সাম্প্রতিক খবর

অগাস্ট ৩১, ২০১৮

বাংলায় খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করছে খাদ্য সাথী প্রকল্প

বাংলায় খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করছে খাদ্য সাথী প্রকল্প

বাংলা সরকারের এক অনন্য প্রকল্প হল খাদ্য সাথী। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সমস্ত দায়িত্ব খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের।

গত সাত বছরে রাজ্যের ৯০% মানুষের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে বাংলার সরকার। গণবণ্টন ব্যবস্থার সংস্কার এবং কৃষকদের কাছ থেকে ন্যুনতম সহায়ক মূল্য দিয়ে ধান সংগ্রহের ফলে এসেছে স্বচ্ছতা। সমাজের প্রান্তিক মানুষও তাই এখন পাচ্ছে খাদ্যের নিরাপত্তা।

সুবিধাপ্রাপকদের সংখ্যা বেড়েছে বহুগুণ

২০১০-১১ অর্থবর্ষে রাজ্যের মাত্র ২.৭৪ কোটি মানুষ ২ টাকা কিলো দরে চাল পেতেন। দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা মানুষ এবং অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার অন্তর্গত মানুষদের চাল দেওয়া হত। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর সমাজের অন্যান্য আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষকে সহায়তা করতে খাদ্য সুরক্ষার পরিধি বাড়ানো হয়েছে বহুগুণ।

খাদ্য সাথী প্রকল্প চালু হয় ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে। এখন পর্যন্ত ৮.৫৯ কোটি মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। এর মধ্যে ৭.২ কোটি মানুষ ২ টাকা কিলো দরে চাল ও গম পেয়ে থাকেন। তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থায় থাকা ১.৩৯ কোটি মানুষ বাজার দরের অর্ধেক দামে খাদ্যশস্য পেয়ে থাকেন।

বিশেষ সহায়তা প্রদান

সুবিধাপ্রাপক ৭.২০ কোটি মানুষের মধ্যে জঙ্গলমহলের মানুষ, আয়লা বিধ্বস্ত অঞ্চলের মানুষ, সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষক, বন্ধ চা বাগানের কর্মী ও অকর্মী, পাহাড়বাসী, টোটো জনজাতির মানুষ এবং গৃহহীন মোট ৪৮.০৭ লক্ষ মানুষকে বিশেষ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

শিশুদের জন্য বিশেষ পৌষ্টিক প্যাকেজ

স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সহযোগিতায় শিশুদের জন্য বিশেষ পৌষ্টিক প্যাকেজ এক বিশেষ প্যাকেজ চালু করেছে খাদ্য দপ্তর। ৫২০০ গুরুতর অপুষ্ট শিশুদের ও তাদের মায়েদের বিনামূল্যে একটি পৌষ্টিক প্যাকেজ প্রদান করা হয়েছে। এই প্যাকেজে থাকে ৫ কিলো চাল, ২.৫ কিলো গম, ১ কিলো মসুর ডাল এবং ১ কিলো ছোলার ডাল। এই প্রকল্প শুরু হয়েছে ২০১৪-১৫ সাল থেকে।

খাদ্য সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত রাজ্য সরকার শুধু খাওয়া নয়, পুষ্টিগত নিরাপত্তাও প্রদান করছে রাজ্যবাসীকে। খাদ্যের অধিকার এখন বাংলার মানুষের হাতের মুঠোয়।