সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৮
সাক্ষরতায় এগিয়ে চলেছে বাংলা

আজ ৫২তম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। সেই উপলক্ষে আজ কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। রাজ্যকে পূর্ণ সাক্ষর করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। রবীন্দ্র সদনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ, মালদা, দুই দিনাজপুর, বীরভূম, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় সাক্ষরতা কর্মসূচি বাস্তবায়িত করা হয়েছে। কেন্দ্র সাক্ষরতার খাতে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে, রাজ্যের উদ্যোগেই কাজ করছে জনশিক্ষা প্রসার বিভাগ।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক রাজ্য সরকারের জনশিক্ষা প্রসার বিভাগের কিছু সাফল্য
প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রী ও সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার হোমের আবাসিকদের জন্য উদ্যোগঃ
সাধারণ ও প্রতিবন্ধী ছাত্রদের জন্য ভারতীয় সাঙ্কেতিক ভাষার ব্যাকরণ এর ই-শিক্ষা প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে।
হোমে থাকার বয়সের ঊর্ধ্বসীমা পরিবর্তন করা হয়েছে, এখন ১৮ বছর বয়স বা উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা পর্যন্ত হোমে থাকা যায়।
জেলাগুলির চাহিদা অনুসারে হোমের আসন সংখ্যা ৬৯৯৫ থেকে বাড়িয়ে ৭৫৮৭ করা হয়েছে।
সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার হোমের আবাসিকদের স্কুল ব্যাগ, জুতো, রেফারেন্স বই দেওয়া শুরু হয়েছে।
অনামি ও অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য এক কালিন আথিক অনুদান প্রদানের প্রকল্প শুরু করা হয়েছে।
২০১৭-১৮ সালে সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার হোমের আবাসিকদের মধ্যে রাজ্যস্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় ।
স্পেশ্যাল স্কুল এবং সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার হোমগুলিকে প্রয়োজনীয় তথ্য সহকারে জিআইএস ম্যাপে প্লট (নথিভুক্ত) করা হয়েছে।
সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার হোমের আবাসিক ও প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের আঁকা গ্রিটিং কার্ড ২০১৭ সালের নববর্ষে রাজ্য সরকার ছাপিয়েছে।
সরকারি অনুদান প্রাপ্ত স্পেশ্যাল স্কুলের দৃষ্টিহীন পড়ুয়াদের জন্য বিনামুল্যে ব্রেইল পাঠ্য পুস্তক প্রদান করে ওয়েবেল মিডিয়াট্রনিক্স লিমিটেড।
সরকারি অনুদান প্রাপ্ত স্পেশ্যাল স্কুলগুলির জন্য উদ্যোগঃ
অনুদান-প্রাপ্ত স্পেশ্যাল স্কুলগুলির পরিচালন ব্যবস্থার সংস্কার করা হয়েছে।
অনুদান-প্রাপ্ত স্পেশ্যাল স্কুলগুলির হোস্টেল ভর্তুকি এবং কন্টিনজেন্সি ছাত্র পিছু প্রতি মাসে যথাক্রমে ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬০০ টাকা ও ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে।
স্কুল শিক্ষা দপ্তরের সহযোগিতায় অনুদান-প্রাপ্ত স্পেশ্যাল স্কুলগুলিতে বিনামূল্যে পাঠ্য পুস্তক ও মিড ডে মিল দেওয়া হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগের ওপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
অনুদান-প্রাপ্ত স্পেশ্যাল স্কুলগুলিতে ও সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার হোমের আবাসিকদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয় স্বাস্থ্য দপ্তরের সহযোগিতায়।
অনুদান-প্রাপ্ত স্পেশ্যাল স্কুলগুলির ছাত্রীদের কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয় নারী ও শিশু কল্যাণ ও সমাজ কল্যান দপ্তরের সহযোগিতায়।
সাক্ষর ভারত প্রোগ্রামঃ
এখন পর্যন্ত এই প্রকল্প নটি জেলায় বাস্তবায়িত করার কাজ চলছে। জেলাগুলি হল: কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিন দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া।
৪৯ লক্ষেরও বেশী নিরক্ষর মানুষকে মৌলিক সাক্ষরতা কোর্সের পাঠ দেওয়া হয়েছে।
সাক্ষর ভারত প্রোগ্রামের অধীনে ২০টি মডেল অ্যাডাল্ট এডুকেশন সেন্টার তৈরী করা হয়েছে।
মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিন দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ জেলায় রাজ্য জনশিক্ষা প্রসার বিভাগের বিভিন্ন কর্মসূচি আরও ভালোভাবে তদারকি করতে মালদায় এই বিভাগের একটি আঞ্চলিক দপ্তর খোলা হয়েছে।