সাম্প্রতিক খবর

অগাস্ট ২৪, ২০১৮

সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ' একদিন বিশ্বের মডেল হবে: 'জয় হে' অনুষ্ঠানে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ' একদিন বিশ্বের মডেল হবে: 'জয় হে' অনুষ্ঠানে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

আজ ‘জয় হে’ অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে রাজ্য পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন যে পুলিশের কোনো ছুটি নেই, উৎসব নেই, কিন্তু পরিবার আছে আর ওদের পরিবাররাই ওদের ২৪ ঘন্টা দেশের সেবা, মানুষের সেবা করার জন্য ছেড়ে দিয়েছে।

তিনি পুলিশের বিভিন্ন কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ একদিন বিশ্বের মডেল হবে। তিনি সবাইকে আহ্বান জানান পথ নিরাপত্তা সম্বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশ:

  • ২০১১ সাল থেকে আমরা এই জয় হে অনুষ্ঠান শুরু করেছিলাম। আগামী দিনে এই অনুষ্ঠান আরো অনেক পথ চলবে এটাই আমাদের আশা ও প্রত্যাশা।
  • পুলিশের কোনো ছুটি নেই, উৎসব নেই, কিন্তু পরিবার আছে আর ওদের পরিবাররাই ওদের ২৪ ঘন্টা দেশের সেবা, মানুষের সেবা করার জন্য ছেড়ে দিয়েছে। ওরা ক্ষুদ্র নয়, ওরা বড় সংসারে পাঠিয়েছে কাজ করতে। মানুষই পুলিশের সবচেয়ে সংসার।
  • দোল খেলা, ইদের নমাজে, পুজোর উৎসবেও পুলিশকে চাই। বিয়ে বাড়িতে, রাস্তায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলেও ছুটে যাওয়া কাজ, পাহাড়ে কোনও বিপর্যয় ঘটলেও ছুটে যাওয়া পুলিশের কাজ। অর্থাৎ সবেতেই তারা আছেন। তাদের ছাড়া আমাদের এক সেকেন্ডও চলে না।
  • তারা তাদের কাজটা করে স্বেচ্ছায় ও নিষ্ঠা সহকারে, আর এই কাজটা করতে ওদের সাহায্য করে ওদের পরিবার পরিজন। কিন্তু তাদের জন্য আমরা কিছুই করতে পারি না, তাই পুলিশ পরিবারদের জন্য এই অনুষ্ঠান শুরু করেছিলাম।
  • একটু এদিক ওদিক হলে আমরা অনেক সমালোচনা করে ফেলি, ৩৬৫ দিনে ৩৬৫টি কাজের মধ্যে হয়তো কিছু ভুল ভ্রান্তি হয়েই যায়। কাজ যে করে, সেই ভুল করে, কিন্তু আমরা সেটা মনে রাখিনা। অথচ কেউ ভাবিনা, যখন প্রখর রোদে, প্রচণ্ড বর্ষায় যখন আমরা কেউ ঘর থেকে বেরোতে চাইনা তখনও ট্রাফিক পুলিশকে তার কাজ করে যেতে হয়। কারণ তারা মানুষের পাহারাদার। পুলিশকে দেখলে আমরা আশ্বস্ত হই, তাদের আমরা ভরসা করি।
  • তাদের সবসময় চোখ কান খোলা রেখে কাজ করতে হয়। তারা এখন অনেক কাজ করছেন। পুলিশের কাজ শুধু প্রশিক্ষণ দেওয়া, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা বা ট্রাফিক সামলানো নয়, তারা এখন কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম করছে। পাড়ার ক্লাবদের নিয়ে ফুটবল প্রতিযোগিতা, পুজোতে সাহায্য করা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন, রক্তদান কর্মসূচী সবই করছে।
  • গরমকালে রক্তের টান পড়ে, সেই সময় রক্তের জোগান দেয় পুলিশকর্মীরা। ছাত্র-যুবদের মত পুলিশরাও আগ্রহের সঙ্গে রক্ত দান করে। এসব কাজের প্রচার হয় না।
  • আগামীদিন সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফও কন্যাশ্রীর মত বিশ্বশ্রী হবে। আমার বাড়িতে এক পরিবার এসেছিল, তারা বলেছে তারা সারা বিশ্বে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ প্রচার করবে। এক সাংবাদিক বন্ধু বলেছেন, বাংলার সঙ্গে সঙ্গে সিকিমেও এখন ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের’ প্রচার হচ্ছে। What Bengal thinks today, India thinks tomorrow আজ বাস্তব।
  • ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফে’ দুর্ঘটনা কমেছে। পুলিশের পাশাপাশি বাচ্চাদের দিয়েও’ সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের’ প্রচার করাচ্ছি; বাচ্চাদের কথা মানুষ বেশী মনে রাখে। অকালে যাতে জীবনগুলো না ঝরে যায়, সেই কাজটা আসুন সবাই মিলে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের’ মাধ্যমে করি। একটা স্লোগান যদি ইতিমধ্যেই এক হাজার প্রাণ বাঁচিয়ে থাকতে পারে, আপনারা সাধারণ মানুষ যদি এটার প্রচার করেন, আমি মনে করি আরও অনেক অমুল্য প্রাণ আমরা বাঁচাতে পারি।
  • পুলিশের কাজ প্রাণ বাঁচানো, প্রাণ কেড়ে নেওয়া নয়। আমি আজকের এই শুভ অনুষ্ঠানে সকল পুলিশ পরিবারকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। এছাড়াও সেই সকল মানুষকে অভিনন্দন জানাচ্ছি যারা না থাকলে এই ‘জয় হে’ অনুষ্ঠান সফল হত না।