অগাস্ট ১৯, ২০১৮
গ্রিন সিটি - নিউ টাউন

গ্রিন সিটির মর্যাদা পেল নিউ টাউন। সবুজায়ন ঘটিয়ে দূষণ কমানো ও পরিবেশবান্ধব হওয়ার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে জনজীবনে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ও জরুরি পরিষেবা প্রদানের জন্য নিউ টাউনকে এই সম্মান জানাল ইন্ডিয়ান গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (আইজিবিসি)।
২০১৬ সাল থেকেই এই সম্মান পাওয়ার জন্য হিডকোর তরফে কাজ শুরু করা হয়। গ্রিন সিটি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে যে ক’টি বিষয় দেখা হয়, সেগুলি হল—
১. শিল্প–বাণিজ্যের উন্নতিতে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বর্জ্য কমিয়ে কীভাবে দূষণ কমানো হচ্ছে। সেইসঙ্গে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সম্পদের সঠিক বণ্টন এবং তার দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার ঠিকঠাক করা হচ্ছে কি না।
২. জমি কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
৩. স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নতিতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে।
৪. বর্তমান প্রজন্মের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নতির বিষয়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ।
৫. বিভিন্ন শক্তি, জল, এবং পরিকাঠামোর দিকগুলির সঠিক ব্যবহার।
৬. তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতি।
৭. জনজীবনের প্রয়োজনে বিভিন্ন বিষয়ের উদ্ভাবন। যেমন ইতিমধ্যেই ইকো পার্কে বসেছে পানীয় জলের তিনটি এটিএম কাউন্টার। অল্প মূল্যে যেখান থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করা যায়।
গাছ লাগানোর পাশাপাশি হিডকো এবং বনদপ্তরের যৌথ প্রয়াসে নিউ টাউনে তৈরী হয়েছে গাছের নার্সারি। রাস্তায় লাগানো হয়েছে বাঁশের রেলিং। তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জোর দেওয়া হয়েছে ‘সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’–এ। নিউ টাউনের বিভিন্ন রাস্তার আলোগুলি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জালানো এবং নেভানো হয়। সম্পত্তি কর, বিল্ডিং প্ল্যান, সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে অন লাইন বা ই–গভর্নেন্স চালু হয়েছে। দূষণ কমিয়ে নাগরিকদের তিনটি ই–বাস চালু হয়েছে।
এছাড়া, শহরের উত্তাপ কমাতে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শও দিয়েছে আইজিবিসি। এ জন্য ছাদে শাকসবজি চাষের পরামর্শও দিয়েছে তারা। সরকারি দপ্তরগুলিতে ঢুকতে যাতে প্রতিবন্ধীদের কোনও সমস্যা না হয়, তা দেখতেও পরামর্শ দিয়েছে তারা।
সৌজন্যে: আজকাল