সাম্প্রতিক খবর

অগাস্ট ৩১, ২০১৮

সাত বছরে বাংলার গণবন্টন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার

সাত বছরে বাংলার গণবন্টন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার

রাজ্যের মানুষের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে, গত সাত বছরে বাংলার গণবন্টন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করেছে রাজ্য খাদ্য দপ্তর। গণবন্টন বলতে সাধারণত বোঝানো হয় গণবণ্টন কেন্দ্র এবং ন্যায্য মূল্যের দোকান (রেশন দোকান নামেই যার পরিচিতি বেশি)।

গণবন্টন ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার

গত সাত বছরে রাজ্যের গণবন্টন ব্যবস্থার সংস্কার করতে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলার সরকার। একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হল গণবন্টন ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার।

সেরকমই কিছু পদক্ষেপ হল:

  • গণবন্টন ব্যবস্থার সমস্ত অংশীদারদের ইলেক্ট্রনিক ডাটাব্যাংক তৈরী করা
  • রেশন দোকান স্তৃ পর্যন্ত খাদ্যশস্যের অনলাইন বরাদ্দকরণ
  • ডিস্ত্রিবিউটার থেকে ডিলারদের প্রতিষ্ঠান খাদ্যশস্যের ‘ডোরস্টেপ ডেলিভারি’
  • রেশন দোকানে মজুত খাদ্যশস্যের তথ্য গ্রাহকদের এসএমএস মারফত জানানো

 

গণবন্টন ব্যবস্থায় প্রযুক্তির অন্যান্য ব্যবহার

  • পুরোপুরি অনলাইন সাপ্লাই চেন ব্যবস্থাপনা
  • কল-সেন্টার নির্ভর অভিযোগ কেন্দ্র
  • ২১,০০০ রেশন ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর, ৩১,০০০ কেরোসিন তেল ডিলার ও এজেন্ট এবং অন্যান্য পেট্রোপণ্যের ১০,০০০ লাইসেন্সিদের অনলাইনে লাইসেন্স নবীকরণ
  • ২০১৫ সালের ৩১শে জানুয়ারি অনুযায়ী ৮.৫৯ কোটি রেশন কার্ডের তথ্যের ডিজিটাইজেশনের কাজ এবং খাদ্যশস্য বণ্টনের জন্য অনলাইন সাপ্লাই চেন ব্যবস্থাপনার কাজ সম্পন্ন হয়েছে

 

গণবণ্টন ব্যবস্থার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি

গণবণ্টন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্তির জন্য জন সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে দপ্তর। রেডিও, ডিসপ্লে ব্যানার, মাইকে প্রচার, স্থানীয় শিল্পীদের মাধ্যমে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভার ওয়ার্ডে প্রচার করে জনমানসে এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিয়মিত প্রচার করা হয়। মাসিক ‘সংবাদনামা’ প্রকাশ করা হয় দপ্তর থেকে। ২০১৬ সাল থেকে ২৭শে জানুয়ারি পালিত হয় ‘খাদ্যসাথী দিবস’ হিসেবে।

 

টোল ফ্রি নম্বরের মাধ্যমে অভিযোগ

মানুষের অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য খোলা হয়েছে কল সেন্টার। সপ্তাহে ৭ দিন ১২ ঘণ্টা খোলা থাকবে এই কলসেন্টার। সাধারণ মানুষ অভিযোগ জানাতে পারেন হেল্পলাইন নম্বরের মাধ্যমে। কোনও জিজ্ঞাস্য থাকলে সেটাও জানাতে পারবেন।

এই হেল্পলাইন নম্বরটি হল ১৮০০৩৪৫৫৫০৫ এবং ১৯৬৭। অভিযোগের নিরসনের জন্য কি পদক্ষেপ নেতা হল, সেটাও অনলাইনে জানা যাবে। সব জেলায় অতিরিক্ত জেলাশাসককে ডিস্ট্রিক্ট গ্রিভান্স রিড্রেসাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।

 

বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে ৩.৬ গুনের বেশী

এইসমস্ত লক্ষ্য পূরণ করার জন্য খাদ্য দপ্তরের বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে ৩.৬ গুনেরও বেশী। ২০১০-১১ সালে দপ্তরের বাজেট ছিল ২,১৯৯ কোটি টাকা যা ২০১৮-১৯ সালে বেড়ে হয়েছে ৮,০৩৭ কোটি টাকা।

তাই, বলা যেতেই পারে, রাজ্যের গণবন্টন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার হয়েছে গত সাত বছরে। এই বন্টন ব্যবস্থার আরও উন্নতিকরণের জন্য কাজ করছে খাদ্য দপ্তর।