অগাস্ট ৮, ২০১৮
বোরোলির জোগান বাড়াতে হ্যাচারি গড়ছে মৎস্য দপ্তর

ইলিশের পরেই উত্তরবঙ্গের প্রিয় মাছের নাম বোরোলি। তোর্সা, তিস্তা, দু’টি নদীতেই মাছটি মেলে। স্বাদে ও বাহারে উত্তরবঙ্গের প্রাণের মাছ। ইদানীং দক্ষিণবঙ্গেও খুব প্রিয়। উত্তরবঙ্গ বেড়াতে এসে সকলেই চেষ্টা করেন অন্তত একদিন দুপুরের মেনুতে বোরোলি মাছ রাখতে। পর্যটকদের এই আগ্রহ দেখে তিস্তা নদী লাগোয়া গজলডোবায় বোরোলির নামে রেস্তোরাঁ পর্যন্ত তৈরী হয়েছে। ইদানীং মাছটি খুব বেশি পাওয়া যায় না। মৎস্য দপ্তরের দৌলতে বোরোলি নিয়ে সেই দুঃখ এ বার ঘুচতে চলেছে। মাছটির এ বার চাষ হবে পুকুরে। সেজন্য কোচবিহারের তুফানগঞ্জ-১ নম্বর ব্লকে তৈরী করা হচ্ছে বোরেলির পোনা তৈরীর পুকুর।
মৎস্যচাষিরা সেখান থেকে বোরোলির চারা কিনে নিজেদের পুকুরে বড় করে বাজারে নিয়ে যাবেন। চাষিদের সরবরাহ করার পরে উদ্বৃত্ত হলে সেই চারাপোনা তিস্তা এবং তোর্সা নদীতে ছাড়বে মৎস্য দপ্তর। উত্তরবঙ্গে মৎস্য দপ্তরের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর বলেন, ‘পুকুরেই বোরোলি চাষের কৌশল বের করা গিয়েছে। গত বছর পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করা হয়েছে। ভালো সাড়া মিলেছে। সেই কারণেই তুফানগঞ্জে বোরোলির হ্যাচারি তৈরী করা হচ্ছে।’
গত কয়েক বছর ধরেই আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে মৎস্য দপ্তর বাংলার নদী ও পুকুর থেকে হারিয়ে যাওয়া মাছ ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছে। ঘাটতি ছিল কেবল বোরোলি নিয়ে। বোরোলির প্রতি মৎস্যপ্রিয় বাঙালির আগ্রহ দেখে গত বছর মৎস্য দপ্তর কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার কয়েকটি পুকুরে পরীক্ষামূলক চাষ করে ছিল।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর বলেন, ‘নদীর মাছ পুকুরে কেমন হবে, তা নিয়ে আমাদেরও সংশয় ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল তেমন ফারাক কিন্তু নেই। তার পরই তুফানগঞ্জে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা খরচ করে হ্যাচারি তৈরি করা হচ্ছে।’