবল বিতরণ করে রাজ্য সরকার।
ঝাড়গ্রামে মডেল ফার্ম
রাজ্যের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প দপ্তর নবনির্মিত ঝাড়গ্রাম জেলায় তৈরী করতে চলেছে একটি মডেল ফার্ম। এই ফার্মটি তৈরি করা হবে আদিবাসীদের আর্থিকভাবে আরও স্বচ্ছল করে তোলার লক্ষ্যে। ২০ একর জমির ওপর গড়ে উঠবে এই ফার্ম। এখানে উৎপাদন করা হবে ভেটিভার, লেমনগ্রাস ও অন্যান্য তেল। পরিশোধন ব্যবস্থাও থাকবে এখানে।
এই অঞ্চলের প্রায় ৫০,০০০ মানুষ সুগন্ধি শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এই মডেল ফার্মের উদ্যোগের ফলে এলাকায় কর্মসংস্থান বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আদিবাসীরা আর্থিক ভাবেও স্বনির্ভর হবেন।
বারুইপুরে ‘আরোমা গার্ডেন’
রাজ্যের সুগন্ধি শিল্পের বিকাশের উদ্দেশ্যে রাজ্যের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প দপ্তর সুগন্ধি বাগান তৈরী করছে। এই বাগানটি গড়া হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে ৪ একর জমির ওপর।
বিশেষজ্ঞরা সিদ্ধান্ত নেবেন কোন কোন প্রজাতির গাছ এখানে রোপণ করা হবে। এই বাগানের সুগন্ধি গাছগুলি থেকে তেল সংগ্রহ করা হবে, এমনকি গাছের গোড়া থেকেও করা হবে তেল সংগ্রহ। বেশ কিছু রোগ নিরাময়ে আরোমা থেরাপি ও বিউটি ট্রিটমেন্টের ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বারুইপুরে ল্যাভেন্ডার, রোসমেরী ও লেমন গ্রাস গাছ রোপণ করা হচ্ছে।