সাম্প্রতিক খবর

সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮

রাজ্যের শিশুদের মুখে হাঁসি ফোটাচ্ছে শিশু সাথী

রাজ্যের শিশুদের মুখে হাঁসি ফোটাচ্ছে শিশু সাথী

একটা সময় ছিল যখন গরিব পরিবারের শিশুদের – যাদের জন্মগত হৃদরোগ আছে – অস্ত্রোপচার ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। ধারদেনা করেই চিকিৎসা করতে হাত এই সব পরিবারকে। সেই দিন আজ অতীত। সৌজন্যে, শিশু সাথী প্রকল্প।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্প শুরু হয় ২০১৩ সালের ২১শে আগস্ট। এই প্রকল্পের মুল উদ্দেশ্য, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে যে সব শিশুর হৃদপিণ্ডে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন তাদেরকে বিনামুল্যে অস্ত্রোপচার করা। বাংলায় শিশু স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ণ পদক্ষেপ অনুসারে রাজ্য সরকার তিনটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং সরকারী হাসপাতালগুলিতে প্রতিবছর ৩০০০ শিশুকে বিনামুল্যে হৃদপিণ্ডে অস্ত্রোপচার করবে।

রাজ্য সরকার সরকার চালিত বিদ্যালয়গুলিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে প্রয়োজনে শিশুর হৃদপিণ্ডে অস্ত্রোপচারের ব্যয় করবে।

এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার যে তিনটি বেসরকারি হাসপাতালের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সেগুলি হল—বি এম বিড়লা হার্ট রিসার্চ সেন্টার, রবীন্দ্রনাথ টেগোর ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সেস এবং দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতাল। পাশাপাশি সরকার পরিচালিত শেঠ সুখলাল কারনানী মেমোরিয়াল হাসপাতাল, বিধান চন্দ্র রায় মেমোরিয়াল হাসপাতাল ফর চিলড্রেন এবং আর, জি, কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অতি শীঘ্রই কঞ্জেনিটাল ক্যাটারাক্ট এবং ক্লেফ্ট লিপ্স ও প্যালেটস অস্ত্রোপচারও ‘শিশু সাথি’প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।

এই প্রকল্পটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হৃদয়ের কাছাকাছি।