জুলাই ৮, ২০১৯
পুরুলিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে 'সিড বল', সৃষ্টি হবে প্রাকৃতিক জঙ্গল

বৃষ্টির সময় বৃষ্টি হবে। ঝরো ঝরো ধারায় টানা বৃষ্টি। মাঠ-ঘাট উপচে পড়বে। মাছের ভূখণ্ড ভেঙে পড়বে, কৃষিজমি রোয়া ভূমি পানিতে সয়লাব হবে- এই হলো আবহমান ভারত-বাংলাদেশে বৃষ্টির সাধারণ রূপ।
কিন্তু এই আষাঢ়েও অনাবৃষ্টি ভারতের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে। সেখানে প্রকৃতির নিজের খেয়ালেই জঙ্গল সৃষ্টি করতে চায় দেশটির বনবিভাগ। এ উদ্দেশ্যে পাহাড় কোলের রুখা ভূমিতে ছড়ানো হচ্ছে ‘সিড বল’। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে তৈরি এই ‘সিড বল’ খেলার ছলেই পতিত জমিতে ছড়িয়ে দেবে শিক্ষার্থীরা।
চলতি বর্ষা মৌসুমে বন বিভাগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে পুরুলিয়া বনবিভাগের অধীনস্থ কোটশিলা বনাঞ্চল। এরইমধ্যে কোটশিলা বনাঞ্চল তাদের দুটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী দিয়ে প্রায় ৪০ হাজার ‘সিড বল’ তৈরি করেছে। পশ্চিমাঞ্চলে এটি প্রথম। তাছাড়া বৃক্ষরোপণ করে সবুজায়নের এই পদক্ষেপে জঙ্গলমহলের নারীদের রোজগারের পথ দেখাচ্ছে বন বিভাগ।
এই ‘সিড বল’ ঠিক কি?
সাধারণ মাটির সঙ্গে চারকোলের গুঁড়ো মিশিয়ে ছোট-ছোট মাটির দলায় তিনটি বীজ রেখে তৈরি করা হবে এই বল। এই বলই পতিত জমিতে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। তারপর সেই মাটির দলা জমিতে মিশে এক একটি গাছ নিয়ে তৈরি হবে জঙ্গল। বৃক্ষজগতের এই বিষয়কে বি়জ্ঞানের ভাষায় বলে ‘অ্যাসোসিয়েটেড সাকশেসন’। তবে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে বর্ষার মৌসুমে সামাজিক বন সৃষ্টির কোনও মিল নেই।
কোটশিলা বন বিভাগ পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই কাজ করছে। তবে এখানকার তৈরি ‘সিড বল’ অযোধ্যা বনাঞ্চলেও ছড়ানো হবে।’ এক-একটি ‘সিড ব্যাগ’-এ ৫০০টি করে ‘সিড বল’ তৈরি করে রাখছে পার্বতী ও বিপত্তারিনী মহিলা সমিতি নামে স্বনির্ভর দল। ব্যাগ প্রতি আয়ও ৫০০ টাকা। সোনাঝুরি, নিম, তেঁতুল, বেল, খেজুর, করম, জাম বীজ রাখা হচ্ছে এই ‘সিড বল’-এ।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন