অগাস্ট ১১, ২০১৮
ভূয়ো খবর নিয়ে কলকাতা পুলিশের ছোট ভিডিও

সোশ্যাল মিডিয়াতে ভূয়ো খবরের ভিত্তিতে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে, এমন ঘটনা রয়েছে প্রচুর। তাই, ভয় খবরের বিরুদ্ধে সচেতনতার প্রসারের জন্য কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ছোট ভিডিও বা শর্ট ফিল্ম তৈরী করা হয়েছে। এই ভূয়ো খবরগুলির বিশেষত্ব হলো এগুলো খবরের কাগজের বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অংশ হিসাবে দেখানো হয়। সেগুলো মূলত কোন ছবিকে এডিট করে রুপান্তরিত করা হয় অন্য কোন ছবিতে বা ভিডিওতে। কলকাতা পুলিশের এই শর্টফিল্মের মাধ্যমে এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেছে।
ভিডিওতে দেখানো হয়েছে যে একজন যুবক ও আরেকজন অফিস যাত্রী বাসের জন্য একটি বাসস্টপে অপেক্ষা করছেন। যুবকটি অফিসযাত্রীকে জীজ্ঞাসা করেন এই রুটে কেনো কোনো বাস পাওয়া যাচ্ছে না কেন। অফিসযাত্রী জানালেন যে তিনি নাকি কিছুক্ষণ আগেই তার এক সহকর্মীর থেকে ফোনে জানতে পেরেছেন যে সেই রুটে আর কোন বাস পাওয়া যাবে না কারণ মৌলালি-মল্লিকবাজার ও সংলগ্ন এলাকায় সাম্প্রদায়িক ঝামেলা শুরু হয়েছে। তাকে নাকি অফিসে পায়ে হেটেই পৌঁছতে হবে । এরপর অফিস যাত্রী ওই বাস স্টপ থেকে বেড়িয়ে যান অফিসের উদ্দেশ্যে।
তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই যুবকটির কাছে তার এক বন্ধুর ফোন আসে। ওই যুবকটি ফোনে বলে যে মৌলালি-মল্লিকবাজার এলাকায় সাম্প্রদায়িক ঝামেলা শুরু হওয়ার কারণে বাস পেতে সমস্যা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুটি ফোনে ওই যুবকটিকে বলেন তাহলে তো সোশ্যাল মিডিয়াতে একটা উপডেট দিতেই হয়।
এবার যুবকটি এই খবরটির সত্যতা যাচাই করবে ঠিক করে। উনি পথচলতি মানুষদের কাছে বিষয়টির সত্যতা জানতে চাইলেন। কিন্তু উনি জানতে পারলেন যে ওখানে এরকম ধরনের কোনও সাম্প্রদায়িক সমস্যা তৈরিই হয়নি। যুবকটি বুঝতে পারে সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ভুল খবর ছড়ালে বিরাট সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এরপর তার যে অনুশোচনা হয় তা ফুটিয়ে তোলা হয় ভিডিওতে । এই শিক্ষাটাই জনসাধারনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়াশ কলকাতা পুলিশের।
ভিডিওটির শেষ ১ মিনিট ৮ সেকন্ডের মধ্যে একটি বার্তা ভেসে ওঠে, “এই ধরনের পোস্টের সত্যতা যাচাই না করে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন না। ইহা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
উল্লেখযোগ্য, কলকাতা পুলিসের পক্ষ থেকে প্রায়শই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভুয়ো খবর সংক্রান্ত সচেতনমুলক বার্তা দেওয়া হয়।