অগাস্ট ৩, ২০১৮
আমাদের প্রতিবাদ আটকানো যাবে না: কলকাতায় ফিরে জানালেন তৃণমূল প্রতিনিধি দল

আমাদের সাংসদরা শিলচরে গেছিলেন সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে। সব ডকুমেন্ট থাকা সত্ত্বেও কি করে এতগুলো মানুষের নাম এনআরসি থেকে বাদ পড়ে গেল, সেটা স্টাডি করার জন্য। সেই স্টাডি করার তারা সংসদে সাজেশন দিতে পারতেন যে এই ডকুমেন্ট থাকা সত্ত্বেও কেন এনআরসি থেকে নাম বাদ গেল, কেন এই ডকুমেন্টগুলো গ্রহণযোগ্য হল না, কিংবা তাদের আধিকারিকরা যদি কোনও ভুল করে থাকে। সরকার একটা সুযোগ পেত ভুল সংশোধন করার।
বিমানবন্দরে যা হল সেটা অগণতান্ত্রিক। একটা গণতান্ত্রিক দেশে এটা কখনোই হতে পারে না যে মানুষের সাথে সাংসদদের দেখা করতে দেওয়া হবে না। ভারতবর্ষ সবার। এখানকার মানুষ দেশের যে কোনও প্রান্তে যেতে পারেন। অগণতান্ত্রিক অসমের বিজেপি সরকার এই অধিকার হরণ করেছে। একজন সাংসদ কিংবা একজন মন্ত্রী যদি না যেতে পারে, তাহলে আপনারা বিশ্বাস করতে পারেন যে যাদের নাম আজ কেটে গেল – যারা প্রান্তিক চাষী, যাদের বাড়িতে বন্যার জল ঢুকে গিয়ে এক-দু’মাস বাড়ির বাইরে থাকতে হয়, যারা ঠিকমত কথা বলতে পারে না, যারা পঞ্চাশ বছর থাকার পরও নাম কেটে দেওয়া হচ্ছে, একশো বছর, দুশো বছর থাকার পরও যাদের পরিবারের নাম কেটে দেওয়া হচ্ছে, যা দেখে এলাম আমরা – তাদের প্রপার হিয়ারিং দেওয়া হবে?
বাংলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পীঠস্থান। অসম ঠিক তার উল্টো। সাম্প্রদায়িক উস্কানির জন্য এনআরসি করা হয়েছে। প্রায় এক লক্ষ সংখ্যালঘু নেপালিদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বিহারীদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। শুধু বাঙালি নয়, বিহারী, নেপালি, উড়িয়া, সকলেই বিপন্ন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
এই সংসদীয় দলকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঠিয়েছিলেন ওখানে কি ভুল হচ্ছে সেটা সরকারকে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য। এটা মানুষকে বঞ্চিত করা হল। তাই, এই সরকারকে ধিক্কার জানাই। আমাদের দল মানুষের পাশে আছে, এবং আগামী দিনেও থাকবে। এর বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমাদের লড়াই চলবে। এর প্রতিবাদ নিশ্চিতভাবে হবে। বিমানবন্দরে আটকে দিয়ে আমাদের প্রতিবাদ আটকানো যাবে না।
– দমদম বিমানবন্দরে ফিরহাদ হাকিমের বিবৃতি