সাম্প্রতিক খবর

জুলাই ১৪, ২০১৯

বন দপ্তরের কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্য

বন দপ্তরের কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্য

আজ বন মহোৎসব উপলক্ষ্যে দেখে নেওয়া যাক বন দপ্তরের কিছু সাফল্য:

সবুজশ্রী প্রকল্পঃ গাছ সংরক্ষণ ও বন সৃজনকে উৎসাহিত করতে“সবুজশ্রী” প্রকল্প শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পে রাজ্যের প্রতিটি নবজাতককে উন্নত মানের চারা গাছ দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ২৪ লক্ষ প্রসূতি মাকে এই প্রকল্পে চারাগাছ বিতরণ করা হয়েছে।

বনজ সম্পদ বিক্রয়ঃ পশ্চিমবঙ্গ অরণ্য উন্নয়ন সংস্থা বনজ সম্পদের বিক্রয় ই-অকসন-এর মাধ্যমে শুরু করেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ৬৫৭টি e-auction-এর মাধ্যমে ১২৮.৬০ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ১৩.৪৩ লক্ষ খুঁটি এবং ২৩ হাজার ৭৯৪ ঘনমিটার দামি কাঠ ও ৮৭ হাজার ২৫২ ঘনমিটার জ্বালানি কাঠ বিক্রি করা

বনজ সম্পদঃ সুন্দরবন অঞ্চলের মধু সংগ্রহকারিদের থেকে চলতি অর্থবর্ষে ২৮.২৪ মেট্রিক টন অপরিশোধিত মধু সংগ্রহ করা হয়েছে। লাক্ষা চাষে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এতে আর্থিকভাবে প্রায় ৪০০০ পরিবার উপকৃত হবে।

জলতীর্থঃ “জলতীর্থ” প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণবঙ্গের খরাপ্রবণ বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় ৪৩টি প্রকল্পের কাজ ২০১৮’র অক্টোবরেই শেষ হয়েছে । এর ফলে ১ হাজার ৭০০ হেক্টর-এর বেশি জমি কৃষি জমিতে পরিণত করা সম্ভব হয়েছে।

বন সংরক্ষণঃ রাজ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার ৫০৮ হেক্টর জমিকে বন সৃজনের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় এক কোটি চারাগাছ জনসাধারণ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিতরণ করা হয়েছে। এই রাজ্যে JICAর অধীনে ৬০০টি JFMC-র বনাঞ্চল ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ প্রকল্প এবং গোষ্ঠী পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।

কৃষি বন্ধুর জমি সংরক্ষণঃ দি ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট কর্পোরেশন দক্ষিণবঙ্গে ৩০০০০ হেক্টর কৃষি বন্ধুর জমিতে বৃক্ষ রোপণ করা হচ্ছে।

ভেষজ গাছের সংরক্ষণঃ বন দপ্তরের গবেষণা, দেখাশোনা এবং উন্নয়ন বিভাগ ৪৩৫ একর জমিতে ভেষজ গাছ, ঔষধি ঝোপ লাগিয়েছে।

বন্যপ্রাণঃ শিলিগুড়িতে বাঘ এবং চিতাবাঘ সাফারি সমেত বেঙ্গল সাফারি পার্কের প্রথম পর্যায়ের কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট অ্যান্ড বায়োডাইভার্সিটি কঞ্জারভেশন প্রকল্পের অধীনে জীববৈচিত্রের ওপর শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে হাতি, লেপার্ড, বাঘ এবং গৌরের পপুলেশন ডায়নামিক্স এবং হ্যাবিটাট ম্যানেজমেন্টের জন্য।

জিআইএস নির্ভর বন ব্যবস্থাপনাঃ ফরেস্ট ডিরেক্টরেট বৈজ্ঞানিকভাবে জিআইএস পদ্ধতি ব্যবহার করে বনাঞ্চল ব্যবস্থা করে বিভিন্ন বন বিভাগের কর্মসূচী মেনে।