অগাস্ট ৩১, ২০১৮
সাত বছরে উন্নত হয়েছে রাজ্যের সাধারণ গ্রন্থাগারগুলির পরিকাঠামো

আজ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। গত সাত বছরে উন্নত হয়েছে রাজ্যের সাধারণ পাঠাগারগুলির পরিকাঠামো।
রাজ্য গ্রন্থাগার দপ্তর সারা বাংলার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই দপ্তর একগুচ্ছ প্রকল্প এবং উদ্যোগ নিয়েছে।
উল্লেখযোগ্য সাফল্যঃ
- ২০১৩ সালে প্রথমবার সাধারণ গ্রন্থাগার দিবস পালন করা হয়।
- রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য গ্রন্থাগারগুলির মাধ্যমে প্রচার করা হয়।
- রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারে মহিলাদের জন্য চালু হয়েছে ‘উইমেন্স কর্নার’। বিশেষত, সমাজের প্রান্তিক স্তরের মানুষ ও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় মেয়েদের জন্য এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
- পাহাড়ের তপশিলি জাতি, উপজাতি, অনগ্রসর শ্রেণী ও সংখ্যালঘুদের জন্য গ্রন্থাগার পরিকাঠামোয় উন্নয়ন করা হয়েছে। জঙ্গলমহলের ১২৫টি গ্রন্থাগারের জন্য ৩ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ে অবস্থিত ১৩৫টিরও বেশি গ্রন্থাগারের ভবন নির্মাণের জন্য ৫ কোটি টাকারও বেশি অনুদান দেওয়া হয়েছে। তপশিলি জাতি ও উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের গ্রন্থাগারগুলির জন্য ১৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
- সাতটি সরকারি গ্রন্থাগারে স্টাডি সেন্টার খোলা হয়েছে যেখানে নেতাজী সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যবই এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার বই পাওয়া যায়।
- বিভিন্ন গ্রন্থাগারে কেরিয়ার গাইডেন্স কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে।
- ‘Read Your Own Book’ বা ‘নিজের বই পড়’ নামে একটি বিশেষ উদ্যোগ চালু করা হয়েছে। যেসব বইপ্রেমীদের বাড়িতে পড়ার জায়গার অসুবিধা, তারা গ্রন্থাগারে এসে নিজেদের বই পড়তে পারেন।
- বেশ কিছু জেলা, শহর, মহকুমা স্তরের গ্রন্থাগারে ‘তথ্য কেন্দ্র’ খোলা হয়েছে।
- গ্রন্থাগারগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য স্বল্প মেয়াদি, মধ্য মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা তৈরীর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
- পাঠকদের সুবিধার জন্য ৪০০টিরও বেশী গ্রন্থাগারকে ইন্টারনেট পরিষেবাযুক্ত কম্পিউটার প্রদান করা হয়েছে।
- সরকারি অনুদান প্রাপ্ত গ্রন্থাগারের কর্মীদের বেতন প্রতি মাসের এক তারিখে সরকারি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দেওয়া হয়।