সাম্প্রতিক খবর

ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯

বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

আজ পঞ্চম বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশ:

বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন আমাদের রাজ্যের ইতিহাসে একটি মাইলস্টোন। এখানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নক্ষত্ররা এসেছেন। আমরা এই নিয়ে গর্বিত।

আমাদের সহযোগী দেশগুলি- অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, চেক রিপাবলিক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, পোল্যান্ড, কোরিয়া রিপাবলিক, লুক্সেম্বার্গ এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী- আপনাদের উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রেরণা ও সাহস যোগায়। আমরা আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

বাংলা আজ ব্যবসা বোঝে। বাংলার সম্বন্ধে উপলব্ধি আজ পালটে গেছে।

আমরা দীর্ঘ ৩৪ বছর কুশাসন সহ্য করেছি। ওই সময়ে বছরে প্রায় ৭৫ লক্ষ শ্রম দিবস নষ্ট হত। এখন একটিও শ্রম দিবস নষ্ট হয় না।

আমাদের কর্মদক্ষতা নিজেই নিজের কথা বলে। আমাদের পরিচয় আমাদের কাজে।

আমাদের কাছে প্রতিভাধর গবেষকরা আছেন, দক্ষ শ্রমিকরা আছেন।

আমাদের কাছে পর্যাপ্ত জমি আছে ও তার অবস্থানের ম্যাপ আছে। আমাদের নির্দিষ্ট আই টি নীতি আছে, বস্ত্র-সম্পর্কিত নীতি আছে এবং ক্ষুদ্র শিল্পের নীতি আছে, শ্রম নীতি আছে, চা বাগান নীতি আছে, শিল্প নীতি আছে।

আমরা দেশে ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে, জিএসডিপি বৃদ্ধির হারে, দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে, ই-গভর্ন্যান্সে, গ্রামীণ কর্মসংস্থানে, গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে এবং গ্রামীণ গৃহ নির্মাণে, জিভিএ বৃদ্ধির হারে প্রথম স্থানে।

এটা প্রমানিত যে আমরা ৩% অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করতে পেরেছি যেখানে দেশের ক্ষেত্রে তা ১৭.৯% ঘাটতি থেকে গেছে।

শিল্প ক্ষেত্রে বৃদ্ধি দেশের সার্বিক বৃদ্ধির তুলনায় ১৯৪% বেশি

পরিষেবা খাতে বৃদ্ধি দেশের সার্বিক বৃদ্ধির তুলনায় ২৬% বেশি

কৃষি খাতে বৃদ্ধি দেশের সার্বিক বৃদ্ধির তুলনায় ২৪৭ গুণ বেশি

কৃষকদের যায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

রাজ্যের রাজস্ব আদায় দ্বিগুণ হয়েছে।

বাংলায় বেকারত্বের হার হ্রাস পেয়েছে ৪০% যখন দেশে বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে ২ কোটি।

রাজ্যের মূলধনী ব্যয় ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ গুণ।

রাজ্যের পরিকল্পনা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ গুণ

কৃষি ও সংশ্লিষ্ট কৃষি খাতে বৃদ্ধি বেড়েছে ৭ গুণ

পরিকাঠামো খাতে বৃদ্ধি বেড়েছে ৪ গুণ

বাংলা প্রমাণিত করেছে, বাংলা মানে এগিয়ে যাওয়া। বাংলা এও প্রমাণ করেছে, ব্যবসায়ী, কৃষক, বেকার যুবক-যুবতীদের গন্তব্য বাংলা।

বাংলায় বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য দেখা যায়। সমস্ত জাতি ধর্ম বর্ণের মানুষ এখানে মিলেমিশে শান্তিতে বাস করেন। কোনও ভেদাভেদ করা হয়না।

বাংলার ভৌগলিক অবস্থান অনুকূল। বাংলা উত্তর পূর্বের আটটি রাজ্যের প্রবেশপথ। বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানের সঙ্গে সীমানা আছে। এখান থেকে আড়াই ঘণ্টায় সিঙ্গাপুর যাওয়া যায়। ব্যাংকক থাইল্যান্ড যাওয়া যায় মাত্র তিন ঘণ্টায়। মালয়েশিয়া যাওয়া যায় তিন-চার ঘণ্টায়, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিরও খুব কাছে এই রাজ্য। বাংলায় বিনিয়োগ করলে আপনারা পূর্ব ভারত, উত্তর পূর্ব ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, মালয়েশিয়াতেও সহজে যেতে পারবেন।

বাংলার জনসংখ্যা ১০ কোটি। তাতেও মানব সম্পদে বাংলা সবার সেরা।

আমরা ৩০০টিরও বেশী আইটিআই এবং পলিটেকনিক কলেজ তৈরী করেছি। আমরা সেখানে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এখানে দক্ষ যুব, দক্ষ শ্রমিক পাওয়া যায়।

বিশ্বের সব জায়গায় বাঙালীরা কর্মরত। বাঙালীদের সমতুল্য প্রতিভা আর কোনও জাতির নেই। এটাই আমাদের গর্বের মানব সম্পদ।

সাত বছরের আগে সারাক্ষন বিদ্যুতের যোগান পাওয়া স্বপ্নাতীত ছিল। কিন্তু, এখন তা বাস্তব। কোনও লোডশেডিং হয়না।

সড়ক এবং রেলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সবথেকে উন্নত।

সারা ভারতে একমাত্র আমাদের গ্রীন ফিল্ড বিমানবন্দর আছে।

জলপথের দিক থেকেও আমরা দেশের সেরা।

মাছের চারা উৎপাদনে শীর্ষে। সব থেকে বড় চা নিলাম কেন্দ্র এই রাজ্যে। সব্জী উৎপাদনের দেশে এক নম্বর।

গত সাত বছরে আমরা ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। ৪২টি মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল করেছি।

আমরা যখন ক্ষমতায় আসি, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার ছিল ৬৫ শতাংশ, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৯৮ শতাংশ।

রাজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষকে ২টাকা কিলো চাল দিই। সরকারি হাসপাতালে আমরা সকলকে বিনামূল্যে পরিষেবা দিই।

৬০ লক্ষ স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে কন্যাশ্রী প্রকল্পে আনা হয়েছে। জনপরিষেবা ক্ষেত্রে রাষ্ট্রসংঘের প্রথম পুরষ্কার পেয়েছে এই প্রকল্প। এর ফলে বাল্য বিবাহ বন্ধ হয়েছে, তারা নিজেদের পায়ে দাঁড়াচ্ছে।

আমাদের রাজ্যে পঞ্চায়েতে মহিলা জন্য ৫০% আসন সংরক্ষিত। আমাদের সাংসদদের মধ্যে ৩৪% মহিলা অথচ দেশের মানুষ এখনও চেয়ে যাচ্ছেন যাতে ৩৩% সংসদের আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।

বিজিবিএস আমাদের রাজ্যের ইতিxহাসে একটি মাইলস্টোন। এখানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নক্ষত্ররা এসেছেন।

আমাদের সহযোগী দেশগুলি- অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, চেক রিপাবলিক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, পোল্যান্ড, কোরিয়া রিপাবলিক এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী- আপনাদের উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রেরণা ও সাহস যোগায়। আমরা আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

বাংলা আজ ব্যবসা বোঝে। বাংলার সম্বন্ধে উপলব্ধি আজ পালটে গেছে।

আমরা দীর্ঘ ৩৪ বছর কুশাসন সহ্য করেছি। ওই সময়ে বছরে প্রায় ৭৫ লক্ষ শ্রম দিবস নষ্ট হত। এখন একটিও শ্রম দিবস নষ্ট হয় না।

আমাদের কর্মদক্ষতা নিজেই নিজের কথা বলে। আমাদের পরিচয় আমাদের কাজে।

আমাদের কাছে প্রতিভাধর গবেষকরা আছেন, দক্ষ শ্রমিকরা আছেন।

আমাদের কাছে পর্যাপ্ত জমি আছে ও তার অবস্থানের ম্যাপ আছে। আমাদের নির্দিষ্ট আই টি নীতি আছে, বস্ত্র-সম্পর্কিত নীতি আছে এবং ক্ষুদ্র শিল্পের নীতি আছে।

আমরা দেশে ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে, দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে, বৃদ্ধির হারে, গ্রামীণ চাকুরীতে, গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে এবং গ্রামীণ গৃহ নির্মাণে প্রথম স্থানে।

আমাদের জিভিএ বৃদ্ধির হার দেশের চেয়ে ৬৫% বেশি।

এটা প্রমানিত যে আমরা ৩% অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করতে পেরেছি যেখানে দেশের ক্ষেত্রে তা ১৭.৯% ঘাটতি থেকে গেছে।

শিল্প ক্ষেত্রে বৃদ্ধি দেশের সার্বিক বৃদ্ধির তুলনায় ১৯৪% বেশি

পরিষেবা খাতে বৃদ্ধি দেশের সার্বিক বৃদ্ধির তুলনায় ২৬% বেশি

কৃষি খাতে বৃদ্ধি দেশের সার্বিক বৃদ্ধির তুলনায় ২৪৭ গুণ বেশি

কৃষকদের যায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্যের রাজস্ব আদায় দ্বিগুণ হয়েছে

বাংলায় বেকারত্বের হার হ্রাস পেয়েছে ৪০% যখন দেশে বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে ২ কোটি

রাজ্যের মূলধনী ব্যয় ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ গুণ

রাজ্যের পরিকল্পনা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ গুণ

কৃষি ও সংশ্লিষ্ট কৃষি খাতে বৃদ্ধি বেড়েছে ৭ গুণ

পরিকাঠামো খাতে বৃদ্ধি বেড়েছে ৪ গুণ

বাংলা মানে এগিয়ে যাওয়া। ব্যবসায়ী, কৃষক, বেকার যুবক-যুবতীদের গন্তব্য বাংলা।

বাংলায় বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য দেখা যায়। সমস্তও জাতি ধর্ম বর্ণের মানুষ এখানে মিলেমিশে শান্তিতে বাস করেন।

বাংলা উত্তর পূর্ব রাজ্যগুলির, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানের প্রবেশপথ। এখান থেকে আধ ঘণ্টায় সিঙ্গাপুর যাওয়া যায়। মালয়েশিয়া যাওয়া যায় তিন ঘণ্টায়, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিরও খুব কাছে এই রাজ্য।

আমরা ৩০০টিরও বেশী আইটিআই এবং পলিটেকনিক কলেজ তৈরী করেছি। আমরা শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি।

বিশ্বের সব জায়গায় বাঙালীরা কর্মরত। বাঙালীদের সমতুল্য প্রতিভা আর কোনও জাতির নেই।

সাত বছরের আগে সারাক্ষন বিদ্যুতের যোগান পাওয়া স্বপ্নাতীয় ছিল। কিন্তু, এখন তা বাস্তব।

গত সাত বছরে আমরা ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। ৪২টি মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল করেছি।

আমরা যখন ক্ষমতায় আসি, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার ছিল ৬৫ শতাংশ, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৯৭ শতাংশ।

রাজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষকে ২টাকা কিলো চাল দিই। সরকারি হাসপাতালে আমরা সকলকে বিনামূল্যে পরিষেবা দিই।

৬০ লক্ষ স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে কন্যাশ্রী প্রকল্পে আনা হয়েছে। জনপরিষেবা ক্ষেত্রে রাষ্ট্রসংঘের প্রথম পুরষ্কার পেয়েছে এই প্রকল্প।

আমাদের রাজ্যে পঞ্চায়েতে মহিলা জন্য ৫০% আসন সংরক্ষিত। আমাদের সাংসদদের মধ্যে ৩৪% মহিলা অথচ দেশের মানুষ এখনও চেয়ে যাচ্ছেন যাতে ৩৪% সংসদের আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।

আমারা রাজ্যে প্রায় ৯০% মানুষকে সরকারী সাহাজ্য প্রদান করেছি। আমরা সবসময় দরিদ্রতম মানুষের পাশে আছি।

আমরা ক্ষমতায় আসার পরে ফ্র্যাঙ্কফুর্ট থেকে এখানে সরাসরি উড়ানের ব্যবস্থা করেছি। আমি জার্মানির বন্ধুদের বলেছি এখানে একটা অটোমোবাইল শিল্প গড়ে তুলতে। মিলান থেকে আসা প্রতিনিধিরা চর্মশিল্পে বিনিয়োগ করছে। পোল্যান্ড শক্তি খাতে বিনিয়োগ করছে।

আমরা গতবারের বিজিবিএসে ১০ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছিলাম যার মধ্যে ৫০% ইতিমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে।

আমরা একটি আর্থিক হাব স্থাপন করেছি যেখানে অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান আমাদের সাথে যোগ দিয়েছে

আমরা সিলিকন ভ্যালীর আদলে একটি আই টি হাব স্থাপন করছি।

আমাদের এখানে পর্যটন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারী ক্ষমতায়নে প্রভুত সম্ভাবনা আছে

শিশু বিবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। মহিলাদের জন্য ৫০% আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে পঞ্চায়েতে। লোকসভাতে আমাদের ৩৩% মহিলা সাংসদ।

সংখ্যালগু সম্প্রদায়কে স্কলারশিপ প্রদান করতে আমরা দেশে এক নম্বরে আছি।
এর আগে ১০লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ব্যাবসায়িক প্রস্তাব এসেছিলো এবং প্রায় ৫০% এরও বেশি এই ব্যাপারে কাজ এগিয়ে গেছে।

সিলিকোন ভ্যালির ধাঁচে আমরা এখানে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

বাংলা সবসময় সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী, বাংলা রবীন্দ্রনাথ,স্বামী বিবেকানন্দ,নেতাজি, নজরুল ইসলাম ও শ্রী রামকৃষ্ণের।

বাংলার উন্নতি হোক। সারা দেশের উন্নতি হোক। সব রাজ্যের উন্নতি হোক।