অগাস্ট ১৪, ২০১৮
ই-গভর্নেন্সের জন্য বিশ্ববন্দিত কন্যাশ্রী

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে ই-গভর্নেন্সের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন এবং বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। রাজ্য সরকারের ই-গভর্নেন্স ও ই-ট্যাক্সেশন ব্যবস্থা পেয়েছে বিভিন্ন পুরস্কার ও স্বীকৃতি।
বাংলার গর্ব কন্যাশ্রী প্রকল্প যে এত সাফল্য অর্জন করেছে তার মূল কারন প্রথম দিন থেকেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ হয়েছে এই প্রকল্পের। এর ফলে প্রকল্পতে এসেছে স্বচ্ছতা। এর জন্য NIC একটি সফটওয়্যার তৈরী করে সম্পূর্ণ বিনামুল্যে। কন্যাশ্রী প্রথম দিন থেকে ছিল ডিজিটাল, নয়তো এত কম সময়ে ৫০ লক্ষ মেয়েকে এর আওতায় আনা সম্ভব ছিল না।
যারা এই প্রকল্পে আবেদন করতে চায় তাদের একটি ফর্ম ফিল আপ করতে হবে ও সেটা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে দিয়ে অনুমোদন করাতে হবে। এর ফলে প্রমানিত হবে সে অবিবাহিতা ও তাঁর পরিবারের বার্ষিক আয় ১,২০০০০ টাকার কম। এরপর ব্যাঙ্কে তার একটি খাতা খোলা হবে। এবার ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যাঙ্কের খাতার নম্বর ও বাদ বাকি তথ্যাদি অনলাইনে পেশ করবে।
২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৬,৫০০ টি প্রতিষ্ঠান কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাথে যুক্ত। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেসব স্কুল কলেজে ইন্টারনেট সংযোগ নেই, তারা যোগাযোগ করেন কমিউনিটি সেন্টারে। এই কেন্দ্রগুলি তৈরী করেছে পঞ্চায়েত দপ্তর, গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন অনলাইন পরিষেবা প্রদান করতে।
ই-গভর্নেন্সের জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্প বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছে:
১. E-Women and Empowerment বিভাগে ২০১৪ সালের Manthan Award for Digital Inclusion for Development (South Asia and Asia Pacific)
২. কেন্দ্রীয় সরকারের Department of Administrative Reforms and Public Grievances এই প্রকল্পকে ২০১৪-৫ সালে ন্যাশানাল ই-গভর্নেন্স পুরস্কার দিয়েছে
৩. স্মার্ট গভর্নেন্সের জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্প পেয়েছে Order of Merit Award, ২০১৫
৪. ২০১৪-৫ সালে ই-গভর্নেন্সের জন্য পায় CSI-Nihilent Award
৫. ই-গভর্নেন্সের জন্য ২০১৬ সালে পায় United Nations WSIS Prize 2016 Champion সম্মান পায় কন্যাশ্রী প্রকল্প।
এই বিপুল জনপ্রিয়তা থেকে সহজেই বোঝা যায় এই প্রকল্প কতটা সাফল্য লাভ করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর দূরদর্শিতায় এই প্রকল্পটি প্রথম থেকে ই-গভর্নেন্সের মাধ্যমে চালানোয় আজ এই প্রকল্প সাফল্যের শিখরে।