সাম্প্রতিক খবর

জুলাই ১২, ২০১৯

জল সংরক্ষণের অভিনব ও সফল প্রকল্প - জল ধরো জল ভরো

জল সংরক্ষণের অভিনব ও সফল প্রকল্প - জল ধরো জল ভরো

সারা বিশ্বে জলের সঙ্কট বেড়েই চলেছে। তাই, জল সংরক্ষণ সম্বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকার একটি দিন নির্দিষ্ট করেছে।

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১২ই জুলাই তারিখটি জল সংরক্ষণ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। সারা বাংলা জুড়ে এই উদ্দেশ্যে পদযাত্রা এবং অন্যান্য সচেতনতামূলক কর্মসূচী পালন করা হবে।

জল ধরো জল ভরো

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার জলের বিভিন্ন উৎস সংরক্ষণে জোর দিয়েছে। এজন্য, ক্ষমতায় এসেই ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্প চালু করে রাজ্য সরকার।

জল সংরক্ষণের জন্য এই প্রকল্প একাধারে অভিনব, অনন্য এবং সফলও। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যে সরকারের প্রতি ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য সাধন করা।

এই প্রকল্পের দায়িত্বে আছে জল সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দপ্তরের অধীনস্থ জল সম্পদ উন্নয়ন ডিরেক্টোরেট।

উদ্দেশ্যঃ

এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে কৃষি, পানীয় এবং পশু পালনের জন্য ব্যবহার করা। যেসব ধরণের জলাধারে জলের সংরক্ষণ করা হবে সেগুলি হল, ট্যাঙ্ক, পুকুর, রিজার্ভার, খাল ছাদের ট্যাঙ্কে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে ভূগর্ভস্থ জলের সঞ্চয় বাড়ানো।

বৃষ্টির জল সঞ্চয় করে এবং ভূপৃষ্ঠের জল সংরক্ষণ করে পরিস্রুত করে সেচের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

১০০ দিনের কাজের মধ্যেওমে জলাধারগুলি খনন এবং পুনঃখনন করা হচ্ছে।

বৃষ্টির জল সংরক্ষণ মূলত চারভাবে সাহায্য করে :

সাড়া বছর এবং মূলত গ্রীষ্মকালে জলের যোগান থাকে

প্রত্যন্ত অঞ্চলে পানীয় জলের যোগান দেওয়া

ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ বাড়ানো

সেচের জন্য জলের যোগান বাড়ানো

সাফল্য

আজ পর্যন্ত আনুমানিক তিন লক্ষ জলাশয় খনন করা হয়েছে জল ধরো জল ভরো প্রকল্পে এবং এই প্রকল্পকে মডেল প্রকল্প হিসেবে ধরা হয়। এই সফল প্রকল্প অনেক শহরাঞ্চলে শুরু করা হয়েছে। সম্প্রতি নগরোন্নয়ন এবং পুর বিষয়ক মন্ত্রী বিধানসভায় ঘোষণা করেছেন আগামী বছরের মধ্যে কলকাতা সহ আরও ১৫টি পুরসভাকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা।