ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৯
কৃষি দপ্তরের উল্লেখযোগ্য সাফল্য
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, সহযোগিতায় ও নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার গত সাড়ে ৭ বছরে রাজ্যের কৃষি ও কৃষকদের হাল ফেরাতে প্রচুর পদক্ষেপ নিয়েছে। এর ফলে রাজ্য কৃষিতে দেশের সেরা হয়েছে। দেখে নেওয়া যাক গত সাত বছরে কৃষি দপ্তরের কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্য যার ফলে রাজ্যে কৃষি ও কৃষকদের হাল ফিরেছে।
• রাজ্যে কৃষকদের আয় বেড়েছে তিনগুণেরও বেশী। ২০১১ পর্যন্ত কৃষকদের গড় আয় ছিল ৯১ হাজার টাকা যা ২০১৮ সালে বেড়ে হয়েছে ২.৯লক্ষ টাকা।
• কৃষি জমির খাজনা ও কৃষিজমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে মিউটেশন ফি মুকুব করা হয়েছে। এছাড়া, কৃষিজমির মিউটেশন সম্পূর্ণ অনলাইন করা হয়েছে।
• ৬৯লক্ষ কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে।
• ‘বাংলা ফসল বীমা যোজনা’র মাধ্যমে কৃষকদের শস্য বীমার প্রিমিয়াম রাজ্য সরকার প্রদান করে।
• বার্ধক্য ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি উপভোক্তার সংখ্যা বাড়িয়ে ১ লক্ষ করা হয়েছে।
• রাজ্য কৃষিক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি কর্মন পুরষ্কার পেয়েছে পরপর পাঁচ বছর।
• ২০১০-১১ সালে রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদিত হত ১৪৮.১ লক্ষ মেট্রিক টন, যা ২০১৭-১৮ সালে বেড়ে হয়েছে ১৭৯.৯ লক্ষ মেট্রিক টন।
• ২০১০-১১ সালে রাজ্যে ধান উৎপাদিত হত ১৩৩.৯ লক্ষ মেট্রিক টন, যা ২০১৭-১৮ সালে বেড়ে হয়েছে ১৫৮.৯ লক্ষ মেট্রিক টন।
• ২০১০-১১ সালে রাজ্যে ভুট্টা উৎপাদিত হত ৩.৫ লক্ষ মেট্রিক টন, যা ২০১৭-১৮ সালে বেড়ে হয়েছে ১৩.৩ লক্ষ মেট্রিক টন।
• ২০১০-১১ সালে রাজ্যে ডাল উৎপাদিত হত ১.৭৭ লক্ষ মেট্রিক টন, যা ২০১৭-১৮ সালে বেড়ে হয়েছে ৪.৪ লক্ষ মেট্রিক টন।
• ২০১০-১১ সালে রাজ্যে তৈলবীজ উৎপাদিত হত ৭ লক্ষ মেট্রিক টন, যা ২০১৭-১৮ সালে বেড়ে হয়েছে ১০.৫ লক্ষ মেট্রিক টন।
• জাতীয় দুর্যোগের ফলে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ৫৮.৫১ লক্ষ কৃষককে কৃষি ইনপুটে ২৩৭২.৫৬ কোটি টাকার ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে।
• ট্র্যাক্টর, পাওয়ার টিলার, পাম্প সেট ও অন্যান্য কৃষি সামগ্রী ৩.৭ লক্ষ কৃষককে বিতরণ করা হয়েছে।
• ট্যাবলেট কম্পিউটার এবং একটি পোর্টালের মাধ্যমে মাটির কথা প্রকল্প শুরু করা হয়েছে কৃষি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে।
• ৫৩.৪৬ লক্ষ সয়েল হেলথ কার্ড বিতরণ করা হয়েছে এবং সঙ্গে বিভিন্ন ফসলের উৎপাদনের ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।