সাম্প্রতিক খবর

সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৮

মুখ্যমন্ত্রী দিচ্ছেন কন্যাশ্রী, সিপিএম দিচ্ছে বন্দুকশ্রী: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

মুখ্যমন্ত্রী দিচ্ছেন কন্যাশ্রী, সিপিএম দিচ্ছে বন্দুকশ্রী: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে অশান্ত হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা। এলাকায় শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে শান্তি মিছিল করা হয় তৃণমূলের পক্ষে। আজ সেখানে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেকের বক্তব্যের বিশেষ কিছু অংশঃ

আমরা আজকে কথা দিয়ে যাচ্ছি, আমরা গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করতে আসিনি। যেখানে মানুষ আমাদের রায় দিয়েছে, মানুষের রায়কে আমরা স্বাগত জানিয়েছি।

সারা বাংলায় তারা বড় বড় কথা বলেছিল, আপনারা দেখলেন, ২৩টি জেলা পরিষদে তৃণমূল কংগ্রেস এককভাবে জয়ী হয়েছে। সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি এক হয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারেনি।

সেখান থেকে মুখ থুবড়ে পড়ে সিপিএমের নেতা কর্মীরা বলছে আমডাঙ্গা রক্তাক্ত করে সিপিএমএর হার্মাদদের উজ্জীবিত করতে হবে।
আগে ছিল মার্ক্সবাদ, তারপর হল হার্মাদ, মাঝে হল উন্মাদ, এখন হয়েছে জল্লাদ। আগামী দিন আমরা এদের করব বরবাদ।

আমডাঙ্গার বুক সিপিএমএর হার্মাদ ও বিজেপির জল্লাদগুলোকে গণতান্ত্রিক ভাবে সরিয়ে দিয়ে, আমডাঙ্গাকে শান্ত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল করব।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বদলা নয় বদল চাইয়ের রাজনীতি করেন। নয়তো ৩৪ বছর যা পাপ করেছে ওরা, বাকি জীবনটা জেলে কাটাতে হত।

সিপিএমএর এত দুরবস্থা, মানুষের সঙ্গে মাঠে ঘাটে রাজনীতি করতে এরা শেখেনি ও শিখবেনা।

আজ থেকে আমডাঙ্গার দায়িত্ব আমি নিজে নিচ্ছি। কিকরে রাজনীতির লড়াই করতে হয়, আমার জানা আছে।

মুখ্যমন্ত্রী দিচ্ছেন কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, সবুজশ্রী, রুপশ্রী আর সিপিএম দিচ্ছে বন্দুকশ্রী। যারা গণতান্ত্রিক লড়াই করতে পাড়ে না, সন্ত্রাস করে বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছে।

আমাদের অনুপ্রেরণা ক্ষুদিরাম বসু, প্রাণ থাকতে আমরা এই মাটি অশান্ত হতে দেব না। যারা হম্বিতম্বি করছে, মাঠে কোথায় তারা? একের পর এক বন্দুক, বোমা বাইরে থেকে আমদানি করে আনছে। সমস্তটাই অশান্ত করার পরিকল্পনা, কারণ মানুষের রায় ওদের পক্ষে নেই।

২০১৬-র ভোটে কংগ্রেসের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে, পায়ে পা মিলিয়ে ভোট করেছিলে, কেন্দ্রীয় পুলিশ এসেছিল, নির্বাচন কমিশনের নির্দেষ মত। কিন্তু তারপরও ফল কী হল? জিরো।

এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এই জেলায় মানুষ দু’হাত তুলে তৃণমুল কংগ্রেসকে আশির্বাদ করেছে সর্বক্ষেত্রে, গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ গড়ার ব্যাপারে। কিন্তু ওদের জোর করে যেন তেন প্রকারে আগামী দিন পঞ্চায়েতগুলো রাখতে হবে, কারণ, আগামীদিন আবার সন্ত্রাসকে অক্ষুন্ন রেখে আবার সেই কালো দিনগুলো, রক্তের দিনগুলো ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না।

আমরা ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও, জ্বালিয়ে দাও এর রাজনীতিতে কোনওদিন বিশ্বাস করেনি। আমরা সাজিয়ে দাও, তৈরি করে দাও, এগিয়ে দাও এর রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আর যে বন্দুক, বোমা গুলি দিয়ে ক্ষমতা জয় করে, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস বিশ্বাস করে না।

আমার এই মাইকের শব্দ যতদুর যাচ্ছে, সেখানে যত সিপিএম-এর কর্মীরা আছেন, বিজেপির কর্মীরা আছেন, একবার শুধু ভাবুন, মানুষের সাথে চোখে চোখ রেখে কথা বলার সাহস দেখান। এই মিছিল যে আমরা করেছি, রাস্তার দুভাগে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যে মানুষ যোগ দিয়েছেন, যদি তার ১০% ভালোবাসা আপনারা কোনদিন পান এই বাংলা মায়ের বুকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোনদিন কথা বলবে না।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে বাংলায় শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন, সম্প্রীতি ফিরিয়ে এনেছেন, বিপুল উন্নয়ন করে চলেছেন এবং নানা পরিষেবা মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন, কোনও না কোনও ভাবে এই সরকারের দ্বারা রাজ্যের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন, সেটা সিপিএম-এর হার্মাদরা সহ্য করতে পারছে না।

তাই, আমরা এই লড়াইয়ের শেষ দেখে ছাড়ব। শুরু তুমি করেছ কমরেড, শেষ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা করবে।

একথা বলে আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ, সেলাম, কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করব।

জয় হিন্দ, বন্দে মাতরম, তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ।