অগাস্ট ২৬, ২০১৮
সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত যাত্রাশিল্পীদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, বাড়ছে ভাতাও

রাজ্যে পালাবদলের পর দুঃস্থ যাত্রাশিল্পী ও কলা কুশলীদের জন্য রাজ্য সরকার ‘বিশেষ’ বার্ষিক ভাতার ব্যবস্থা করেছে। ২০১২ সাল থেকে শুরু হয়েছে ওই বিশেষ প্রাপ্তি। যাত্রা আকাদেমি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই অনুমোদিত যাত্রাশিল্পীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। শুধু তাই নয়, ২০১২ সালে মাথাপিছু দেওয়া হত ছ’হাজার টাকা। তা এখন বেড়ে হয়েছে ন’হাজার টাকা। পাশাপাশি, যাত্রাশিল্পীদের অন্যান্য কিছু ভাতার ব্যবস্থাও করেছে রাজ্য সরকার।
চিৎপুরের যাত্রাপাড়ার কলা কুশলীদের একাংশের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাত্রাশিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। শুধু তাই নয়, ক্ষয়িষ্ণু শিল্প ফের প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ফলে এই শিল্পের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তারা খুশি।
যাত্রা আকাদেমি সূত্রের খবর, যাত্রাশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৩ সাল থেকে ‘বীণা দাশগুপ্ত স্মৃতি পুরস্কার’ প্রদান করা হচ্ছে। ২০১৩ সালে সেই পুরস্কার পেয়েছিলেন তরুণ কুমার। ২০১৫ সালে মীনাক্ষী দে, ২০১৬ সালে তপন গঙ্গোপাধ্যায়, ২০১৭ সালে সন্ধ্যা রায় এবং ২০১৮ সালে অশোক কুমারের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে মাখনলাল নট্টকে রাজ্য সরকারের তরফে বঙ্গবিভূষণ এবং ২০১৭ সালে চপল ভাদুড়িকে বঙ্গভূষণ সম্মান জানানো হয়।
এছাড়াও, প্রখ্যাত অভিনেতা ও পরিচালক প্রয়াত শান্তিগোপাল পাল এবং প্রয়াত মহানায়ক তপনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ‘ শান্তিগোপাল তপন কুমার পুরস্কার’ চালু হয়েছে। যার সম্মান মূল্য এক লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই বহু শিল্পী এই পুরস্কার পেয়েছেন।