ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৯
নরেন্দ্র মোদী দুর্নীতির মাস্টার: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আজ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিউটাউনের ইকো পার্কে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাফেল মাস্টার, নোটবন্দির মাস্টার, দুর্নীতির মাস্টার, ঔদ্ধত্যর মাস্টার, দাঙ্গার ফলে ওনার উত্থান।
সাংবাদিক বৈঠকের কিছু অংশ:
সাংবাদিকঃ প্রধানমন্ত্রীর দাবি জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ বিজেপির উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে
দিদি: প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কথা বলতে আমার লজ্জা করে আজকাল, ধিক্কার দিতে ইচ্ছে হয়। শূন্য কলসির আওয়াজ বেশি।
এই সার্কিট বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের, এখানে হাই কোর্টের কেউ উপস্থিত ছিলেন? না ওরা রাজ্য সরকারকে কিছু জানিয়েছে না কলকাতা হাইকোর্টকে।
একটা পয়সাও খরচ করেনি কেন্দ্র। এখানে রাজ্য সরকার ৩০০ কোটি টাকা খরচ করেছে, জমিও পরিকাঠামো রাজ্য সরকারের। রাজ্য সরকার হাইকোর্টের সঙ্গে কথা বলে এই কাজ শেষ করেছে।
৪ মাস আগে এটি উদ্বোধনের তারিখ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। তাঁর ও আমার উপস্থিতিতে এটি করার কথা ছিল। নোটিফিকেশন বাকি ছিল কিন্তু ওরা সেটা দেয়নি।
আজ এমন কি ঘটল? রাজ্য সরকার নেই, হাইকোর্টের কেউ নেই অর্থ্যাৎ বরও নেই কনেও নেই শুধু নির্বাচনী ব্যান্ড পার্টি ভাড়া করে আনা হয়েছে ড্রাম বাজানোর জন্য। এর থেকে বড় লজ্জা আর কি হতে পারে। উনি লোক দেখানো কাজ করে গেলেন। গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল, নির্বাচনের আগে রাজনীতি করতে আসে।
২০১৬ র বিধানসভা নির্বাচনে আগে এসে ওনার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলে গিয়েছিলেন ৭টা চা বাগান খুলে দেবে, দিয়েছে? আমি ভুল হলে ক্ষমা চাইব আর ওনার দল ভুল হলে ওনার মন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে।
২০১৪ র নির্বাচনে আগে বলেছিলেন ১৫ লক্ষ টাকা দেবে, আজ পর্যন্ত দিয়েছেন?
চা বাগানের শ্রমিকদের পেনশনের ব্যাপারে মিথ্যে কথা বলে গেছেন। তাদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা যোজনা রয়েছে, সেখানে অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য রাজ্য ৩০ টাকা দেয় আর কেন্দ্র ২৫ টাকা। আমরা ওদের ২ লক্ষ টাকা দিই, মাসে ১৫০০ টাকা করে পেনশন।
প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন নতুন কিছু নয়, পুরোনো প্রকল্প রয়েছে। ২০ বছর চা বাগানের শ্রমিকদের ২৫ টাকা করে দিতে হবে. উনি মিথ্যে কথা বলেছেন, আমাদের লজ্জা করে কথা বলতে। উনি হাফ কথা বলেন, হাফ বলেন না।
নির্বাচনের আগে উনি চা-ওয়ালা, আর নির্বাচনের পর রাফেল ওয়ালা, সবাই ওনাকে এখন রাফেল বাবু বলে ডাকছেন। মিস্টার রাফেল, ম্যাডি বাবু কেমন আছেন?
আমরা জমি দিয়েছি কলকাতা হাইকোর্টকে, কেন কোন বিচারক উপস্থিত ছিলেন না? আমি সুপ্রিম কোর্টকে চিঠি লিখবো।
সাংবাদিক: প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে উত্তরবঙ্গের উনয়নের জন্যে রাজ্য সরকার কিছু করেনি?
দিদি: হয় উনি চোখে দেখেন না, বা উনি কানে শোনেন না। উত্তরবঙ্গে আমাদের সরকারের আমলে নতুন সচিবালয় হয়েছে, আলিপুরদুয়ার ও কালিম্পং নতুন জেলা হয়েছে, বেঙ্গল সাফারি পার্ক হয়েছে, ভোরের আল প্রকল্প হয়েছে। উত্তরবঙ্গ ঢেলে সেজেছে। আজ উত্তরবঙ্গের আরেক নাম উন্নয়ন। উনি কি কিছু করেছেন? যে রাস্তার খোলার জন্যে উনি এসেছিলেন তার জন্যে ৫০-টা মিটিং আমি করেছি। কাজ শুরু হয়ে গেছে দেড়-বছর আগে আজ এলেন খোলার জন্যে।
সাংবাদিক- আপনার ধর্ণায় কি ভয় পেয়ে গেছেন উনি?
দিদি: আমার সত্যাগ্রহ কোনও রাজনৈতিক ব্যাপার ছিল না। উনি ভয় পেয়েছেন বলে ভয় দেখাতে চাইছেন। ভারত এখন একজোট হয়ে গেছে। আমরা সংবিধান রক্ষা করার কাজে রত হয়েছি। ২৩টা রাজনৈতিক দল এক হয়েছে এবং আমাদের একমাত্র কর্মসূচি হল –‘মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও’, এবং তাতে ওড়া ভয় পেয়ে গেছে। পুরো যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙ্গে দিয়েছে। নির্বাচনের আগে চা-ওয়ালা, এখন হয়েছে রাফেল-ওয়ালা।
সাংবাদিক: প্রধানমন্ত্রী মহাজোটকে মহাভেজাল বলেছেন
দিদি: একটা কথা আছে, ‘চোরের মায়ের বড় গলা’, ‘শুণ্য কলসি বেশি বাজে’, আর মোদীবাবুর মত দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ দেশে কখোনও জন্মায়নি। উনি যেদিন যাবেন, রাফেল থেকে পেটিএম থেকে জনধন সব সামনে আসবে। আর বি আই থেকে সি বি আই, সবাই বলেছে বাই বাই। কারণ দেশের সব প্রতিষ্ঠান-গুলি ছারখার হয়ে গেছে।
সাংবাদিক: জগাই-মাধাই দূর হবে বলে বলেছে
দিদি: জগাই-মাধাই বিদায় ছিল আমার শ্লোগান। তার মানে আমার শ্লোগান-টাও টুকলি করছে?তা বিদায় তো ওনার নাম- ওটা কেন বলেননি? ওনার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবার বিদায় দেব ওনাকে। এবার এমনভাবে পরাস্ত হবে যে কোনওদিন আর ফিরে তাকাতে পারবে না। এমঙ্কী গুজারাটে গেলেও জিতবেন না। সাধারণ মানুষ এতটাই ক্ষিপ্ত যে উনি আর ফিরবেন না। মানুষ ওনার ওপরে বিরক্ত।
সাংবাদিক: আপনার সরকারকে কম্যুনিস্ট সরকার পার্ট-টু বলেছে
দিদি: উনি সুবিধাবাদী বলে এরকম বলেছেন।কম্যুনিস্টরা তো ওনার সাথে এখানে সাথ দেয়। কোনও কম্যুনিস্ট নেতার বিরুদ্ধে কিছু করেছেন আজ পর্যন্ত? আমায় একটা কোনও নিদর্শন দেখান। তাই ওনার এই নিয়ে কিছু বলার নেই। এখনও অনেক পঞ্চায়েতে একসাথে ওড়া আছে। সুতরাং ওনার কাছ থেকে আমি রাজনীতির জ্ঞান শুনব না।
সাংবাদিক: বলেছেন যে চা বাগানের সাথে দিদির এত শত্রুতা কিসের?
দিদি: তাই? তাহলে জিজ্ঞেস করুন যে ডানকান সংস্থার সাত-টি চা বাগান এখনও কেন খোলেননি? আমরা চা শ্রমিকদের ৩৫ কেজি চাল দিই, বিনা খরচে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিই, উনি শুধু ভোটের আগে নাটক করতে এসেছেন।
মনে রাখবেন রাজ্য আর কেন্দ্রীয় সরকার আলাদা এবং তাদের কিছু নিজস্ব বিচার ব্যবস্থা আছে। কেন্দ্রীয় সরকার দেশের অর্থ দেখবে, সুরক্ষা দেখবে, বৈদেশিক নীতি দেখবে আর স্বাস্থ্য, শিক্ষ্যা, খাদ্য এগুলি রাজ্য দেখে। আর উনি যদি বলেন উনি দিচ্ছেন তা হলে কোথা থেকে দিচ্ছেন আর এস এস-র থেকে না রাফেলের থেকে? আমাদের প্রাপ্য টাকাই তো উনি দিচ্ছেন না। কয়েক হাজার কোটি টাকা আমাদের দেয় নি।
আমরা অনেক কষ্ট করে চালাই। আর একটা কথা বলি দিদিকে চমকানো এত সহজ নয়। মানুষ তৃনমূল কংগ্রেসের পাশে থাকবে। ত্রিপুরায় টাকা দিয়ে যা করেছে তা বাংলায় সম্ভব নয়। এখন তো আসাম থেকে বাঙালি হিন্দুদের-ও তাড়িয়ে দিচ্ছে। হিন্দু-মুসলমান সবাইকে তাড়াচ্ছে। আমি অনেক আন্দোলন করে এসেছি। আমার সাথে পাঙ্গা নিলে আমি চাঙ্গা হই।
আমি অনেক বছর সাংসদ ছিলাম, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম, আমি অনেক কিছু জানি। আরে উনি গোধরায় দাঙ্গা করে আজ ক্ষমতায় এসেছেন। উনি ভারতবর্ষ চেনেন না।
সাংবাদিক: উনি বলেছেন যে আপনি ধর্ণায় বসেছিলেন অভিযুক্তদের বাঁচানোর জন্য?
দিদি: উনি রাফেলের মাস্টার। উনি নোটবন্দীর মাস্টার, দুর্নীতির মাস্টার। ওনার এত অহংকার কিসের। আমরা প্রধানমন্ত্রীর পদটাকে সম্মান করি কিন্তু ‘ম্যাডি’ বাবুকে না। উনি শুধু মিথ্যে বলেন। উনি দেশের পক্ষে লজ্জার।
সাংবাদিক: ২০২২ সালের মধ্যে দেশে কোনও কাঁচা থাকবে না?
দিদি: উনি অনেক কথা বলেন। তার প্রায় পুরোটাই মিথ্যে, ওনাকে কারুর বিশ্বাস করার দরকার নেই।বাজেটে যা বলেছেন পুরোটাই লোক দেখানো। নতুন সরকার আসবে এবং নতুন বাজেট পেশ করবে। ওদের তো ভোট-অন-আক্যান্ট পেশ করার কথা ছিল।
সাংবাদিক: উনি বলেছেন যে নারদা কেস-এ ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
দিদি: যেগুলো সাব-জুডিস বিষয় তা নিয়ে উনি কেন কথা বললেন? বিচারব্যবস্থা কে সম্মান করতে শিখুন, এরকম বলা মানে তো তাদের ছোট করা। পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাটাও গুজব। পুলিশ রাজ্যের এক্তিয়ারে থাকে। ওরা পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না। এটাও ডাহা মিথ্যে কথা।
সাংবাদিক: ওরা বলছে যে পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে
দিদি: এটা মিথ্যে খবর, ওরা হোয়াটস্যাপে ছড়াচ্ছে আর আপনারাই তা খবর বলে ভেবে নিচ্ছেন।
সাংবাদিক: প্রাক্তন প্রতিরক্ষা অধিকর্তা-র একটা নোট সামনে এসেছে রাফেল নিয়ে
দিদি: প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সব কিছুতেই মাথা গলাচ্ছে। কোনও মন্ত্রীদের কাজ করতে দেয় না। শুধুমাত্র ভাষণ দেওয়ার জন্যে মন্ত্রীদের রাখা। আমাদের রাজ্য সরকারের কাজে লক্ষ রাখার জন্যেও একজন অধিকর্তা রেখেছিল।
আমাদের ফসলবীমা-র প্রকল্প আমাদের রাজ্যের চাষীদের জন্যে আমরা সবটা পয়সা দিচ্ছি, কিন্তু ওরা চিঠি দিয়ে বলছে ওদের টাকা। আমরা আয়ুষ্মান ভারত থেকে বেড়িয়ে এসেছি, কিন্তু ওরা কার্ড পাঠাচ্ছে। এগুলো চলতে পারে না।
সাংবাদিক: রাফেল নিয়ে তৃণমূলের মতামত কি?
দিদি: রাফেলে কিছু তো হয়েছে। রাফেল এক বড় দুর্নীতি। আমরা কংগ্রেসকে সমর্থন করছি কারণ ওদের কাছে বিশদ প্রমাণ আছে।
সাংবাদিক: প্রধানমন্ত্রী বলছেন দুর্নীতিগ্রস্তদের বাঁচাতে আপনি ধর্না করেছেন
দিদি: আমরা ধর্না করি নি, আমরা গান্ধীজীর অনুকরণে সত্যাগ্রহ করেছি।
আমরা যেহেতু এখানে ২৩টি অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি র্যালির আয়োজন করেছি, তাই, বিজেপি খুব ভীত। কেন্দ্রীয় সংস্থার কিছু আধিকারিককে ডেকে বলা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু, যেই সামনে ভোট আসছে, তারা আমাদের রাজনৈতিক কণ্ঠরোধ করতে চাইছে।
চিটফান্ড আছে ১৯৮০ থেকে। তারা তখন থেকে তদন্ত চায়নি কেন? আমরা ২০১১ তে ক্ষমতায় এসে একটিও চিটফান্ড খুলতে দিইনি। আমরাই সংস্থার মালিককে গ্রেপ্তার করাই। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিয়েছি। আমাদের সরকার সিট গঠন করে, বিচার কমিশন তৈরী করে। আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করি। আমরা ৩০০ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছি। সিবিআইয়ের হাতে তদন্ত যাওয়ার পর, তারা আর কোনও টাকা আমানতকারীদের ফেরত দেয়নি। কিন্তু, পাঁচ বছর কিছু না করে এখন তদন্ত শুরু করেছে।
প্রতি বছর নির্বাচনের আগে এই করে জেতা যায়? সাহারার লাল ডায়েরি কোথায়? আমরা জানতে চাই। ওনারা ইতিমধ্যেই সমস্তও জমি, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, কিন্তু, গরীব মানুষের কোনও টাকা ফেরত দেয়নি। আসামের উপ মুখ্যমন্ত্রী তিন কোটি টাকা নিয়েছে। সে বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?
আপনার কি মনে হয় দেশের সব মানুষ চোর আর উনি একা সাধু? উনি সবথেকে বড় চোর, ওনাকে দেখে লজ্জা হয়। ওনার মুখে লিউকোপ্লাস্টার লাগানো উচিৎ। প্রধানমন্ত্রীর কি ভাষা ব্যবহার করা উচিত, সে সম্বন্ধে ওনার কোনও ধারনাই নেই। হাওয়ালায় জড়িতদের সঙ্গে নিয়ে উনি সভা করছেন।
যেখানকার যত দুর্নীতিগ্রস্ত লোক আছেন, সকলে বিজেপিতে গেছেন। ওদের দলে গেলেই আর কোনও এজেন্সি ওদের বিরক্ত করে না। সমস্ত দলের নেতাদের বলে, তুমি আমাদের দলে এস, নয়ত, আয়কর দপ্তর ধরবে, সিবিআই ধরবে, কারোকে বলে এনআইএ ধরবে। খুব বাজে সময় চলছে।
সাংবাদিক: আপনি দাবি করেছেন দেশের অনেক উদ্যোগপতি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন
দিদি: বিজেপির স্বৈরাচারের জন্য দেশের ৮০ হাজার মানুষ বিদেশে যেতে বাধ্য হয়েছেন। শিল্পপতিরা এতে আশাহত। আমরা ক্ষমতায় এলে সকলকে ফেরত আনব। মিডিয়াকে, শিল্পপতিদের ভয় দেখানো হয় যাতে তারা সরকারের বিরুদ্ধে কিছু না বলতে পারে। স্বাধীনতার পর মিডিয়া যতটা স্বাধীনভাবে কাজ করত, এখন করতে পারে? বিজেপি পার্টি অফিস থেকে ফোন করে ভয় দেখাণ হয় বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার নাম করে।
সাংবাদিক: সিঙ্গুরে জমি ফেরত
দিদি: সিঙ্গুরে সমস্ত জমি ফেরত দেওয়া হয়ে গেছে। প্রতি মাসে ২ হাজার করে টাকা পায়। জমি ফেরত দেওয়ার সময় ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছিল চাষ করার জন্য। এছাড়া, ২ টাকা কিলো চাল পায়।