ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯
সিঙ্গুরে সৌরবিদ্যুতে সব্জি সংরক্ষণ কেন্দ্র
হুগলীর সিঙ্গুরে সৌরবিদ্যুৎ চালিত অত্যাধুনিক সব্জি সংরক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। আগামী ২৫ বছর এই সংরক্ষণ কেন্দ্রের খরচ একই থাকবে। বিদ্যুৎ বা জ্বালানির প্রয়োজন হবে না। এর ফলে ৯০০০০ ইউনিট পরিবেশ বান্ধব সৌর বিদ্যুৎ প্রতি বছর সঞ্চয় হবে, বাঁচবে ৬.৭৫ লক্ষ টাকার গ্রীড শক্তি। সংরক্ষণ কেন্দ্রের জন্যে সূর্যের আলো থেকে প্রতিদিন উৎপাদিত বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত হবে। ফলে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ কিলোওয়াট উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ গ্রিডকে দিয়ে দেওয়া হবে।
তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রী থেকে ৩০ ডিগ্রীর মধ্যে নিয়ন্ত্রিত হওয়ার ফলে বিভিন্ন সব্জি তার উপযুক্ত তাপমাত্রায় মজুত করা সম্ভব হবে।
জাইকার আর্থিক সহায়তায় সিঙ্গুরে তাপসী মালিক কৃষক বাজারে রাজ্যে তথা দেশের মধ্যে প্রথম এই ধরনের সংরক্ষণ কেন্দ্র চালু হল। অর্থমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময় কৃষক পচন ধরার ভয়ে বাধ্য হয়ে কম দামে ফসল বিক্রী করে দেন। এবার সিঙ্গুরের কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত সব্জি এক সপ্তাহ রাখলেও সতেজ থাকবে। সংরক্ষণ কেন্দ্রটিতে তিরিশ টন সব্জি একসঙ্গে রাখার সুবিধে থাকবে।
এই কেন্দ্রের নির্মাতা সংস্থাই কিছু ফির বিনিময়ে এই কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণ করবে।
জাইকার সহযোগিতায় সারা রাজ্যে ৭০০কোটি টাকার বিনিময়ে একশো সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে কৃষক বাজারগুলিতে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। পরবর্তী পর্যায়ে উত্তরবঙ্গে তিনটি সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে দার্জিলিং জেলার বাগডোগরা ও ফাঁসিদেওয়ার কৃষক বাজারে এবং জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি কৃষক বাজারে। সৌরবিদ্যুৎ চালিত হওয়ায় বিদ্যুতের খরচ নেই। খরচ কম, তাই সব্জি রাখার দরুন বছর বছর খরচ বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
নির্মাণকারী জাপানি সংস্থার সভাপতি বলেন, বাংলার এই ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনা আছে এবং রাজ্য সরকার রাজ্যের কৃষকদের আধুনিক করার জন্য অনেক কাজ করছে।
সুফল বাংলা বিপণন চেন ইতিমধ্যেই কৃষিতে ক্ষতি ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করতে সফল হয়েছে। কৃষকদের থেকে সরাসরি ফসল কেনার ফলে কৃষকরা তাদের ফসলের উপযুক্ত মূল্য পাচ্ছেন।
সৌজন্যেঃ আজকাল
ফাইল চিত্র